ঢাকা ০৩:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

অনেক বন্যা দেখেছি, এমন ভয়ংকর পরিস্থিতি দেখিনি

বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় এখনো খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে বানভাসি অনেক মানুষ। বৃষ্টি বাদলে মাথার ওপর পাতলা পলিথিন তাদের ভরসা। সব হারানো এসব মানুষ জানেনও না, আদৌ ফিরতে পারবেন কিনা নিজ বাড়িতে। আপাতত বাঁচার জন্য খাবার আর পরে পুনর্বাসনে সবার সহায়তা চেয়েছেন তারা।

ভোগান্তি নিয়ে কথা হয় কুমিল্লা সদরের শাহ আলমের সাথে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখের সামনে তলিয়ে গেছে তার বাড়ি। এখন পাশের উঁচু রাস্তায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তার বসবাস।

শাহ আলম বলেন, এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। কিছুই নিয়ে আসতে পারিনি। খাবার কষ্ট, সবকিছুরই কষ্ট। রাস্তার ওপরে আশ্রয় নিয়েছি। মশার উৎপাতে ঘুমাতেও পারি না।

শাহ আলমের মতো কুমিল্লার এমন শতশত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে রাস্তার পাশে। ঘোষিত আশ্রয় কেন্দ্র না খোলায় এখানে পর্যাপ্ত ত্রাণ বা খাদ্য সহায়তা মিলছে না। বানের পানিতেই তাদের ধোয়া-মাজা চলে। পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় নানা ভোগান্তিও বাড়ছে এসব মানুষদের।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এক বৃদ্ধ বলেন, ছোট থেকে অনেক বন্যা দেখেছি। কিন্তু এবারের মতো এমন ভয়ঙ্কর বন্যা কখনো দেখিনি। বাড়িঘর, সম্পদ সব হারিয়ে গেছে। এমন অসহায় অবস্থায় জীবনেও পড়িনি আমরা।

আরেকজন বলেন, এই কষ্টের শেষ কবে হবে? কোনদিন আমরা আবার ফিরব নিজের বাড়িতে?

ভুক্তভোগী এসব মানুষজন জানেন না, কবে নামবে পানি, ফিরবেন আপন ঠিকানায়। তার চেয়েও বড় চিন্তা ফিরে থাকবেন কোথায়, বাড়ি ঘর সম্পদ সবই তো তলিয়ে গেছে। তাই অনিশ্চিত তাদের ভবিষ্যৎ। ভুক্তভোগী এসব মানুষের প্রার্থনা, নতুন করে আর পানি না বাড়ুক।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা

অনেক বন্যা দেখেছি, এমন ভয়ংকর পরিস্থিতি দেখিনি

আপডেট সময় ১১:৩৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় এখনো খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে বানভাসি অনেক মানুষ। বৃষ্টি বাদলে মাথার ওপর পাতলা পলিথিন তাদের ভরসা। সব হারানো এসব মানুষ জানেনও না, আদৌ ফিরতে পারবেন কিনা নিজ বাড়িতে। আপাতত বাঁচার জন্য খাবার আর পরে পুনর্বাসনে সবার সহায়তা চেয়েছেন তারা।

ভোগান্তি নিয়ে কথা হয় কুমিল্লা সদরের শাহ আলমের সাথে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখের সামনে তলিয়ে গেছে তার বাড়ি। এখন পাশের উঁচু রাস্তায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তার বসবাস।

শাহ আলম বলেন, এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। কিছুই নিয়ে আসতে পারিনি। খাবার কষ্ট, সবকিছুরই কষ্ট। রাস্তার ওপরে আশ্রয় নিয়েছি। মশার উৎপাতে ঘুমাতেও পারি না।

শাহ আলমের মতো কুমিল্লার এমন শতশত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে রাস্তার পাশে। ঘোষিত আশ্রয় কেন্দ্র না খোলায় এখানে পর্যাপ্ত ত্রাণ বা খাদ্য সহায়তা মিলছে না। বানের পানিতেই তাদের ধোয়া-মাজা চলে। পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় নানা ভোগান্তিও বাড়ছে এসব মানুষদের।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এক বৃদ্ধ বলেন, ছোট থেকে অনেক বন্যা দেখেছি। কিন্তু এবারের মতো এমন ভয়ঙ্কর বন্যা কখনো দেখিনি। বাড়িঘর, সম্পদ সব হারিয়ে গেছে। এমন অসহায় অবস্থায় জীবনেও পড়িনি আমরা।

আরেকজন বলেন, এই কষ্টের শেষ কবে হবে? কোনদিন আমরা আবার ফিরব নিজের বাড়িতে?

ভুক্তভোগী এসব মানুষজন জানেন না, কবে নামবে পানি, ফিরবেন আপন ঠিকানায়। তার চেয়েও বড় চিন্তা ফিরে থাকবেন কোথায়, বাড়ি ঘর সম্পদ সবই তো তলিয়ে গেছে। তাই অনিশ্চিত তাদের ভবিষ্যৎ। ভুক্তভোগী এসব মানুষের প্রার্থনা, নতুন করে আর পানি না বাড়ুক।