ঢাকা ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

রাজবাড়ীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দখল-চাঁদাবাজির অভিযোগ জেলা বিএনপির

রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বর্তমান সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, লুটপাট, জমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে এ অভিযোগে সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়ে স্থানীয় বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আসলাম মিয়া বক্তব্য দেন।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল আলম বলেন, আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম ওয়ার্কার্স পার্টি করতো। ২০০০ সালে অধ্যাপিকা জাহানারা বেগমের (বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান) উৎসাহ-উদ্দীপনায় আমরা তাকে বিএনপিতে নিয়ে আসি। আমাদের দলে এসে তিন মাসের মাথায় সে বিএনপির মনোনয়ন পায় এবং এমপি নির্বাচিত হয়। এমপি হয়ে পাঁচ বছরে সে রাজবাড়ী জেলা বিএনপিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলো। প্রত্যেকটা ইউনিয়নে সে বিএনপির নেতাদের বাদ দিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে রাজবাড়ীতে বিএনপির ভামূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। বিএনপি ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর গত ১৭ বছর খৈয়ম সাহেব ও তার ওয়ার্কার্স বিএনপির কেউ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সাথে আসেনি, খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ দেয়নি, তারেক রহমান জিন্দাবাদ দেয়নি, জিয়াউর রহমান জিন্দাবাদ দেয়নি। তার অনুসারীদের স্লোগান হলো খৈয়ম ভাই যেখানে, আমরা আছি সেখানে।

তিনি বলেন, ১৭ বছর তাদের কোন মিছিল-মিটিংয়ে দেখা যায়নি। রাজবাড়ী জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ টি সভা করেছে। কিন্তু আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম আহ্বায়ক কমিটির একজন সদস্য হিসেবে মাত্র একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন। অথচ গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে এবং আমাদের সকলের আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে যখন দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ওই রাত থেকেই এই দুর্বৃত্ত (আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম) তার সাথীদেরকে নিয়ে এবং আওয়ামী লীগের কিছু উচ্ছৃষ্ঠভোগীদের সাথে নিয়ে রাজবাড়ী শহরে লুটপাট ও তান্ডব চালিয়েছে। যেটা রাজবাড়ীবাসী গ্রহণ করতে পারেনি। যারা এতোদিন আমাদের বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে, আওয়ামী লীগের সেসব নিকৃষ্ট নেতাদেরকে সাথে নিয়ে খৈয়ম সাহেব মুভ করছে। এটি অত্যন্ত জঘন্য ব্যাপার। তার এই কাজকে জেলা বিএনপিসহ আমাদের প্রত্যেকটা ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা ঘৃনার সাথে দেখছে এবং প্রত্যাখ্যান করছে। এসব নেতাকর্মীদের দাবি বুঝেই আজকে আমরা সাংবাদিক ভাইদের সামনে করে আমাদের নেতা তারেক রহমানকে বলতে চাই, অনঅতি বিলম্বে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আসলাম মিয়া বলেন, আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম সাংগঠনিক শৃঙ্খলা মানেননা, কেন্দ্রীয় নির্দেশ মানেননা, দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশ মানেননা, জেলা বিএনপির নির্দেশ মানেননা। তিনি কারও নির্দেশই মানেননা। ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই কেন্দ্রঘোষিত প্রোগ্রামে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী রাজবাড়ী সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন গাজীর ওপর হামলা করে তার মাথার খুলি ভেঙে ১৩ টুকরা করেছিল। শুধুমাত্র আল্লাহর রহমতে বর্ষীয়ান এই নেতা এখনো বেঁচে আছেন। রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে আমরা একদিকে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছি। অন্যদিকে পুলিশ লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও খৈয়মলীগকে মোকাবিলা করেছি।

তিনি বলেন, আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান সাহেব বলেছেন চাঁদাবাজি, দখলবাজির সঙ্গে যারা জড়িত থাকবেন তাদেরকে দল থেকে বহিস্কার করা হবে। কিন্তু আমরা দেখছি খৈয়ম সাহেব ও তার অনুসারীরা চাঁদাবাজি-দখলবাজিতে মেতে উঠেছে। আমাদের রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলী ও তার পরিবারের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল দৌলতদিয়া ঘাট এবং ধাওয়াপাড়া বালুঘাটে চাঁদাবাজি। আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম দৌলতদিয়া ঘাট দখল করেছেন গোয়ালন্দের সাবেক ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সুলতানুল ইসলাম মুন্নুকে দিয়ে। সেখানে তিনি লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছেন। একইভাবে তিনি ধাওয়াপাড়া বালুঘাট দখল করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক নেতা বালু মালেককে দিয়ে। সেখান থেকেও তিনি লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছেন। এরইমধ্যে তিনি তার লোকজন দিয়ে মুলঘরে চার একর জমি দখল করেছেন। দলের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে অবিলম্বে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মকে দল থেকে বহিস্কার করতে হবে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বলেন, রাজবাড়ী জেলার ৮ টি ইউনিটে বিএনপির নির্বাচিত কমিটি রয়েছে। এই কমিটিগুলোকে বাইপাস করে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নামে প্রোগ্রাম করছেন। তিনি সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতা করছেন, যা মেনে নেওয়া যায়না। আমাদের প্রত্যেকটি ইউনিট কমিটি আছে, ৪২ টি ইউনিয়নে আমরা মিটিং করবো। যদি ওনারা মনে করেন আমাদের সাথে ওনারা এসে মিটিংয়ে যোগ দিবেন। নিয়মের মধ্যে থেকে, শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে থেকে রাজনীতি করতে হবে। নিজের ইচ্ছামতো হঠাৎ করে একজায়গায় মিটিং দিয়ে দিবেন, সেটা হবেনা।

সংবাদ সম্মেলনে রাজবাড়ী সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন গাজী, সদস্য সচিব মজিবর রহমান, রাজবাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, রাজবাড়ী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.এ. খালেদ পাভেল, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমানসহ জেলা বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

রাজবাড়ীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দখল-চাঁদাবাজির অভিযোগ জেলা বিএনপির

আপডেট সময় ০১:২১:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বর্তমান সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, লুটপাট, জমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে এ অভিযোগে সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়ে স্থানীয় বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আসলাম মিয়া বক্তব্য দেন।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল আলম বলেন, আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম ওয়ার্কার্স পার্টি করতো। ২০০০ সালে অধ্যাপিকা জাহানারা বেগমের (বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান) উৎসাহ-উদ্দীপনায় আমরা তাকে বিএনপিতে নিয়ে আসি। আমাদের দলে এসে তিন মাসের মাথায় সে বিএনপির মনোনয়ন পায় এবং এমপি নির্বাচিত হয়। এমপি হয়ে পাঁচ বছরে সে রাজবাড়ী জেলা বিএনপিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলো। প্রত্যেকটা ইউনিয়নে সে বিএনপির নেতাদের বাদ দিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে রাজবাড়ীতে বিএনপির ভামূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। বিএনপি ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর গত ১৭ বছর খৈয়ম সাহেব ও তার ওয়ার্কার্স বিএনপির কেউ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সাথে আসেনি, খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ দেয়নি, তারেক রহমান জিন্দাবাদ দেয়নি, জিয়াউর রহমান জিন্দাবাদ দেয়নি। তার অনুসারীদের স্লোগান হলো খৈয়ম ভাই যেখানে, আমরা আছি সেখানে।

তিনি বলেন, ১৭ বছর তাদের কোন মিছিল-মিটিংয়ে দেখা যায়নি। রাজবাড়ী জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ টি সভা করেছে। কিন্তু আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম আহ্বায়ক কমিটির একজন সদস্য হিসেবে মাত্র একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন। অথচ গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে এবং আমাদের সকলের আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে যখন দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ওই রাত থেকেই এই দুর্বৃত্ত (আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম) তার সাথীদেরকে নিয়ে এবং আওয়ামী লীগের কিছু উচ্ছৃষ্ঠভোগীদের সাথে নিয়ে রাজবাড়ী শহরে লুটপাট ও তান্ডব চালিয়েছে। যেটা রাজবাড়ীবাসী গ্রহণ করতে পারেনি। যারা এতোদিন আমাদের বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে, আওয়ামী লীগের সেসব নিকৃষ্ট নেতাদেরকে সাথে নিয়ে খৈয়ম সাহেব মুভ করছে। এটি অত্যন্ত জঘন্য ব্যাপার। তার এই কাজকে জেলা বিএনপিসহ আমাদের প্রত্যেকটা ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা ঘৃনার সাথে দেখছে এবং প্রত্যাখ্যান করছে। এসব নেতাকর্মীদের দাবি বুঝেই আজকে আমরা সাংবাদিক ভাইদের সামনে করে আমাদের নেতা তারেক রহমানকে বলতে চাই, অনঅতি বিলম্বে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আসলাম মিয়া বলেন, আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম সাংগঠনিক শৃঙ্খলা মানেননা, কেন্দ্রীয় নির্দেশ মানেননা, দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশ মানেননা, জেলা বিএনপির নির্দেশ মানেননা। তিনি কারও নির্দেশই মানেননা। ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই কেন্দ্রঘোষিত প্রোগ্রামে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী রাজবাড়ী সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন গাজীর ওপর হামলা করে তার মাথার খুলি ভেঙে ১৩ টুকরা করেছিল। শুধুমাত্র আল্লাহর রহমতে বর্ষীয়ান এই নেতা এখনো বেঁচে আছেন। রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে আমরা একদিকে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছি। অন্যদিকে পুলিশ লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও খৈয়মলীগকে মোকাবিলা করেছি।

তিনি বলেন, আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান সাহেব বলেছেন চাঁদাবাজি, দখলবাজির সঙ্গে যারা জড়িত থাকবেন তাদেরকে দল থেকে বহিস্কার করা হবে। কিন্তু আমরা দেখছি খৈয়ম সাহেব ও তার অনুসারীরা চাঁদাবাজি-দখলবাজিতে মেতে উঠেছে। আমাদের রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলী ও তার পরিবারের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল দৌলতদিয়া ঘাট এবং ধাওয়াপাড়া বালুঘাটে চাঁদাবাজি। আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম দৌলতদিয়া ঘাট দখল করেছেন গোয়ালন্দের সাবেক ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সুলতানুল ইসলাম মুন্নুকে দিয়ে। সেখানে তিনি লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছেন। একইভাবে তিনি ধাওয়াপাড়া বালুঘাট দখল করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক নেতা বালু মালেককে দিয়ে। সেখান থেকেও তিনি লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছেন। এরইমধ্যে তিনি তার লোকজন দিয়ে মুলঘরে চার একর জমি দখল করেছেন। দলের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে অবিলম্বে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মকে দল থেকে বহিস্কার করতে হবে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বলেন, রাজবাড়ী জেলার ৮ টি ইউনিটে বিএনপির নির্বাচিত কমিটি রয়েছে। এই কমিটিগুলোকে বাইপাস করে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নামে প্রোগ্রাম করছেন। তিনি সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতা করছেন, যা মেনে নেওয়া যায়না। আমাদের প্রত্যেকটি ইউনিট কমিটি আছে, ৪২ টি ইউনিয়নে আমরা মিটিং করবো। যদি ওনারা মনে করেন আমাদের সাথে ওনারা এসে মিটিংয়ে যোগ দিবেন। নিয়মের মধ্যে থেকে, শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে থেকে রাজনীতি করতে হবে। নিজের ইচ্ছামতো হঠাৎ করে একজায়গায় মিটিং দিয়ে দিবেন, সেটা হবেনা।

সংবাদ সম্মেলনে রাজবাড়ী সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন গাজী, সদস্য সচিব মজিবর রহমান, রাজবাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, রাজবাড়ী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.এ. খালেদ পাভেল, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমানসহ জেলা বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।