শেষ ষোল নিশ্চিত করতে নিজেদের শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না সেনেগালের। কিন্তু বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ৬৯তম মিনিট পর্যন্তও জয়ের পথে ছিল না আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নরা। শেষমেষ জাদু দেখালেন কলিবালি। ফ্রি-কিকে দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে শেষ ষোলতে টেনে তোলার নায়ক তিনিই।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ে প্রথম ১০ মিনিটেই দুটো গোলের সুযোগ হারায় সেনেগাল। হার মানেনি আলিউ সিসের শিষ্যরা। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়াতে থাকে তারা। প্রথমার্ধে গোলের জন্য ১২টি শট নেয় সেনেগাল, এর মধ্যে ৯টিই ছিল ডি-বক্সের ভেতর থেকে। তবে ভাগ্যের ফেরে এসব শট থেকে কোনো গোল আসেনি। ৪৪ তম মিনিটে গোলটা আসে পেনাল্টি থেকে। এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে সেনেগাল।
দ্বিতীয়ার্ধে সেনেগাল রক্ষণে মনোযোগী হলে প্রবল আক্রমণে সমতায় ফেরে ইকুয়েডর। তবে সেই সমতা বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি কলিবালি। ৭০তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন চেলসি ডিফেন্ডার। এ গোলের পর আর কোনো গোল না হলে দ্বিতীয়বারের মতো শেষ ষোলতে ওঠার গৌরন অর্জন করে সেনেগাল।
কেবল গোল করাই নয়, রক্ষণে আজ কলিবালি ছিলেন দেয়ালের মতো। গোলমুখে বল ক্লিয়ার করে প্রতিপক্ষের মোট ১০টি সুযোগ নষ্ট করে দেন তিনি। এছাড়া ৫৮ শতাংশ সঠিক পাস দেওয়ার পাশাপাশি লং বল খেলেছেন ১১টি। মূলত তার এই নৈপুণ্যেই ইকুয়েডরকে হটিয়ে শেষ ষোলতে উঠতে পেরেছে সেনেগাল।