ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

বিএনপির বহিস্কৃত নেতার বিচার দাবিতে ঝাড়ু মিছিল

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার বড় ভাই আব্দুল হালিম মৃধাসহ ৬ জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনায় জড়িত আমতলী উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকির ও তার ছেলে রাতাত ফকিরের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ছুরিকাটা নামক স্থানে এলাকাবাসী এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে সড়কে ঝাড়ু মিছিল করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়।

জানা গেছে, আমতলী সদর ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা গ্রামে পাওয়ার গ্রীডের উপ-কেন্দ্রের শ্রমিক সরবরাহকে কেন্দ্র করে গত বুধবার বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন বিকেলে উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকিরের ছেলে রাহাত ফকির শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার বড় ভাই আবুল হালিম মৃধাসহ তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট করে।

এ সময় আব্দুল হালিম মৃধা কবির খাঁন, মিজানুর রহমান তালুকদার, আবুল কালাম আজাদ, মুছা মিয়া, মিলন ও ইউসুফ সরদারকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। তারা বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার তুহিন মৃধা বাদী হয়ে আমতলী থানায় জালাল উদ্দিন ফকিরকে প্রধান ও তার ছেলে রাহাত ফকিরসহ ২৬ জনকে আসামী করে হত্যা চেষ্টা ও লুটপাটের অভিযোগ এনে আমতলী থানায় মামলা করেছেন।

এ ঘটনার বিচার চেয়ে এলাকাবাসী শনিবার বিকেলে আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ছুটিকাটা নামক স্থানে মানববন্ধন করেছে। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়। এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মো. ফোরকান মোল্লা। বক্তব্য রাখেন হাফসা, শিউলী বেগম, পাশা মোল্লা, আবু সালেহ, সোহাগ, হাসান ও খোকন খাঁন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পরে আমতলী উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকির ও তার ছেলে রাহাত ফকিরসহ শতাধিক নেতাকর্মী আমতলী উপজেলায় ব্যাপক তান্ডব চালায়। পৌরসভা অফিস ও বাড়ি-ঘর ভাংচুর, জমি দখল, দোকান লুট, ট্যাম্পু স্ট্যান্ড দখল, চাঁদাবাজি ও অগ্নি সংযোগসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরেন।

এব্যাপারে আমতলী উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকির বলেন, আমার ও আমার ছেলের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে সেগুলো মিথ্যা। আমার নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

বিএনপির বহিস্কৃত নেতার বিচার দাবিতে ঝাড়ু মিছিল

আপডেট সময় ১০:৩০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার বড় ভাই আব্দুল হালিম মৃধাসহ ৬ জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনায় জড়িত আমতলী উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকির ও তার ছেলে রাতাত ফকিরের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ছুরিকাটা নামক স্থানে এলাকাবাসী এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে সড়কে ঝাড়ু মিছিল করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়।

জানা গেছে, আমতলী সদর ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা গ্রামে পাওয়ার গ্রীডের উপ-কেন্দ্রের শ্রমিক সরবরাহকে কেন্দ্র করে গত বুধবার বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন বিকেলে উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকিরের ছেলে রাহাত ফকির শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার বড় ভাই আবুল হালিম মৃধাসহ তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট করে।

এ সময় আব্দুল হালিম মৃধা কবির খাঁন, মিজানুর রহমান তালুকদার, আবুল কালাম আজাদ, মুছা মিয়া, মিলন ও ইউসুফ সরদারকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। তারা বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার তুহিন মৃধা বাদী হয়ে আমতলী থানায় জালাল উদ্দিন ফকিরকে প্রধান ও তার ছেলে রাহাত ফকিরসহ ২৬ জনকে আসামী করে হত্যা চেষ্টা ও লুটপাটের অভিযোগ এনে আমতলী থানায় মামলা করেছেন।

এ ঘটনার বিচার চেয়ে এলাকাবাসী শনিবার বিকেলে আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ছুটিকাটা নামক স্থানে মানববন্ধন করেছে। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়। এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মো. ফোরকান মোল্লা। বক্তব্য রাখেন হাফসা, শিউলী বেগম, পাশা মোল্লা, আবু সালেহ, সোহাগ, হাসান ও খোকন খাঁন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পরে আমতলী উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকির ও তার ছেলে রাহাত ফকিরসহ শতাধিক নেতাকর্মী আমতলী উপজেলায় ব্যাপক তান্ডব চালায়। পৌরসভা অফিস ও বাড়ি-ঘর ভাংচুর, জমি দখল, দোকান লুট, ট্যাম্পু স্ট্যান্ড দখল, চাঁদাবাজি ও অগ্নি সংযোগসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরেন।

এব্যাপারে আমতলী উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকির বলেন, আমার ও আমার ছেলের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে সেগুলো মিথ্যা। আমার নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে।