ঢাকা ০৯:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ। এস আলমের নির্দেশে টাকা সরানো হতো সাদা স্লিপে তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান ভূমি দস্যু শরীফ বিন আকবর খান সাদুল্লাপুরের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘জিনের বাদশা’ আবু বকর অবৈধ সম্পদেও বাদশা জাজিরায় বালুর নিচে পুঁতে রাখা অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের অসাংবিধানিক নির্বাচন বাতিলের দাবি মিঠাপুকুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান রাজনৈতিক চাপে ধামাচাপা পড়েছে ফাইল গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষমতার সান্নিধ্যে বিত্তবান সাবেক সচিব খাইরুল

মানুষ হত্যাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই : আমিনুল হক

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর এক পথসভায় বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক। ছবি : কালবেলা
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর এক পথসভায় বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক। ছবি : কালবেলা
বাংলাদেশের মাটিতে মানুষ হত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীতে এক পথসভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেনের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মিরপুর-২ নম্বর স্টেডিয়ামের সামনে থেকে প্রশিকা মোড় হয়ে মিরপুর ৭ নম্বর দিয়ে মিল্ক ভিটা, রূপনগর আবাসিক মোড়, দুয়ারীপাড়া, মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সন্ত্রাস-নৈরাজ্যবিরোধী জনসচেতনতা বাড়াতে মিছিল, গণসংযোগ শেষে এই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আমিনুল হক বলেন, ‘আমি সাখাওয়াত সাহেবকে অনুরোধ করব, আমরা চাই- আপনি এমন কোনো বক্তব্য দিবেন না, যে বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে আবার একটা নতুন করে বিভাজন সৃষ্টি হয়। আমরা চাই স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মাটিতে যারা স্বৈরাচারী করেছে, সেই আওয়ামী লীগারদের এখানে কোনো স্থান নেই। তাদের পক্ষ হয়ে কোনো কথা বলবেন না। আমরা চাই- ছাত্রদের যে দাবি, আমাদের যে দাবি, আপনি নিরপেক্ষ থেকে বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে কীভাবে সুন্দর করে সাজানো যায়, বাংলাদেশে কীভাবে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়, বাংলাদেশের মাটিতে কীভাবে সুন্দর শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা যায়- এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনি কাজ করবেন।’

তিনি বলেন, রাজনীতি করার অধিকার সবার রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ, যারা স্বৈরাচারী করেছে, মানুষ হত্যা করেছে- তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের দাবি এখন স্পষ্ট- আমরা শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। কারণ, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা গত ১৭টা বছর ধরে বাংলাদেশে যে পরিমাণ মানুষ গুম করেছে, যে পরিমাণ মানুষকে হত্যা করেছে এবং ছাত্র-জনতার যে আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে, সে আন্দোলনে আমাদের ছাত্র-সাধারণ মানুষ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর যেভাবে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, এর বিচার আমরা বাংলার মাটিতে অবশ্যই দেখতে চাই এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে যারা মন্ত্রী-এমপি ছিলেন, প্রশাসনের অনেকেই রয়েছেন, যারা তার আজ্ঞাবহ ছিলেন- তাদেরও আমরা বিচার দাবি করছি।

সংখ্যালঘুদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে এ স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার সংখ্যালঘু ভাইদের উপর ষড়যন্ত্র করে জুলুম-নিপীড়ন-নির্যাতন করেছে, তাদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। এরপর তার দায় তারা বিএনপির উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমিনুল হক বলেন, আমাদের এলাকায় সংখ্যালঘু ভাইয়েরা রয়েছে, মন্দির রয়েছে। আপনারা প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা করবেন। তাদের উপাসনালয়, মন্দির পাহারা দিবেন। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিম সবাই আমরা ভাই ভাই। সবাইকে নিয়েই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের প্রেতাত্মারা এখন বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বিরাজমান রয়েছে। তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাদের এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা আজকে মিছিল করেছি, তা শান্তিপূর্ণ মিছিল। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। আগামী ১৪ ও ১৫ আগস্ট ঢাকা মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করব এবং প্রতিটি ওয়ার্ডের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিতে হবে আমাদের। যাতে আওয়ামী সন্ত্রাসী আবারও মাথাচাড়া দিতে না পারে। বাংলাদেশে কোনো স্বৈরশাসকের স্থান নেই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হবে- এটাই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য।

এ সময় কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মো. কামরুজ্জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউদ্দিন আহমেদ শিপন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য এবিএমএ রাজ্জাক, মাহবুব আলম মন্টু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান, আশরাফ আলী গাজী, কাফরুল থানা বিএনপির আহ্বায়ক একরাম হোসেন বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হক, সাব্বির দেওয়ান জনিসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

মানুষ হত্যাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই : আমিনুল হক

আপডেট সময় ০৫:৪১:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর এক পথসভায় বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক। ছবি : কালবেলা
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর এক পথসভায় বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক। ছবি : কালবেলা
বাংলাদেশের মাটিতে মানুষ হত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীতে এক পথসভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেনের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মিরপুর-২ নম্বর স্টেডিয়ামের সামনে থেকে প্রশিকা মোড় হয়ে মিরপুর ৭ নম্বর দিয়ে মিল্ক ভিটা, রূপনগর আবাসিক মোড়, দুয়ারীপাড়া, মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সন্ত্রাস-নৈরাজ্যবিরোধী জনসচেতনতা বাড়াতে মিছিল, গণসংযোগ শেষে এই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আমিনুল হক বলেন, ‘আমি সাখাওয়াত সাহেবকে অনুরোধ করব, আমরা চাই- আপনি এমন কোনো বক্তব্য দিবেন না, যে বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে আবার একটা নতুন করে বিভাজন সৃষ্টি হয়। আমরা চাই স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মাটিতে যারা স্বৈরাচারী করেছে, সেই আওয়ামী লীগারদের এখানে কোনো স্থান নেই। তাদের পক্ষ হয়ে কোনো কথা বলবেন না। আমরা চাই- ছাত্রদের যে দাবি, আমাদের যে দাবি, আপনি নিরপেক্ষ থেকে বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে কীভাবে সুন্দর করে সাজানো যায়, বাংলাদেশে কীভাবে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়, বাংলাদেশের মাটিতে কীভাবে সুন্দর শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা যায়- এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনি কাজ করবেন।’

তিনি বলেন, রাজনীতি করার অধিকার সবার রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ, যারা স্বৈরাচারী করেছে, মানুষ হত্যা করেছে- তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের দাবি এখন স্পষ্ট- আমরা শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। কারণ, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা গত ১৭টা বছর ধরে বাংলাদেশে যে পরিমাণ মানুষ গুম করেছে, যে পরিমাণ মানুষকে হত্যা করেছে এবং ছাত্র-জনতার যে আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে, সে আন্দোলনে আমাদের ছাত্র-সাধারণ মানুষ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর যেভাবে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, এর বিচার আমরা বাংলার মাটিতে অবশ্যই দেখতে চাই এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে যারা মন্ত্রী-এমপি ছিলেন, প্রশাসনের অনেকেই রয়েছেন, যারা তার আজ্ঞাবহ ছিলেন- তাদেরও আমরা বিচার দাবি করছি।

সংখ্যালঘুদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে এ স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার সংখ্যালঘু ভাইদের উপর ষড়যন্ত্র করে জুলুম-নিপীড়ন-নির্যাতন করেছে, তাদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। এরপর তার দায় তারা বিএনপির উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমিনুল হক বলেন, আমাদের এলাকায় সংখ্যালঘু ভাইয়েরা রয়েছে, মন্দির রয়েছে। আপনারা প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা করবেন। তাদের উপাসনালয়, মন্দির পাহারা দিবেন। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিম সবাই আমরা ভাই ভাই। সবাইকে নিয়েই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের প্রেতাত্মারা এখন বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বিরাজমান রয়েছে। তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাদের এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা আজকে মিছিল করেছি, তা শান্তিপূর্ণ মিছিল। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। আগামী ১৪ ও ১৫ আগস্ট ঢাকা মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করব এবং প্রতিটি ওয়ার্ডের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিতে হবে আমাদের। যাতে আওয়ামী সন্ত্রাসী আবারও মাথাচাড়া দিতে না পারে। বাংলাদেশে কোনো স্বৈরশাসকের স্থান নেই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হবে- এটাই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য।

এ সময় কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মো. কামরুজ্জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউদ্দিন আহমেদ শিপন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য এবিএমএ রাজ্জাক, মাহবুব আলম মন্টু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান, আশরাফ আলী গাজী, কাফরুল থানা বিএনপির আহ্বায়ক একরাম হোসেন বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হক, সাব্বির দেওয়ান জনিসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।