ঢাকা ০৯:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

মাওলানা সাঈদীর মৃত্যুবার্ষিকী কাল, জামায়াতের বিবৃতি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল ১৪ আগস্ট।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন তিনি। গত বছরের ১৪ আগস্ট রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) মাওলানা সাঈদীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তার অবদানের কথা স্মরণ করে এক বিবৃতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট রাতে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ইন্তেকাল করেন।

তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকায় এনে সন্ধ্যায় পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। চিকিৎসায় অবহেলার বহু তথ্য প্রচারিত হয়েছে। এমনকি ওই অবস্থায় তার সন্তান ও স্ত্রীকে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি। এমনই এক পরিস্থিতিতে পিজি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

জামায়াতের আমির বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইন্তেকালের পর ঢাকায় তার জানাজা আদায় করতে দেওয়া হয়নি। লাখ লাখ তৌহিদি জনতা ঢাকায় জানাজা আদায়ের দাবি জানালে পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি চালিয়ে শত শত লোককে আহত করে।

অবশেষে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর লাশ তার পিরোজপুর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়। লাখ লাখ তৌহিদি জনতা সাঈদীর জন্য অশ্রুসিক্ত চোখে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।

তিনি বলেন, আল্লামা সাঈদী এখন আমাদের মাঝে নেই। তিনি তার জীবন ও কর্ম আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে রেখে গেছেন। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে তিনি দেশে-বিদেশ কোরআনের তাফসির করেছেন।

জাতীয় সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছেন। আমি তার অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন তার মৃত্যুকে শহীদি মৃত্যু হিসেবে কবুল করুন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

মাওলানা সাঈদীর মৃত্যুবার্ষিকী কাল, জামায়াতের বিবৃতি

আপডেট সময় ০৫:৫৩:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল ১৪ আগস্ট।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন তিনি। গত বছরের ১৪ আগস্ট রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) মাওলানা সাঈদীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তার অবদানের কথা স্মরণ করে এক বিবৃতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট রাতে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ইন্তেকাল করেন।

তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকায় এনে সন্ধ্যায় পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। চিকিৎসায় অবহেলার বহু তথ্য প্রচারিত হয়েছে। এমনকি ওই অবস্থায় তার সন্তান ও স্ত্রীকে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি। এমনই এক পরিস্থিতিতে পিজি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

জামায়াতের আমির বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইন্তেকালের পর ঢাকায় তার জানাজা আদায় করতে দেওয়া হয়নি। লাখ লাখ তৌহিদি জনতা ঢাকায় জানাজা আদায়ের দাবি জানালে পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি চালিয়ে শত শত লোককে আহত করে।

অবশেষে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর লাশ তার পিরোজপুর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়। লাখ লাখ তৌহিদি জনতা সাঈদীর জন্য অশ্রুসিক্ত চোখে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।

তিনি বলেন, আল্লামা সাঈদী এখন আমাদের মাঝে নেই। তিনি তার জীবন ও কর্ম আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে রেখে গেছেন। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে তিনি দেশে-বিদেশ কোরআনের তাফসির করেছেন।

জাতীয় সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছেন। আমি তার অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন তার মৃত্যুকে শহীদি মৃত্যু হিসেবে কবুল করুন।