ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের চিত্রি গ্রামে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে । এই নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওই গ্রামের বাচ্চু মিয়া মেম্বার গ্রুপ ও হাবিবুর রহমান গ্রুপের মধ্যে গ্রাম আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। তারই জের ধরে একে অপরের বাড়িতে হামলার ঘটনা নিয়ে পরস্পর দোষারোপ করে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার ( ০৭/০৪) বাচ্চু মেম্বার গ্রুপের জালাল সরকার চিত্রি গ্রামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন তারা কোন হামলার ঘটনার সাথে জড়িত নয়। তাদের জনপ্রিয়তা ঈশ্বর্বিত হয়ে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যার তথ্য প্রচার করছে যা ভুয়া ও বানোয়াট। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জানান,গত ১২ জানুয়ারি হাবিবুর রহমান গংদের প্ররোচনায় তাদের পালিত সন্ত্রাসী শাহজাহান মিয়ার ছেলে পলাশ ও খোরশেদ মিয়ার ছেলে শাহরিয়ার সরকার ইমন ওরফে ইদন কু-মতলবে গভীর রাতে তাদের বাড়িতে হানা দেয়। এবং বাচ্চু মিয়া মেম্বারের মেয়েকে জড়িয়ে এবং তার ছবি আপত্তিকর অবস্থায় রূপান্তর করে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পলাশ ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামি।তারা বাচ্চু মিয়া ও আমার পরিবারের ক্ষতিসাধন করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে। গত ৯ই ফেব্রুয়ারি বিদেশে অবস্থানরত আমার এক আত্মীয়কে ফোন করে বলে চাঁদা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এ ঘটনায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাদের ভয়ে আমি আমার ভাই বাচ্চু মেম্বার আমাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে । তাদের ভয়ে আতঙ্কিত অবস্থায় গত ৫ই এপ্রিল জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে হাবিবুর রহমান, শাহারিয়ার সরকার ইদন ও মনির হোসেনের নাম উল্লেখ করে নবীনগর থানা একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
এদিকে গত ৬ এপ্রিল পলাশ ও ইদন নবীনগর নিউ মডেল প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন করেন। পলাশ দাবি করেন, বাচ্চু মিয়ার মেয়ের সাথে আমার একটা সম্পর্ক রয়েছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে সংবাদ পেয়ে ওই মেয়ের সাথে দেখা করতে যায়।ওই ঘটনায় তারা আমাদের উপর হামলা চালায় এবং তাকে গ্রাম থেকে বিতারিত করে। এই ঘটনায়ও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে কথা হয় পলাশ মিয়া বাড়ির গোষ্ঠীর সরদার হাজী খুরশিদ মিয়ার সাথে তিনি জানান, মেয়ে সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বাচ্চু মিয়া পলাশদের উপর কোন হামলা চালিয়েছে এমন কোন কিছুই তিনি জানেন না।
এ ব্যাপারে পলাশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, ওই মেয়ের সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে, মেয়ের ডাকে ওই রাতে তার সাথে দেখা করতে যায় সে । প্রাণের ভয়ে তিনি এখন গ্রাম ছাড়া।
এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমান বলেন, তার কোন গ্রুপ নেই, সে গ্রামের কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নয়, তার ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে,বরং গত ৫ এপ্রিল বাচ্চু মেম্বারের লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়, গ্রামের মানুষের সহায়তায় তারা প্রাণে বেঁচে যান।
গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ
-
মোঃ শাহ আলম খন্দকার, নবীনগর( ব্রাহ্মণবাড়িয়)
- আপডেট সময় ০৪:৩১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
- ৫১২ বার পড়া হয়েছে