ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

রংপুরে শেখ হাসিনা-রেহানা-ডিসি-এসপিসহ ৪৫১ জনের নামে মামলা

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। রোববার দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি আমলি আদালতে মামলাটি করেছেন দোকান শ্রমিক মমদেল হোসেন মমদেল (২৮)। মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী আন্দোলনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, সাবেক সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায় ও নাইমুল ইসলাম খান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য অপু উকিল, সাবেক বিচারপতি শামসুজ্জামান চৌধুরী মানিক, সাবেক বিচারপতি আক্তারুজ্জামান, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান, বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) উত্তম কুমার পাল, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার রায়সহ রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের ৪৫১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ জন।

মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিটি বাজার এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের গুলিতে বাদী মমদেল হোসেনের বাম পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ গুঁড়ো হয়ে যায়। এছাড়া হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। পরে তাকে রংপুর থেকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার বাম পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ ও হাতের আঙুল কেটে ফেলা হয়। ওইদিন ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান অন্তত পাঁচজন। শেখ হাসিনাসহ উল্লেখিত ১৪ জনের নির্দেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এমন তাণ্ডব চালিয়েছে বলে আবেদনে বলা হয়।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

রংপুরে শেখ হাসিনা-রেহানা-ডিসি-এসপিসহ ৪৫১ জনের নামে মামলা

আপডেট সময় ১২:২৫:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। রোববার দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি আমলি আদালতে মামলাটি করেছেন দোকান শ্রমিক মমদেল হোসেন মমদেল (২৮)। মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী আন্দোলনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, সাবেক সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায় ও নাইমুল ইসলাম খান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য অপু উকিল, সাবেক বিচারপতি শামসুজ্জামান চৌধুরী মানিক, সাবেক বিচারপতি আক্তারুজ্জামান, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান, বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) উত্তম কুমার পাল, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার রায়সহ রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের ৪৫১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ জন।

মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিটি বাজার এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের গুলিতে বাদী মমদেল হোসেনের বাম পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ গুঁড়ো হয়ে যায়। এছাড়া হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। পরে তাকে রংপুর থেকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার বাম পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ ও হাতের আঙুল কেটে ফেলা হয়। ওইদিন ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান অন্তত পাঁচজন। শেখ হাসিনাসহ উল্লেখিত ১৪ জনের নির্দেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এমন তাণ্ডব চালিয়েছে বলে আবেদনে বলা হয়।