অটোরিকশা বন্ধের ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে শাহবাগ মোড় ছেড়েছেন আন্দোলনরত রিকশাচালকরা। এর আগে মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধসহ ৭ দফা দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন রিকশাচালকরা। পরে দুপুর ১২টার দিকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে শাহবাগ ছেড়ে দেন তারা।
বিক্ষোভ করার সময় রিকশাচালকরা বলেন, ভাড়া না পেলে আমাদের সংসার কীভাবে চলবে। আগে প্রধান সড়কে অটোরিকশা চলত না। কিন্তু এখন রাস্তায় অটোরিকশা চলার কারণে আমরা কোনো ভাড়া পাচ্ছি না। আমাদের দাবি সহজ আর এর সমাধানও সহজ। সরকার চাইলেই আগের নিয়ম চালু করতে পারে। তাদের এটা করার জন্য আমরা ৭২ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি।
আন্দোলনরত রিকশাচালকদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো— ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মতো ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে রিকশা মালিকানা নতুন লাইসেন্স প্রদান ও পুরাতন লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে; সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ও বৈধ লাইসেন্সধারী রিকশা পেশাজীবীদের স্বার্থে ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকে চালক লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। অসুস্থ চালকদের ফ্রি ফ্রাইডে মেডিকেল চিকিৎসা প্রদান করতে হবে; ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিকশা পেশাজীবীদের ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স দিতে হবে।
এছাড়া এককালে রিকশা বাঙালি মুলুকের প্রাচীন বাহন হিসেবে (নৌকা, পালকি, ঘোড়াগাড়ি) এর মতো রিকশাকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ন্যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় জাদুঘরে স্থান দিতে হবে; বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে সব বীর নিহত হয়েছেন ও যারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, তাদেরকে বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতিবাজদের অর্থ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে, সংগৃহীত অর্থ দিয়ে পরিবারকে পূণর্বাসন ও আহতদের সু-চিকিৎসা প্রদান করতে হবে এবং বিগত সরকারের সময়কালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও সরকার দলীয় চাঁদাবাজরা আধিপত্য বিস্তার করে রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকায় অন্যায় ও বেআইনিভাবে বিশেষ পোশাকে রিকশা পরিচালনা করে আসছিল, সেসকল রিকশাগুলোকে বন্ধ করে, পায়ে চালিত বৈধ রিকশাকে চলাচলের সুযোগ দিতে হবে।