ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেম নিয়ে ২ কনস্টেবলের লড়াই, গুলিবর্ষণ

করেন পুলিশের চাকরি, পোস্টিংও একই থানায়। একপর্যায়ে নিজের নারী সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান এক পুলিশ কনস্টেবল। আর সেটি নিয়েই আরেক সহকর্মীর কটূ কথায় বেঁধে যায় লড়াই। থানার ভেতরেই হয় গুলিবর্ষণও।

এতে অবশ্য তাদের সবাইকেই শাস্তি পেতে হয়েছে। গত সোমবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের বরেলী জেলার বাহেরি থানায়। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং টাইমস নাউ।

মূলত সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে আরেক সহকর্মীর কটূক্তিতে বিরক্ত হয়েই থানার মধ্যেই গুলি চালান ওই প্রেমিক পুলিশ কনস্টেবল। অবশ্য এতে কেউ আহত হননি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, উত্তর প্রদেশের বরেলী জেলার বাহেরি থানার এক পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে একই কর্মস্থলে থাকা নিজের এক নারী সহকর্মীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তা নিয়েই ওই থানার অন্যরা বিভিন্ন সময় হাসি ঠাট্টা এবং কটূক্তি করতো বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত সোমবার রাতে ওই থানারই এক কনস্টেবল সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কটূক্তি করায় রাগে ফেটে পড়েন প্রেমিক কনস্টেবল। সঙ্গে সঙ্গে কাছে থাকা রিভলভার দিয়ে থানার মধ্যেই গুলি চালান তিনি। যদিও সেই গুলিতে কেউ আহত হননি বলে জানা গেছে।

মূলত ওই কনস্টেবল কাউকে লক্ষ্য করে গুলি চালাননি। রাগের মাথায় তিনি মেঝের দিকে তাক করে গুলিবর্ষণ করেন বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। যদিও এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পুলিশ প্রশাসনে। ঘটনার জেরে ওই থানার মোট পাঁচ জনকে বরখাস্ত করা হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, থানার ভেতরে গুলি চালানো ওই কনস্টেবলের নাম মনু কুমার। ২০১৯ সালে বরেলী জেলার বাহেরি থানায় যোগ দিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের বাগপতের এই বাসিন্দা। একপর্যায়ে তার পাশের জেলার মুজফফরনগরের বাসিন্দা এক নারী কনস্টেবলও ওই থানাতেই কাজে যোগ দেন। তিনি ওই কনস্টেবলের পূর্ব পরিচিত ছিলেন এবং তাদের মধ্যে একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার সত্যার্থ অনিরুদ্ধ পঙ্কজ বলেছেন, ‘যদি কোনো পুলিশ সদস্য (সহকর্মীর সঙ্গে) প্রেমের সম্পর্কে জড়িত হন সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে গাফিলতি এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য।’

তিনি জানিয়েছেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ওই থানার পাঁচ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তার মধ্যে ওই থানার স্টেশন হাউস অফিসারও রয়েছেন। ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, ‘মনু কুমার এবং নারী কনস্টেবলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দুজনেই ভিন্ন জাতের। ভিন্ন জাতের প্রেম নিয়ে সোমবার রাতে কটূ মন্তব্য করেন ওই থানারই চহ্বাল নামের অন্য এক কনস্টেবল। এরপর ক্ষুব্ধ হয়ে গুলি চালান মনু কুমার।’ এই ঘটনার ২ দিন আগেও তাদের মধ্য়ে বাক-বিতণ্ডা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রেম নিয়ে ২ কনস্টেবলের লড়াই, গুলিবর্ষণ

আপডেট সময় ০৭:১৩:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

করেন পুলিশের চাকরি, পোস্টিংও একই থানায়। একপর্যায়ে নিজের নারী সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান এক পুলিশ কনস্টেবল। আর সেটি নিয়েই আরেক সহকর্মীর কটূ কথায় বেঁধে যায় লড়াই। থানার ভেতরেই হয় গুলিবর্ষণও।

এতে অবশ্য তাদের সবাইকেই শাস্তি পেতে হয়েছে। গত সোমবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের বরেলী জেলার বাহেরি থানায়। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং টাইমস নাউ।

মূলত সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে আরেক সহকর্মীর কটূক্তিতে বিরক্ত হয়েই থানার মধ্যেই গুলি চালান ওই প্রেমিক পুলিশ কনস্টেবল। অবশ্য এতে কেউ আহত হননি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, উত্তর প্রদেশের বরেলী জেলার বাহেরি থানার এক পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে একই কর্মস্থলে থাকা নিজের এক নারী সহকর্মীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তা নিয়েই ওই থানার অন্যরা বিভিন্ন সময় হাসি ঠাট্টা এবং কটূক্তি করতো বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত সোমবার রাতে ওই থানারই এক কনস্টেবল সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কটূক্তি করায় রাগে ফেটে পড়েন প্রেমিক কনস্টেবল। সঙ্গে সঙ্গে কাছে থাকা রিভলভার দিয়ে থানার মধ্যেই গুলি চালান তিনি। যদিও সেই গুলিতে কেউ আহত হননি বলে জানা গেছে।

মূলত ওই কনস্টেবল কাউকে লক্ষ্য করে গুলি চালাননি। রাগের মাথায় তিনি মেঝের দিকে তাক করে গুলিবর্ষণ করেন বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। যদিও এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পুলিশ প্রশাসনে। ঘটনার জেরে ওই থানার মোট পাঁচ জনকে বরখাস্ত করা হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, থানার ভেতরে গুলি চালানো ওই কনস্টেবলের নাম মনু কুমার। ২০১৯ সালে বরেলী জেলার বাহেরি থানায় যোগ দিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের বাগপতের এই বাসিন্দা। একপর্যায়ে তার পাশের জেলার মুজফফরনগরের বাসিন্দা এক নারী কনস্টেবলও ওই থানাতেই কাজে যোগ দেন। তিনি ওই কনস্টেবলের পূর্ব পরিচিত ছিলেন এবং তাদের মধ্যে একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার সত্যার্থ অনিরুদ্ধ পঙ্কজ বলেছেন, ‘যদি কোনো পুলিশ সদস্য (সহকর্মীর সঙ্গে) প্রেমের সম্পর্কে জড়িত হন সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে গাফিলতি এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য।’

তিনি জানিয়েছেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ওই থানার পাঁচ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তার মধ্যে ওই থানার স্টেশন হাউস অফিসারও রয়েছেন। ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, ‘মনু কুমার এবং নারী কনস্টেবলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দুজনেই ভিন্ন জাতের। ভিন্ন জাতের প্রেম নিয়ে সোমবার রাতে কটূ মন্তব্য করেন ওই থানারই চহ্বাল নামের অন্য এক কনস্টেবল। এরপর ক্ষুব্ধ হয়ে গুলি চালান মনু কুমার।’ এই ঘটনার ২ দিন আগেও তাদের মধ্য়ে বাক-বিতণ্ডা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।