ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

‘মিডিয়া ক্যু’র আশঙ্কা রিজভীর

‘মিডিয়া ক্যু’র আশঙ্কা করছেন বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিদায় নিয়েছে। তার রেখে যাওয়া গণমাধ্যমের মালিকরা এখনও দেশে বিরাজমান। আশঙ্কা করছি, সরকারের পতন হলেও মিডিয়া ক্যু হতে পারে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী মিলনায়তনে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন রিজভী। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে সাধারণ রিকশা-ভ্যানচালকরা।

রিজভী বলেন, মানবসৃষ্ট বন্যায় দুর্গত মানুষের সহযোগিতায় বিএনপির পক্ষ থেকে ত্রাণ কার্যক্রমের অবদান ভালোভাবে প্রচার করা হচ্ছে না। এমনকি, দলীয় শৃঙ্খলা বহির্ভূত কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে যাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার করা হচ্ছে, সে বিষয়ও প্রচার করা হচ্ছে না তেমনভাবে। অথচ প্রতিনিয়তই বেশকিছু গণমাধ্যমে ফলাউ করে প্রচার হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে দখলে মেতে উঠেছেন। তাই আমাদের সন্দেহ, আমরা আশঙ্কা করছি, সরকারের পতন হলেও মিডিয়া ক্যুর সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও মিডিয়ার মালিক কেউ কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, আবার কেউ কেউ আত্মগোপনে রয়েছেন।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ছিল দেশের কুখ্যাত শাসকদল। যেমন ইচ্ছে তেমনভাবে তারা দেশ পরিচালনা করেছে, শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে। তার বিদায় ঘণ্টা না শুনলেও ফ্যাসিস্ট সরকারকে কিন্তু চলে যেতে হয়েছে ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়েই। তাই তাদের (ছাত্র-জনতা) অবদানকে খাটো করে দেখার সুযোগ নাই। এখনও যারা বিভাজন করতে পাঁয়তারা করছেন, তারা সঠিক কাজ করছেন না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের বিজয় অর্জনের ক্ষেত্রে তৈরি করতে বিএনপি ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন চালিয়ে এসেছে। পরবর্তীতে আরও কেউ কেউ আন্দোলনে শরিক হয়েছে। আবার কেউ আন্দোলন থেকে দূরে সরে দেখেছেন। তারাই এখন বিভাজনমূলক কথা বলেছেন, তারা সঠিক বলেছেন না।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের সঠিক সিদ্ধান্তের বিজয় ৫ আগস্ট।

রিজভী বলেন, আজকে যারা ছাত্র-জনতার বিজয়কে খণ্ডিত করতে চাচ্ছেন, তাদেরকে মনে রাখতে হবে-বিএনপি স্বাধীনতা ঘোষকের দল। বিএনপি কোনো আঁতাতের দল নয়। দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে দলটি। বিএনপির মধ্যে যারা এখনও বিভাজন সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন তা মঙ্গলজনক হবে না। বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। ভেতরে ভেতরে যতই ষড়যন্ত্র করা হোক, বিএনপির শেকড় উপড়ে ফেলা যাবে না।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীর পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু প্রমুখ।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

‘মিডিয়া ক্যু’র আশঙ্কা রিজভীর

আপডেট সময় ০৭:২৬:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

‘মিডিয়া ক্যু’র আশঙ্কা করছেন বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিদায় নিয়েছে। তার রেখে যাওয়া গণমাধ্যমের মালিকরা এখনও দেশে বিরাজমান। আশঙ্কা করছি, সরকারের পতন হলেও মিডিয়া ক্যু হতে পারে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী মিলনায়তনে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন রিজভী। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে সাধারণ রিকশা-ভ্যানচালকরা।

রিজভী বলেন, মানবসৃষ্ট বন্যায় দুর্গত মানুষের সহযোগিতায় বিএনপির পক্ষ থেকে ত্রাণ কার্যক্রমের অবদান ভালোভাবে প্রচার করা হচ্ছে না। এমনকি, দলীয় শৃঙ্খলা বহির্ভূত কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে যাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার করা হচ্ছে, সে বিষয়ও প্রচার করা হচ্ছে না তেমনভাবে। অথচ প্রতিনিয়তই বেশকিছু গণমাধ্যমে ফলাউ করে প্রচার হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে দখলে মেতে উঠেছেন। তাই আমাদের সন্দেহ, আমরা আশঙ্কা করছি, সরকারের পতন হলেও মিডিয়া ক্যুর সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও মিডিয়ার মালিক কেউ কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, আবার কেউ কেউ আত্মগোপনে রয়েছেন।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ছিল দেশের কুখ্যাত শাসকদল। যেমন ইচ্ছে তেমনভাবে তারা দেশ পরিচালনা করেছে, শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে। তার বিদায় ঘণ্টা না শুনলেও ফ্যাসিস্ট সরকারকে কিন্তু চলে যেতে হয়েছে ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়েই। তাই তাদের (ছাত্র-জনতা) অবদানকে খাটো করে দেখার সুযোগ নাই। এখনও যারা বিভাজন করতে পাঁয়তারা করছেন, তারা সঠিক কাজ করছেন না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের বিজয় অর্জনের ক্ষেত্রে তৈরি করতে বিএনপি ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন চালিয়ে এসেছে। পরবর্তীতে আরও কেউ কেউ আন্দোলনে শরিক হয়েছে। আবার কেউ আন্দোলন থেকে দূরে সরে দেখেছেন। তারাই এখন বিভাজনমূলক কথা বলেছেন, তারা সঠিক বলেছেন না।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের সঠিক সিদ্ধান্তের বিজয় ৫ আগস্ট।

রিজভী বলেন, আজকে যারা ছাত্র-জনতার বিজয়কে খণ্ডিত করতে চাচ্ছেন, তাদেরকে মনে রাখতে হবে-বিএনপি স্বাধীনতা ঘোষকের দল। বিএনপি কোনো আঁতাতের দল নয়। দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে দলটি। বিএনপির মধ্যে যারা এখনও বিভাজন সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন তা মঙ্গলজনক হবে না। বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। ভেতরে ভেতরে যতই ষড়যন্ত্র করা হোক, বিএনপির শেকড় উপড়ে ফেলা যাবে না।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীর পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু প্রমুখ।