বয়স পঞ্চাশে পা দেওয়া মানেই পিছু নেবে নানা রকম অসুখ-বিসুখ। হার্টের রোগে, কারও উচ্চ রক্তচাপ, আবার কেউ ডায়াবেটিস। সেই সঙ্গে বাতের ব্যথা-বেদনা তো আছেই।
পঞ্চাশের গণ্ডি পার হলে একজন পুরুষের ডায়েট কেমন হবে তা নিয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের গাইডলাইনও আছে। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, একটি বাঙালি বাড়িতে রোজ যা যা খাওয়া হয়, তার মধ্যে থেকেই ডায়েট চার্ট বের করে নিতে হবে। এমন খাবার রাখতে হবে তালিকায় যা সহজলভ্য এবং পুষ্টিকর।
প্রচুর ভাজাভুজি, চপ-কাটলেট, বেশি প্রোটিন জাতীয় খাবার খেয়ে ফেললেই নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে থাকবে। যদি একবার ‘ইটিং ডিজ়অর্ডার’-এর শিকার হন, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি হার্ট, লিভার ও কিডনির সমস্যা শুরু হয়ে যাবে। বার্ধক্যে পৌঁছনোর আগেই বয়সজনিত অসুখ বাসা বাঁধতে থাকবে শরীরে।
পঞ্চাশ পার হলে কোন কোন খাবার পাতে রাখবেন?
১) ভাত বা রুটি একবারে বাদ দেওয়ার দরকার নেই। তবে পরিমাণে কম খেতে হবে। একবারে বেশি ভারি খাবার না খেয়ে, বারে বারে অল্প অল্প করে খেতে হবে।
২) বদহজমের সমস্যা থাকলে গমের আটা বা ময়দার বদলে রাগি অথবা বাজরার রুটি খেতে পারেন। সাদা পাউরুটি, বিস্কুট বাদ দিয়ে ব্রাউন ব্রেড খান। প্রতিদিনের খাবারে যে কোনো এক রকম দানাশস্য, যেমন— ওট্স, কিনোয়া, ডালিয়া রাখতেই হবে।
৩) সকালের নাস্তা করতে হবে সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে। এ সময় খেতে পারেন দুধ-কর্নফ্লেক্স, অথবা এক বাটি ডালিয়ার খিচুড়ি, না হলে সবজি দিয়ে ওট্স। দুধ হজম না হলে হাতে গড়া দু’টি গরম রুটি আর এক বাটি সবজি খান। সঙ্গে যে কোনো একটি মৌসুমের ফল।
৪) মাছ বা মাংস যা-ই খান না কেন, কম মশলা দিয়ে রান্না করে খেতে হবে। একবারে মাছ, মাংস বা ডিম খাবেন না। দুপুরে মাছ খেলে তার সঙ্গে আরও অন্য কোনো প্রোটিন বেশি রাখবেন না। মাংস খেলে সে দিন আর পনির বা সয়াবিন খাবেন না। প্রোটিন মেপেই খেতে হবে।
৫) দুপুরের খাবারের এক ঘণ্টা পরে মুসাম্বি বা লেবু জাতীয় ফল খেলে ভাল হয়। রাতের খাওয়া ৯টার মধ্যে সেরে নিলে ভাল। রাতে ভাত খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এক কাপের বেশি নয়, না হলে দু’টি রুটি, এক বাটি সবজি খেতে পারেন।
৬) দিনে একটাই ডিম খাওয়া ভাল। সব রকম ডাল ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেতে হবে। সবুজ শাকসবজি বেশি খেতে হবে।
৭) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের জন্য বিভিন্ন রকম বাদাম ও বীজ খেতে হবে। কাঠবাদাম, আখরোট, চিয়া বীজ, সূর্যমুখীর বীজ খেতে পারেন নিয়ম করে। দিনে একটা-দু’টি খেজুর খেলে উপকার পাওয়া যাবে