দর্শনা সরকারি কলেজে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে সঙ্গবদ্ধ চোরেরা দু’দফায় কলেজে হানা দিয়ে ১৬ টি সিলিং ফ্যান ও ইলেকট্রিক মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
শনিবার ও রবিবার (২৬ ও ২৭ আগস্ট) দু’দফায় এই চুরির ঘটনা ঘটে। দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত শনিবার দিবাগত রাতে সঙ্গবদ্ধ চোরেরা দর্শনা সরকারী কলেজের নতুন ভবনের প্রাচীর টপকে ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর প্রথম তলার পিছন দিক থেকে সানসেট বেয়ে ২য় তলায় ভবনে প্রবেশ করে রুমের তালা ভেঙ্গে একে,একে তৃতীয় তলা, চতুর্থ তলা ও পঞ্চম তলার তালা ভেঙ্গে রুমের ভিতরের প্রবেশ করে ১৬টি সিলিং ফ্যান, বেসিংয়ের ট্যাপ সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে নির্বিঘ্নে ঘটনাস্থল থেকে পালিযে যায়।
চুরি শেষে আবার ভবনের পিছন দিক থেকে চোর চক্র দল সরঞ্জামদি নিয়ে নির্বিঘ্নে চলে যায়। রবিবার চুরির ঘটনায় দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দর্শনা সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর মো. রেজাউল করিম বলেন , দর্শনা সরকারি কলেজে কলা ভবনের শেষে নতুন ৬ তলা ভবন তৈরি হয়েছে। এই ভবনের প্রথম তালার প্রথমে সামনে ও দুই সাইডে গ্রীল দিয়া আছে। কিন্তু দ্বিতীয় তলা থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত সামনে এবং পিছনে দুই সাইডে কোথাও গ্রীল দেওয়া নেই। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সংঘবদ্ধ ভাবে এগুলো চুরি করেছে। চুরি হওয়ার পর আমি কলেজের নাইটগার্ডের সাথে কথা বলি। তারা বলেছে এখানকার স্থানীয় কিছু বকাটেরা প্রতিনিয়ত রাতে দিনে কলেজের ভিতরে বিভিন্ন ভাবে প্রবেশ করে ভয়-ভীতি দেখায়। কলেজের ভিতরে মধ্যে দুই দুই বার চুরির ঘটনায় আমি উদ্দিগ্ন। দর্শনা থানা একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আশা করি পুলিশ এই চোরদের ধরতে সক্ষম হবে।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, চুরির ঘটনা জানতে পেরে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কলেজে যে দুজন নাইট গার্ড আছে তারা বয়জোষ্ঠ মুরুব্বী। রাতে পাহারা না দিয়ে ঘুমিয়ে থাকে হয়তোবা। যার কারণে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।