রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার কাজলায় আড়ৎদারদের নিকট থেকে চাঁদা তুলতে গিয়ে শিক্ষার্থী খোকন বাঁধা দিলে তাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠে।
গত(১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪) আনুমানিক সন্ধ্যার দিকে ঢাকা যাত্রাবাড়ীর কাজলায় এই ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী মো. খোকন বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ৯ নং ওয়ার্ডের আঃ রহিমের ছেলে
আড়ৎদার জুয়েল জানান – গতকাল সন্ধ্যায় জসিম,লিটন, সম্রাট , রহিম নামে ৬-৭ জন আমার দোকানে এসে চাঁদা দাবী করে, আমি তাদেরকে বলি কিসের চাঁদা, তারা বলে আগে যেমন দিতেন এখনও দিবেন, ৫ তারিখের পর থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা চাদা দিতে না বলছে, কেউ চাঁদা নিতে আসলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের জানাতে বলছে, এই কথা বলে আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে মারতে আসে, পরে খোকন নামে এক শিক্ষার্থী চাঁদা দিতে না বললে, এমন কথা বলতেই ৬-৭ জন লোক শিক্ষার্থী খোকনকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পরে কয়েকটি দোকানের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
আহত শিক্ষার্থী খোকন জানান – দোকান দারের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ালে পাশের থেকে আমি বলি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা চাঁদা তুলতে নিষেধ করেছে, আগে নিয়েছেন, এখন থেকে আর তারা চাঁদা দিবেনা,এমন কথা বললে তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ি আমাকে কিল, ঘুষি মারেন, পরে ব্যবসায়ীরা সবাই এগিয়ে আসলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যান। তাদের প্রত্যেকের বাসা বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়ন এর ৯ নং ওয়ার্ডে। এরা আওয়ামী লীগের আমলে যাত্রাবাড়ীর কাজলা থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলতেন, ৫ তারিখে পর রফিক, জসিম এলাকা থেকে পালিয়ে এসে সম্রাট, রহিম,লিটন, জসিম এদের সাথে যোগ দিয়ে চাঁদাবাজি করে থাকেন। রফিক পক্ষিয়া ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান নাগর হাওলাদারের গাড়ি ড্রাইভার ছিলেন।
গত ১০ তারিখের ঘটনাটি আমার নেতা সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিমকে অবগত করি, এছাড়াও বোরহানউদ্দিন উপজেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দের জানাই। এদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে কিনা এমন প্রশ্নে করলে উত্তরে বলেন – এখনও মামলা করিনি, আমি চিকিৎসা নিচ্ছি, সুস্থ হয়ে বাড়ীতে গিয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করবো এমনটাই বলেন শিক্ষার্থী খোকন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যাত্রাবাড়ী কাজলা থেকে ফুটপাতের প্রায় অনেকগুলো দোকান থেকে লিটন,সম্রাট, জসিম চাঁদা তুলতেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়া থেকে। জুয়েল ও শিক্ষার্থী খোকন এতে বাধা দেয়ায় লিটন,জসিম,সম্রাট সহ ৬-৭ এর সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব তৈরি হলে শিক্ষার্থী খোকনকে মেরে আহত করেন।