ঢাকা ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

বেঙ্গল টেরর / বিউটিফুল ব্লু ডেভিল আসলে কি❓

হালকা বেগুনি রঙের স্নিগ্ধ ফুলগুলোকে কেনো ‘বিউটিফুল ব্লু ডেভিল’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিলো? কেনোই বা এগুলো হয়ে উঠেছিল ইংরেজ প্রশাসনের মাথা ব্যথার কারণ?

বর্তমানে বাংলাদেশের খাল, বিল, নদী কিংবা জলাশয়ে সবুজ রঙের যেসব কচুরিপানা ও হালকা বেগুনি রঙের কচুরি ফুল দেখা যায় প্রায় দেড়শ বছর আগেও এদের কোনো অস্তিত্ব ছিল না বাংলায়। এটি মূলত আমাজন জঙ্গলের জলাশয়ে থাকা একটি উদ্ভিদ। তবে কিভাবে আমাজন হতে বাংলায় এই উদ্ভিদের আগমন ঘটে তা নিয়ে নানা মতবাদ আছে। বাংলাপিডিয়া অনুসারে ১৮শ শতকের শেষভাগে (১৮৮৪ সাল) দক্ষিণ আমেরিকার দেশ (ব্রাজিল) থেকে জর্জ মরগান নামের একজন স্কটিশ ব্যবসায়ী অর্কিড সদৃশ হালকা বেগুনি রঙের ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে আমাজন থেকে বাংলায় এই কচুরিপানা নিয়ে আসেন। তবে আরেক গবেষণা অনুযায়ী, এই কচুরিপানা এসেছে অস্ট্রেলিয়া থেকে, এনেছিলেন নারায়ণগঞ্জের একজন পাট ব্যবসায়ী। আবার কলকাতা বোটানিক্যাল গার্ডেনে বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ১৮৯০ দশকের আশেপাশের কোনো সময়ে কচুরিপানার আগমন ঘটে বাংলায়।

উপযুক্ত পরিবেশ পেলে খুবই সহনশীল এবং দ্রুত বর্ধনশীল এই উদ্ভিদ মাত্র ৫০ দিনে একটি উদ্ভিদ থেকে তিন হাজারের বেশি সংখ্যায় বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে যেতে পারে। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে ১৯২০ সালের মধ্যে বাংলার প্রতিটি নদী, নালা, খাল, বিল কচুরিপানায় ছেয়ে যায় এবং দুর্দশা ডেকে আনে কৃষি খাতে। যেটি পূর্ব বাংলার অর্থনীতিতে বড় ধাক্কার কারণ হয়ে উঠে। কারণ সেসময় বাণিজ্যের প্রধান রুট ছিল নদীপথ ও জলাশয়। কচুরিপানার কারণে বাণিজ্যে যাতায়াত ব্যাঘাত ঘটতে থাকে। এছাড়াও কচুরিপানা পচে বিষাক্ত গ্যাস পানিতে মিশে যেতো এবং প্রচুর পরিমাণে জলজ উদ্ভিদ, মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী মারা যেত। জেলেরা কচুরিপানার জন্য জাল ফেলতে পারত না। মানুষের জন্যও এই পানি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে একসময়। ইনফ্লুয়েঞ্জা, কলেরা এবং বিভিন্ন পানি বাহিত রোগের কারণও কচুরিপানা। ম্যালেরিয়া রোগের জন্য দায়ী এনোফেলিস মশার আবাসস্থল ছিল এই কচুরিপানা, যার কারণে বঙ্গদেশে ম্যালেরিয়া প্রকোপের জন্যও পরোক্ষভাবে কচুরিপানাকে দায়ী করা হয়। মনে করা হয় এই অঞ্চলে মহাদুর্ভিক্ষে ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর পেছনে কচুরিপানার অবদান কম নয়। এসব কারণে তখন কচুরিপানাকে ‘বিউটিফুল ব্লু ডেভিল’ এবং ‘বেঙ্গল টেরর’ আখ্যা দেয়া হয়েছিল।

এরপর অর্থনীতি বাঁচাতে শখের বশে নিয়ে আসা কচুরিপানা দমনের জন্য উঠে পড়ে লাগেন তৎকালীন ইংরেজ প্রশাসন। ১৯১৬ সালে ওয়াটার হায়াসিন্থ কমিটির সেক্রেটারি কেনেথ ম্যাকলিন ঢাকা এগ্রিকালচারাল ফার্মে কচুরিপানার রাসায়নিক উপাদানের উপর গবেষণা করেন এবং দেখতে পান এতে উচ্চমাত্রার পটাশ, নাইট্রোজেন, এবং ফসফরিক এসিড রয়েছে। তখন বাণিজ্যিক ভাবে কচুরিপানাকে জৈব সার, পশু খাদ্য, ও রাসায়নিক উপাদান তৈরিতে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্ববাজারে পটাশ সংকট মিটিয়েছিলো কচুরিপানা। তারপরও কচুরিপানা নিধন সম্ভব হলো না। তাই, ১৯২১ সালে তৈরি হয় কচুরিপানা নির্মূল কমিটি। কমিটি কচুরিপানার উপর বৈজ্ঞানিক গবেষণা অব্যাহত রাখা এবং অর্থনৈতিক ব্যবহার বাড়ানোর উপর জোর দেন। তারপরও ঠেকানো গেল না কচুরিপানাকে। ১৯৩৬ সালে ‘কচুরিপানা বিধি’ জারি করা হয়। বিধি অনুসারে নিজ নিজ জমি বা এলাকা থেকে কচুরিপানা নিষিদ্ধ করা হয় এবং কচুরিপানা পরিষ্কার অভিযানে সকলের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হয়। এমনকি ১৯৩৭ সালে নির্বাচনের রাজনৈতিক দল গুলো পর্যন্ত বাংলাকে কচুরিপানা মুক্ত করার অঙ্গীকার দেয়। নির্বাচনের পর শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক কচুরিপানা নিধন কর্মসূচি হাতে নেন এবং ১৯৩৯ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে তিনি ‘কচুরিপানা সপ্তাহ’ পালন করেন। এভাবে কচুরিপানা ১৯৪৭ সালের দিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

যে কচুরিপানার নিধনে দেড়শ বছর আগে মানুষ উঠে পড়ে লেগেছিল আজ তা শাপে বরদান হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে কচুরিপানা থেকে বায়োমাস তৈরি করে ফারমেন্টেশনের মাধ্যমে বায়োফার্টিলাইজার প্রস্তুত করা হয়। কচুরিপানায় প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন থাকায় এটি বায়োগ্যাস উৎপাদনেও ব্যবহার হয়। এছাড়াও হাওর অঞ্চল গুলো তে কচুরিপানা চাষ করা হয়, এগুলো হাওরের ঢেউ প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে এবং ভিটেমাটি রক্ষা করে। কচুরিপানা পাতা আর মূলের মাঝে ফাঁপা কাণ্ডসদৃশ অংশটি দূষিত পানি থেকে ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, কোবাল্ট, নিকেল, সীসা এবং পারদসহ বিভিন্ন ভারী ধাতুসমূহ শোষণ করে নিতে পারে যা দূষিত পানিকে দূষণমুক্ত করছে। গ্রামীণ বাংলায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পেও বিস্তর অবদান রাখছে কচুরিপানা। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পরিবেশ বান্ধব, দৃষ্টি নন্দন ও প্রসাধনী পণ্য সমূহ বিদেশে রপ্তানি হয়। সামগ্রিকভাবে এটি বর্তমানে অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

বেঙ্গল টেরর / বিউটিফুল ব্লু ডেভিল আসলে কি❓

আপডেট সময় ১২:০৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হালকা বেগুনি রঙের স্নিগ্ধ ফুলগুলোকে কেনো ‘বিউটিফুল ব্লু ডেভিল’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিলো? কেনোই বা এগুলো হয়ে উঠেছিল ইংরেজ প্রশাসনের মাথা ব্যথার কারণ?

বর্তমানে বাংলাদেশের খাল, বিল, নদী কিংবা জলাশয়ে সবুজ রঙের যেসব কচুরিপানা ও হালকা বেগুনি রঙের কচুরি ফুল দেখা যায় প্রায় দেড়শ বছর আগেও এদের কোনো অস্তিত্ব ছিল না বাংলায়। এটি মূলত আমাজন জঙ্গলের জলাশয়ে থাকা একটি উদ্ভিদ। তবে কিভাবে আমাজন হতে বাংলায় এই উদ্ভিদের আগমন ঘটে তা নিয়ে নানা মতবাদ আছে। বাংলাপিডিয়া অনুসারে ১৮শ শতকের শেষভাগে (১৮৮৪ সাল) দক্ষিণ আমেরিকার দেশ (ব্রাজিল) থেকে জর্জ মরগান নামের একজন স্কটিশ ব্যবসায়ী অর্কিড সদৃশ হালকা বেগুনি রঙের ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে আমাজন থেকে বাংলায় এই কচুরিপানা নিয়ে আসেন। তবে আরেক গবেষণা অনুযায়ী, এই কচুরিপানা এসেছে অস্ট্রেলিয়া থেকে, এনেছিলেন নারায়ণগঞ্জের একজন পাট ব্যবসায়ী। আবার কলকাতা বোটানিক্যাল গার্ডেনে বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ১৮৯০ দশকের আশেপাশের কোনো সময়ে কচুরিপানার আগমন ঘটে বাংলায়।

উপযুক্ত পরিবেশ পেলে খুবই সহনশীল এবং দ্রুত বর্ধনশীল এই উদ্ভিদ মাত্র ৫০ দিনে একটি উদ্ভিদ থেকে তিন হাজারের বেশি সংখ্যায় বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে যেতে পারে। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে ১৯২০ সালের মধ্যে বাংলার প্রতিটি নদী, নালা, খাল, বিল কচুরিপানায় ছেয়ে যায় এবং দুর্দশা ডেকে আনে কৃষি খাতে। যেটি পূর্ব বাংলার অর্থনীতিতে বড় ধাক্কার কারণ হয়ে উঠে। কারণ সেসময় বাণিজ্যের প্রধান রুট ছিল নদীপথ ও জলাশয়। কচুরিপানার কারণে বাণিজ্যে যাতায়াত ব্যাঘাত ঘটতে থাকে। এছাড়াও কচুরিপানা পচে বিষাক্ত গ্যাস পানিতে মিশে যেতো এবং প্রচুর পরিমাণে জলজ উদ্ভিদ, মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী মারা যেত। জেলেরা কচুরিপানার জন্য জাল ফেলতে পারত না। মানুষের জন্যও এই পানি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে একসময়। ইনফ্লুয়েঞ্জা, কলেরা এবং বিভিন্ন পানি বাহিত রোগের কারণও কচুরিপানা। ম্যালেরিয়া রোগের জন্য দায়ী এনোফেলিস মশার আবাসস্থল ছিল এই কচুরিপানা, যার কারণে বঙ্গদেশে ম্যালেরিয়া প্রকোপের জন্যও পরোক্ষভাবে কচুরিপানাকে দায়ী করা হয়। মনে করা হয় এই অঞ্চলে মহাদুর্ভিক্ষে ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর পেছনে কচুরিপানার অবদান কম নয়। এসব কারণে তখন কচুরিপানাকে ‘বিউটিফুল ব্লু ডেভিল’ এবং ‘বেঙ্গল টেরর’ আখ্যা দেয়া হয়েছিল।

এরপর অর্থনীতি বাঁচাতে শখের বশে নিয়ে আসা কচুরিপানা দমনের জন্য উঠে পড়ে লাগেন তৎকালীন ইংরেজ প্রশাসন। ১৯১৬ সালে ওয়াটার হায়াসিন্থ কমিটির সেক্রেটারি কেনেথ ম্যাকলিন ঢাকা এগ্রিকালচারাল ফার্মে কচুরিপানার রাসায়নিক উপাদানের উপর গবেষণা করেন এবং দেখতে পান এতে উচ্চমাত্রার পটাশ, নাইট্রোজেন, এবং ফসফরিক এসিড রয়েছে। তখন বাণিজ্যিক ভাবে কচুরিপানাকে জৈব সার, পশু খাদ্য, ও রাসায়নিক উপাদান তৈরিতে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্ববাজারে পটাশ সংকট মিটিয়েছিলো কচুরিপানা। তারপরও কচুরিপানা নিধন সম্ভব হলো না। তাই, ১৯২১ সালে তৈরি হয় কচুরিপানা নির্মূল কমিটি। কমিটি কচুরিপানার উপর বৈজ্ঞানিক গবেষণা অব্যাহত রাখা এবং অর্থনৈতিক ব্যবহার বাড়ানোর উপর জোর দেন। তারপরও ঠেকানো গেল না কচুরিপানাকে। ১৯৩৬ সালে ‘কচুরিপানা বিধি’ জারি করা হয়। বিধি অনুসারে নিজ নিজ জমি বা এলাকা থেকে কচুরিপানা নিষিদ্ধ করা হয় এবং কচুরিপানা পরিষ্কার অভিযানে সকলের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হয়। এমনকি ১৯৩৭ সালে নির্বাচনের রাজনৈতিক দল গুলো পর্যন্ত বাংলাকে কচুরিপানা মুক্ত করার অঙ্গীকার দেয়। নির্বাচনের পর শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক কচুরিপানা নিধন কর্মসূচি হাতে নেন এবং ১৯৩৯ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে তিনি ‘কচুরিপানা সপ্তাহ’ পালন করেন। এভাবে কচুরিপানা ১৯৪৭ সালের দিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

যে কচুরিপানার নিধনে দেড়শ বছর আগে মানুষ উঠে পড়ে লেগেছিল আজ তা শাপে বরদান হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে কচুরিপানা থেকে বায়োমাস তৈরি করে ফারমেন্টেশনের মাধ্যমে বায়োফার্টিলাইজার প্রস্তুত করা হয়। কচুরিপানায় প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন থাকায় এটি বায়োগ্যাস উৎপাদনেও ব্যবহার হয়। এছাড়াও হাওর অঞ্চল গুলো তে কচুরিপানা চাষ করা হয়, এগুলো হাওরের ঢেউ প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে এবং ভিটেমাটি রক্ষা করে। কচুরিপানা পাতা আর মূলের মাঝে ফাঁপা কাণ্ডসদৃশ অংশটি দূষিত পানি থেকে ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, কোবাল্ট, নিকেল, সীসা এবং পারদসহ বিভিন্ন ভারী ধাতুসমূহ শোষণ করে নিতে পারে যা দূষিত পানিকে দূষণমুক্ত করছে। গ্রামীণ বাংলায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পেও বিস্তর অবদান রাখছে কচুরিপানা। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পরিবেশ বান্ধব, দৃষ্টি নন্দন ও প্রসাধনী পণ্য সমূহ বিদেশে রপ্তানি হয়। সামগ্রিকভাবে এটি বর্তমানে অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখছে।