যশোর পৌরসভার ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের কাজীপাড়া মানিকতলা মসজিদ গলির এক বাসা বাড়িতে ১২ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে আট ঘন্টা জিম্মি এবং পার্শবর্তী অপর একটি বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) সেহরির পর ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জনৈক জাকির হোসেন (৩৮) এর বাসাবাড়িতে ভাড়াটিয়া মাহামুদুল হাসান শাহীন (৩৬) ও তার পরিবারকে জিম্মি করে একই এলাকার মাদকসেবি ও কুখ্যাত সন্ত্রাসীরা। এরপর বাড়ির মালিক জাকির হোসেনের বসবাসরত পার্শবর্তী বাড়িতে হামলা করে ওই সন্ত্রাসীরা।
ভুক্তভোগী জাকির হোসেন যশোরের চৌগাছা উপজেলায় সহ শিক্ষা অফিসার। ওই এলাকায় পাশাপাশি দুটি বসতবাড়ির মালিক তিনি। এ ছাড়া তার বসতবাড়ির এলাকায় আরও কয়েকটি টিনসেডের বাড়িতে ভাড়াটিয়ারা বসবাস করেন।
ভুক্তভোগী জাকির হোসেন অভিযোগ করে জানান, শনিবার সেহরির পর থেকে তার ভাড়াটিয়ার বাসায় শাহীনের পরিবারকে জিম্মি করে ওই এলাকার মাদকসেবী ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী সজল ইসলাম বাবু (৩২) ও আসানুর (২৭)। তাদের পরিবারকে এমনভাবে জিম্মি করা হয় যাতে আমরা আশেপাশের লোকজন টের না পাই। এবং তাদের কাছে বিনা কারণে ১২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরবর্তীতে বেলা ১টার দিকে ওই বাড়ির মেইন গেট তালাবদ্ধ করে জাকির হোসেনের নিজস্ব বাসভবনের গেটে এসে উক্ত সন্ত্রাসীরা রাম-দা ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তালা ভেঙে ভেতর ঢোকার চেষ্টা করে।
তিনি আরও জানান, ওই বাড়ির মূল ফটকে তালাবদ্ধ করা ছিল বলে সন্ত্রাসীরা ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি, তবে তালা ভাঙতে পারলে আমার পরিবারের স্ত্রী, বোন ও মাসহ সকলকে কুপিয়ে জখম করতো।
জাকির হোসেন ও এলাকাবাসীরা জানান, সন্ত্রাসী সজল ইসলাম বাবু এবং আফসার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী। তারা গোটা এলাকায় আধিপাত্য বিস্তার করছিল। বিভিন্ন সময়ে এই এলাকার অনেক ভাড়াটিয়া বাসিন্দাদের নিকট থেকে ৫০০ থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা তুলেছে। চাঁদা না দিলে অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখায়। এছাড়া এলাকার মধ্যে প্রকাশ্যে ইয়াবা ও গাজা, ফেনসিডিল সেবন করে থাকেন। ঘটনার পর পরই পুলিশ আসার খবরে গা-ঢাকা দেয় অভিযুক্তরা।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) পায়েল জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। দুটি পরিবার সুরক্ষিত আছে। আসামিদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তারা পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।