পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, শিলচর-সিলেট উৎসব আমাদের অভিন্ন সংস্কৃতি, ভাষা, শিল্প-সাহিত্য, পারস্পরিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা ও আমাদের অভিন্ন অর্জনগুলো উদযাপনে গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) আসামের কাছাড় জেলার শিলচর পুলিশ গ্রাউন্ডে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী শিলচর-সিলেট উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এ উৎসব নিয়মিত আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
ভারতের সঙ্গে বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বহুমাত্রিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থান, ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক বন্ধন, ভাষা, শিল্প-সাহিত্য, রন্ধন ঐতিহ্য ও দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের মতো বহুবিধ কারণে দুই দেশের সুসম্পর্ক পর্যায়ক্রমে আরও সুদৃঢ় হচ্ছে।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকরভাবে প্রয়োগের ফলে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে সার্বিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছে। যা ভারতীয় নেতৃত্বের দ্বারাও স্বীকৃত ও প্রশংসিত হয়েছে।
আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারলে দুই দেশের মানুষ উপকৃত হবে বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংস্কৃতি, পর্যটন ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী কিষাণ রেড্ডি, আসামের পরিবহন, আবগারি ও মৎস্য মন্ত্রী পরিমল শুক্লাবাইদিয়া এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত শিলচর-সিলেট উৎসবে যোগ দিতে বর্তমানে একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে আসামে অবস্থান করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।