ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী অনিককে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষকসহ ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার আসামি শিক্ষকরা হলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের সাবেক সভাপতি এবং অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া মিয়া, ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাসফিক হাসান, সাবেক প্রক্টর মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক প্রক্টর মোস্তফা কামাল, সাবেক সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুন নাহার লিপি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল কবির। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক পার হয়ে মহানগর দায়রা জজ কোর্টের সামনে আসলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অতর্কিত গুলিতে আহত হন অনিক।অনিককে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপারেশনের পর গত ৩১ জুলাই কিছুটা সুস্থ হলে হাসপাতাল ত্যাগ করেন এই শিক্ষার্থী।
অনিক ছাড়াও সেদিন গুলিবিদ্ধ হন আরও তিন শিক্ষার্থী।
মামলার বাদী অনিক বলেন, আপনারা জানেন- আমাকে গুলি করা হয়েছিল। আমি দীর্ঘদিন হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় ছিলাম। এখনো শরীরে ব্যথা করে। আমি অবশ্যই ন্যায়বিচার চাই।
মামলায় শিক্ষকদের আসামি করার বিষয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এসব শিক্ষক আমাদের বিরোধিতা করেছেন। এখন মামলা করতে গেলে আপনা-আপনি তাদের নাম চলে আসে। তারা অবশ্যই তাদের (ছাত্রলীগ-যুবলীগ) সহযোগিতা করেছেন।