চট্টগ্রামে কাঁচামরিচের দাম হাজার টাকা কেজি ছাড়িয়ে গেছে। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০৫০ টাকা থেকে ১১০০ টাকায়। আবার অনেক বাজারে টাকা দিয়েও মিলছে না কাঁচামরিচ।
চট্টগ্রাম-ফেনীসহ দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যার অজুহাতে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। বেশির ভাগ সবজি দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ১০০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না। গত ৩ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত।
সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফেনী-কুমিল্লায় বন্যার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক তলিয়ে গেছে। ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি আসতে পারছে না। সবজিসহ সবকিছু পরিবহণ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে সবকিছুর দাম হু হু করে বাড়ছে।
বুধবারও কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ২০০ টাকার কম। শনিবার থেকে কাঁচামরিচের দাম বাড়তে শুরু করে। এখন কাঁচা মরিচের দাম হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এমনকি টাকা দিয়েও মিলছে না কাঁচামরিচ। এখন ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা দরে। মানভেদে ১০ টাকা কম-বেশি রয়েছে।
নগরীর কাঁচাবাজার চকবাজার, বহদ্দারহাট, রিয়াজউদ্দিন বাজার, কর্ণফুলী মার্কেটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, কাকরুল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, শসা ১২০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, চিচিঙ্গিা ১০০ টাকা, তিতা করলা ১২০ টাকা, টমেটো ৩০০ টাকা, বেগুন ১৪০ টাকা, আলু ৬৫ টাকা এবং ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
চকবাজারের সবজি বিক্রেতা রূপম নাথ জানান, বন্যার পর থেকে উত্তরবঙ্গ থেকে কাঁচামরিচসহ সবজির কোনো গাড়িই আসেনি। এখন আগের সবজিগুলো বিক্রি হচ্ছে। আর কিছু সবজি দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসছে। এ কারণে সব সবজির দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া কিংবা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক না হাওয়া পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই।