গত ৫ আগস্ট দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের বিলুপ্তির পর বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যে বিষয়গুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং তাদের তত্ত্বাবধানকারী সংস্থাগুলোর পরিচালনা পর্ষদে ব্যাপক রদবদল। এতে দেশের অর্থনীতির পরিচালনা কৌশলে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে যা দেশের অর্থনীতিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়।
বাংলাদেশে অর্থনীতিতে সক্রিয় খাতগুলোর মাঝে বীমা খাত ১৯৭১ সালের পর থেকেই অস্তিত্ব বিস্তার করে আছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভের ৫২ বছর পরও বাংলাদেশে বীমাখাতের আশানুরূপ প্রসার হয়নি। প্রিমিয়ামের উপর ভিত্তি করে দেশের জিডিপিতে বীমার অবদান মাত্র ০.৪০% যা বৈশ্বিক রেকর্ডের তুলনায় অনেক কম। অথচ বাংলাদেশে মোট ৮১টি বীমা কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এদের মধ্যে জীবন বীমা কোম্পানির সংখ্যা ৩৫টি এবং সাধারন বীমা কোম্পানির সংখ্যা ৪৬টি। বর্তমানে দেশের প্রায় ১৮.৯৭ মিলিয়ন জনগণ বীমা সেবার আওতার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ২০২৩—২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৩ সালে জীবন বীমা খাতে মোট প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ১,২২,৭৩৪.৮৮ মিলিয়ন টাকা যা ২০২২ সালের তুলনায় ৭.৮৯ শতাংশ বেশি। সাধারন বীমা খাতে মোট প্রিমিয়াম আয় ২০২৩ সালের অনিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী ১,৮২,২৬৫.৭৮ মিলিয়ন যা ২০২২ এর তুলনায় ৫.৪৮ শতাংশ বেশি। এ বিপুল পরিমাণ প্রিমিয়াম আয়ের অংক এবং প্রবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে বীমার অপার সম্ভাবনাকে প্রমাণ করে।
ওআইসির মক্কা ঘোষণায় সদস্য দেশগুলোর মাঝে ইসলামী ব্যাংকিং ও বীমা প্রতিষ্ঠান চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাংলাদেশ OIC এর সদস্যভুক্ত দেশ হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের উপরেও বর্তায়। তাছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম ধর্মাবলম্বী জনগণের দেশে শরিয়াহভিত্তিক অর্থব্যবস্থা অধিকাংশ জনগণের প্রাণের দাবি। ফলশ্রুতিতে ইসলামি বীমা কোম্পানি প্রতিষ্ঠাও শরিয়াহ ভিত্তিক অর্থব্যবস্থার আবশ্যিক শর্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। এর বাস্তবরূপ হিসেবে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশে ইসলামি বীমার সূচনা হয়। এখন পর্যন্ত দেশে ১৩টি ইসলামি জীবন বীমা কোম্পানি ও ৫টি ইসলামি সাধারণ বীমা কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া, বেশকিছু প্রচলিত বীমা কোম্পানিও স্বল্প পরিসরে ইসলামি বীমা সেবা প্রদান করছে। কিন্তু ইসলামি বীমা কার্যক্রমের ক্রমবৃদ্ধির পরেও এ খাতে আশানুরূপ উন্নতি দৃশ্যমান হচ্ছে না।
২০২২ সালের তথ্য মতে, জীবন বীমা খাতে সংগৃহীত প্রিমিয়ামের মাঝে ইসলামি জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত মার্কেট শেয়ার কেবল ১৮.৭১% এবং সাধারণ বীমা খাতে সংগৃহীত প্রিমিয়ামের মধ্যে ইসলামি সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলোর মার্কেট শেয়ার ৮.১৫%। শরিয়াহসম্মত অর্থব্যবস্থার ক্রমবর্ধমান চাহিদা থাকার পরেও ইসলামি বীমা খাতের এ দুর্বলতার কারণ হিসেবে ইসলামি বীমা কোম্পানি পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র্য আইনগত কাঠামোর অভাব প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
বীমা আইন ২০১০ সালের ধারা—৭ এ কোন ধরণের বীমা প্রতিষ্ঠান ইসলামি বীমা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে শুধুমাত্র সে বিষয়ে উল্লেখ থাকলেও তা একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ইসলামি বীমা কোম্পানি গঠন এবং পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়। ইসলামি বীমা কোম্পানির পূর্ণাঙ্গ অভ্যন্তরীণ গঠন, পরিচালনা, সেবা, গ্রাহকের সাথে চুক্তির ধরণ, কর্মপদ্ধতি, পরিচালনা ব্যবস্থা এবং শরিয়াহ বোর্ড সম্পর্কে ধারণা সম্বলিত যে বিধিমালা প্রয়োজন তা এখনো তৈরি হয় নি। বিধিবিধানের অপ্রতুলতার কারণে ইসলামি বীমা কোম্পানিগুলো গঠনমূলক নির্দেশনা পাচ্ছে না। তাই প্রচলিত বীমা কোম্পানির কার্যক্রম এবং ইসলামি বীমা কোম্পানির কার্যক্রমের মধ্যে কোন পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
আইডিআরের সদস্যদের মাঝে এখন পর্যন্ত ইসলামি বীমাকে প্রগতিশীল করে তোলার জন্য কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। বরং ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে যারা IDRA — এর সদস্য ছিলেন তাদের মাঝে কেউ কেউ বিভিন্ন ইসলামি বীমা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে অনধিকার চর্চার মাধ্যমে সদস্য নিয়োগ দিয়ে কোম্পানির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরিতে সমর্থন দিয়েছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরও IDRA—তে ইসলামি বীমা বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং আগ্রহী কোন সদস্য নিয়োগ দেয়া হয় নি।
১৯৯৯ সালে বাংলাদেশে ইসলামি বীমা কোম্পানি প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়া হলেও I আইডিআরে ইসলামি বীমার নীতিমালা তৈরির জন্য স্বতন্ত্র্য কোন শাখা তৈরি হয়নি। তাই বিশেষায়িত উদ্যোগ ছাড়া ইসলামি বীমা কোম্পানিগুলো সঠিক পথে অগ্রসর হতে পারছে না।
বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স একাডেমির অধীনে বীমা খাতে দক্ষ প্রফেশনাল তৈরির জন্য সার্টিফিকেট কোর্স, ডিপ্লোমা ডিগ্রি, প্রশিক্ষণ কর্মশালা ইত্যাদি বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। উক্ত একাডেমির পক্ষ থেকে ইসলামি বীমাকে পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
ইসলামি বীমা কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের থেকে প্রিমিয়ামের টাকা নিয়ে যে বিনিয়োগ করে তার যথার্থ ডকুমেন্ট সংরক্ষণ এবং ডিজক্লোজার সম্পর্কে স্টেকহোল্ডারদের জানার সুযোগ নেই বললেই চলে। স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানিও তাদের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে না। তাই চেষ্টা করলেও স্টেকহোল্ডারদের পক্ষে কোম্পানিটি আসলেই শরিয়াহসম্মতভাবে এবং দেশীয় আইন যথাযথভাবে পালন করে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা জানা সম্ভব হয় না।
ইসলামিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার মূলভিত্তি হল ব্যবসায়িক চুক্তিসমূহ সঠিকভাবে সম্পাদন হওয়া। এ বিষয়ে নিশ্চয়তা প্রদানের দায়িত্ব শরিয়াহ সুপারভাইজরি বোর্ডের। কিন্তু কোম্পানিগুলোর শরিয়াহ সুপারভাইজরি বোর্ডের কার্যক্রমে তৎপরতার মারাত্মক অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। ইসলামি ব্যাংকিং নিয়ে সম্প্রতি গ্রাহকদের মাঝে সচেতনতা দেখা গেলেও ইসলামি বীমা গ্রাহকদের সচেতনতার স্থান দখল করতে সক্ষম হয় নি। ইসলামি বীমা কোম্পানিগুলো প্রচলিত বীমা থেকে ইসলামি বীমার ভিন্নতা গ্রাহকদের সামনে তারা তুলে ধরতে সক্ষম হয়নি।
কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি, পরিচালনা পর্ষদে সদস্য অন্তর্ভুক্তিতে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ, একই পরিবারের বহুজনকে পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্তকরণ, তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠানের সদস্যগণকর্তৃক অন্যায় সুবিধাপ্রাপ্তি প্রভৃতি কারণে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল ইসলামি বীমা কোম্পানিগুলোতে নিয়োগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বাংলাদেশে ১৪১টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বীমা জরিপধারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের কাজ সাধারণ বীমার ক্ষেত্রে গ্রাহকের ঝুঁকিসমূহ পরিমাপ করা। এ সকল জরিপকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য ইসলামি সাধারণ বীমার ক্ষেত্রে গ্রাহকের ঝুঁকি পরিমাপ করার জন্য বিশেষ কোন নির্দেশনা নেই।
ইসলামি বীমা কোম্পানিতে ওয়াকালাহ (এজেন্সি)—এর ভিত্তিতে গ্রাহকগণের ফান্ড থেকে কোম্পানির অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক ব্যয়ের ফান্ড সম্পূর্ণ পৃথক না থাকলে আমানতদারিতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না এবং গ্রাহকগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ থাকে না। কিন্তু ইসলামি বীমা কোম্পানিগুলো গ্রাহকগণের ফান্ড কিভাবে বিনিয়োগ করে, বিনিয়োগের খাত হালাল কিনা, প্রশাসনিক ব্যয় থেকে গ্রাহকদের ফান্ড পৃথক রেখে কোম্পানি পরিচালনা করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে না। ফলে কোম্পানির কার্যপদ্ধতিতে স্বচ্ছতা আসে না। বিশেষ করে গ্রাহকগণের প্রিমিয়াম ফান্ড থেকে কতটুকু অংশ নিয়ে তাবাররু ফান্ড (গ্রাহকগণ থেকে প্রাপ্ত প্রিমিয়ামের যে অংশ দিয়ে অনুদান তহবিল গঠিত হয়) সৃষ্টি হচ্ছে সে ব্যাপারে সঠিক ফিন্যান্সিয়াল ডিজক্লোজার খুঁজে পাওয়া যায় না।
ইসলামি বীমার এই ক্রান্তিলগ্নে জনগণের মাঝে ইসলামি বীমা সম্পর্কে সুধারনা সৃষ্টি এবং বাংলাদেশে শরিয়াহর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে ইসলামি বীমার বাজার সম্প্রসারণের জন্য করনীয় হিসেবে যে বিষয়গুলো নজরে আনা দরকার তা হলো-
১. আইডিআরের সদস্যদের মাঝে ইসলামি অর্থব্যবস্থা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ সদস্যগণের নিয়োগ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উক্ত সদস্যের নেতৃত্বে আইডিআরের ইসলামি বীমা বিষয়ক বিধিবিধান ও নীতিমালা প্রস্তুতের জন্য স্বতন্ত্র্য টিম গঠন করতে হবে। উক্ত টিমের অধীনে দেশের সকল ইসলামি বীমা কোম্পানিগুলোতে এক্সটার্নাল শরিয়াহ অডিট পরিচালনা করতে হবে।
২. স্বতন্ত্র্য এই শাখার কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে উক্ত শাখার অধীনে শরিয়াহ বিশেষজ্ঞ, ইসলামি বীমা কোম্পানির উপযোগি সেবা প্রদানের পদ্ধতি বিষয়ে অভিজ্ঞ সদস্যবৃন্দ এবং ইসলামি বীমার আন্তর্জাতিক অবস্থা সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গকে দায়িত্বে নিয়োজিত করা ইসলামি বীমার সম্প্রসারণের একটি সম্ভাব্য পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
৩. ইসলামি বীমার সঠিক মার্কেটিংয়ের জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের মাঝে দক্ষতা গড়ে তুলতে হবে। আধুনিক বাজারজাতকরণ পদ্ধতি প্রয়োগ এবং ইসলামি বীমার সঠিক জ্ঞান ছাড়া মাঠ পর্যায়ে এজেন্ট নিয়োগ দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৪. বাংলাদেশে ইসলামি বীমাখাতে কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য যে সকল প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম, সার্টিফিকেট কোর্স, ডিপ্লোমা ডিগ্রী পরিচালনা করে তাদের পক্ষ থেকে ইসলামি বীমা কোম্পানিগুলোর মাঠ পর্যায় থেকে ঊর্ধ্বতন পর্যায় পর্যন্ত কর্মকর্তাদের জন্য ইসলামি বীমা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করতে হবে এবং তাতে সকলের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৫. প্রতিটি ইসলামি বীমা কোম্পানির শরিয়াহ সুপারভাইজরি বোর্ডকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। শরিয়াহ সুপারভাইজরি বোর্ড আইডিআরের ইসলামিক বীমা সংশ্লিষ্ট টিমের কাছে শরিয়াহ প্রয়োগের বিষয়ে জবাদিহিতা করতে বাধ্য থাকবেন।
৬. ইসলামি বীমা কোম্পানিগুলো তাদের বিনিয়োগের খাতগুলোর একটি তালিকা কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদনে বাধ্যতামূলকভাবে প্রকাশ করবে যাতে বিনিয়োগের শরিয়াহসম্মত খাতগুলোর ব্যাপারে গ্রাহকগণ অবহিত ও আশ্বস্ত হতে পারেন।
৭. পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিটি ইসলামি বীমা কোম্পানিকে তাদের বার্ষিক, ত্রৈমাসিক ও ষাণ্মাসিক প্রতিবেদন ও আর্থিক বিবরণী কোম্পানির নিজস্ব ওয়েবসাইটে বাধ্যতামূলকভাবে প্রকাশ করতে হবে।
৮. শরিয়াহ সুপারভাইজরি বোর্ডের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি গ্রাহকের সাথে চুক্তির যথার্থতা নিরূপণের জন্য কোম্পানির ইন্টারনাল অডিট টিমে শরিয়াহ অডিটের জন্য স্বতন্ত্র্য মুরাক্বিব নিয়োগ দিতে হবে।
৯. ইসলামি সাধারণ বীমার অধীনে যে বিভিন্ন প্রকার বীমা সেবা প্রদান করা হয় সেগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি পরিমাপের জন্য ইসলামি বীমা সম্পর্কে সম্যক ধারণা সম্বলিত একচুয়ারিয়ানকে দায়িত্ব দিতে হবে। সে সাথে ইসলামি সাধারণ বীমাকে প্রচলিত সাধারণ বীমা থেকে পৃথক বিবেচনা করে শরিয়াহ প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য ঝুঁকি পরিমাপের ক্ষেত্রে অধিক সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।
১০. ইসলামি বীমা কোম্পানিগুলোর গ্রাহকগণের থেকে প্রাপ্ত প্রিমিয়ামের ফান্ড এবং কোম্পানির প্রশাসনিক ও পরিচালনা সংক্রান্ত ব্যয়ের ফান্ডের পৃথক হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে। সর্বোচ্চ আমানতদারিতা বজায় রাখার জন্য গ্রাহকগণ থেকে প্রাপ্ত প্রিমিয়ামের কি পরিমাণ অংশ তাবাররু ফান্ড হিসেবে সংরক্ষিত হচ্ছে তাও সঠিকভাবে প্রকাশ করতে হবে।
তথ্যসূত্রঃ
১/ মোঃ জহুরুল ইসলাম, বীমা আইন ও বীমা নীতিমালা, ল বুক কোম্পানী, ঢাকা।
২/ বার্ষিক প্রতিবেদন (২০২০—২০২১, ২০২১—২০২২, ২০২২—২০২৩), বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ
৩/ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বার্ষিক প্রতিবেদন (২০২৩—২০২৪), অর্থ মন্ত্রনালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
৪/ Year Book 2022, Bangladesh Insurance Association.
৫/ মোঃ ইব্রাহীম খলিল, ইসলামী ব্যাংকিং ও বীমা, মেরিট ফেয়ার প্রকাশন, ঢাকা।
লেখক:
নুসরাত জাহান রাত্রি, পিএইচডি গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও
মো শাহেদ আলম, ম্যানেজার, ইসলামিক ফাইন্যান্সিং ডিভিশন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড