ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এক দফার আন্দোলন”বিএনপি

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে বিএনপির গণসমাবেশ থেকে এক দফার আন্দোলন শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। আমাদের দাবিও পরিষ্কার।

আমরা বলেছি, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ছাড়াও শাওন, নুরে আলম, নয়ন হত্যার প্রতিবাদ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশগুলো করা হবে। এখনো তো আসল ঘোষণা দেইনি, আসল ঘোষণা আসবে ১০ তারিখে। সেদিন থেকে শুরু হবে এক দফার আন্দোলন। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। পুলিশের গুলিতে নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. নয়ম মিয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের এক দফা ও এক দাবি। তখন সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বলে ওঠেন, ‘শেখ হাসিনা তুই কবে যাবি।’ তখন মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে কোনো কম্প্রোমাইজ ও আপোষ নেই। আপনাদের যেতে হবে, শান্তিপূর্ণভাবে চলে যান। বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের অনুমতি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ১০ ডিসেম্বর  সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না, এটা কি কারও বাপের রাজত্ব? ১০ তারিখে এইখানেই সমাবেশ হবে।

এটা জনগণের ঘোষণা। আমরা অনেক আগে বলেছি, আমরা আইন মানতে চাই। তাই এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছি (সমাবেশের অনুমতির জন্য)। আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বারবার বলছি, এখন পর্যন্ত সাতটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছি। প্রতিটি সমাবেশে তারা বাধা দিয়েছে। ওরা কত ভীরু ও কাপুরুষ হলে গাড়ি বন্ধ করে দেয়। এগুলো করেও কী কোনো সমাবেশ বন্ধ করতে পেরেছেন? সমাবেশে মানুষ আরও বাড়ছে। তিন ঘণ্টার সমাবেশকে আপনারা তিনদিনে রূপ দিয়েছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, তারা আমাদের জীবন নিয়ে খেলছে। আমাদের সাতজনকে হত্যা করেছে। আজকে বিক্ষোভে ফেটে পড়তে হবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে, সমস্ত দেশবাসীকে জেগে উঠতে হবে। ক্ষমতা থেকে এমনি এমনি কেউ সরে না, সরাতে হবে। মানুষের সমস্ত শক্তি ও বল দিয়ে এদেরকে চলে যেতে বাধ্য করতে হবে।

এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালাম। সঞ্চালনা করেন যথাক্রমে মহানগর দক্ষিণে এবং উত্তরের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও আমিনুল হক। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সারাফত আলী সপু ও মহানগরের সদস্য ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এক দফার আন্দোলন”বিএনপি

আপডেট সময় ১০:৩৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে বিএনপির গণসমাবেশ থেকে এক দফার আন্দোলন শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। আমাদের দাবিও পরিষ্কার।

আমরা বলেছি, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ছাড়াও শাওন, নুরে আলম, নয়ন হত্যার প্রতিবাদ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশগুলো করা হবে। এখনো তো আসল ঘোষণা দেইনি, আসল ঘোষণা আসবে ১০ তারিখে। সেদিন থেকে শুরু হবে এক দফার আন্দোলন। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। পুলিশের গুলিতে নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. নয়ম মিয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের এক দফা ও এক দাবি। তখন সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বলে ওঠেন, ‘শেখ হাসিনা তুই কবে যাবি।’ তখন মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে কোনো কম্প্রোমাইজ ও আপোষ নেই। আপনাদের যেতে হবে, শান্তিপূর্ণভাবে চলে যান। বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের অনুমতি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ১০ ডিসেম্বর  সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না, এটা কি কারও বাপের রাজত্ব? ১০ তারিখে এইখানেই সমাবেশ হবে।

এটা জনগণের ঘোষণা। আমরা অনেক আগে বলেছি, আমরা আইন মানতে চাই। তাই এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছি (সমাবেশের অনুমতির জন্য)। আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বারবার বলছি, এখন পর্যন্ত সাতটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছি। প্রতিটি সমাবেশে তারা বাধা দিয়েছে। ওরা কত ভীরু ও কাপুরুষ হলে গাড়ি বন্ধ করে দেয়। এগুলো করেও কী কোনো সমাবেশ বন্ধ করতে পেরেছেন? সমাবেশে মানুষ আরও বাড়ছে। তিন ঘণ্টার সমাবেশকে আপনারা তিনদিনে রূপ দিয়েছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, তারা আমাদের জীবন নিয়ে খেলছে। আমাদের সাতজনকে হত্যা করেছে। আজকে বিক্ষোভে ফেটে পড়তে হবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে, সমস্ত দেশবাসীকে জেগে উঠতে হবে। ক্ষমতা থেকে এমনি এমনি কেউ সরে না, সরাতে হবে। মানুষের সমস্ত শক্তি ও বল দিয়ে এদেরকে চলে যেতে বাধ্য করতে হবে।

এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালাম। সঞ্চালনা করেন যথাক্রমে মহানগর দক্ষিণে এবং উত্তরের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও আমিনুল হক। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সারাফত আলী সপু ও মহানগরের সদস্য ইশরাক হোসেন প্রমুখ।