রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, দেশের ভেতর আওয়ামী লীগের সভা, সমাবেশ এমনকি কোনো ধরনের মিছিল করার কোনো সুযোগ নেই।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে এ কথা জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘বর্তমানে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। বাংলাদেশে প্রতিবাদ করার মতো দলটির কোনো সুযোগ নেই। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে কেউ সভা, সমাবেশ ও মিছিলের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সহিংসতা বা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গের প্রচেষ্টাকে বরদাস্ত করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন শফিকুল আলম। এদিকে আগামী রোববার বিকেল ৩ টায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নেতাকর্মীদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানায় আওয়ামী লীগ।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়।
এর আগে গতকাল শুক্রবার শেখ হাসিনার ‘কণ্ঠে’ নতুন একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই ফোনালাপে শেখ হাসিনার কণ্ঠের মতো একজনকে দলীয় নেতাকর্মীদের ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি হাতে মিছিল বের করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অডিওতে নূর হোসেন দিবসে নেতাকর্মীদের মিছিল করতে বলা হয়েছে। অডিওতে বলা হয়, মিছিলে তাদের হাতে ট্রাম্পের ছবি থাকবে। এতে যদি কেউ যদি বাধা দেয়, কোনো হামলা করে। তাহলে তো সেটা ট্রাম্পের ছবিতে হামলা হবে। সেই ছবি তোলার জন্য আলাদা লোক থাকবে। তখন সেই হামলার ছবি আমি ট্রাম্পের কাছে পাঠাব। ট্রাম্পের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাধা দেওয়ার ছবি ট্রাম্পকে পাঠিয়ে বলা যাবে দেখো ইউনূস সরকার কী করছে। সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার তো ইউনূস। ২৫০ জন এসআইয়ের (ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর) চাকরি দিল না, তাদের বের করে দিল।
তিনি আরও বলেন, মিছিলে ভালো লোক জমায়েত যেন হয়, সে ব্যবস্থা করবা। মিছিলে নূর হোসেনের ছবি থাকবে। ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লেখা প্লেকার্ড রাখবা। আমাদের অনেক ঘরবাড়ি, দোকান-পাট পোড়ানো হয়েছে। এর তথ্য বের করতে হবে। আমরা সব হিসাব কড়ায়-গণ্ডায় করে নেবো।