ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনাইমুড়িতে গুলিতে নিহত ৪, পিটিয়ে মারা হলো ৪ পুলিশকে

নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ৪ জন। এছাড়া বিক্ষিপ্ত জনতার হাতে ৪ জন পুলিশ নিহত হয়। উপজেলা ভবনে আগুন ও থানা আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই, অস্ত্র ও মালামাল লুট।

নিহতরা হলেন- পৌরসভার শিমুলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মাঈন উদ্দিন ইয়াসিন, সোনাইমুড়ি নতুন বাড়ির মো. হানিফ (বাবলুর ছেলে) মো. ইয়াসিন, কেশারপাড় গ্রামের আমিন মিয়ার নতুন বাড়ির মামুনের ছেলে মো. হাছান, বারগাঁও ইউপির হোসেনপুর গ্রামের মাওলানা গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তানভির হোসেন। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- সোনাইমুড়ি থানার এসআই বাছির উদ্দিন, এএসআই জাহাঙ্গীর আলম, কনস্টেবল বোরহান উদ্দিন ও ইসমাইল হোসাইন।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও সেনাপ্রধানের বক্তব্য দেওয়ার পর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আনন্দ মিছিল নিয়ে সোনাইমুড়ি পৌর শহর ঘুরে বাইপাস চত্বরে এসে একত্রিত হয়ে গায়েবি জানাজার নামাজ পড়েন। এরপর জনতা থানার মেইন গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকলে পুলিশ মাইকে বারবার অনুরোধ করার পরও ক্ষুব্ধ হাজার হাজার জনতা হামলা চালায়। আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ গুলি ছুড়ে। গুলিতে ৪ জন নিহত হয়। পরে জনতা হামলা চালিয়ে থানায় আগুন দেয় অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় বিক্ষিপ্ত জনতার হাতে ৪ পুলিশ সদস্য নিহত হয়।

এ বিষয়ে একাধিক ফোন করেও পুলিশের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সোনাইমুড়ি থানা সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই ও উপজেলা ভবনের বিভিন্ন অফিস ভাঙচুর করা হয়।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনাইমুড়িতে গুলিতে নিহত ৪, পিটিয়ে মারা হলো ৪ পুলিশকে

আপডেট সময় ১১:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪

নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ৪ জন। এছাড়া বিক্ষিপ্ত জনতার হাতে ৪ জন পুলিশ নিহত হয়। উপজেলা ভবনে আগুন ও থানা আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই, অস্ত্র ও মালামাল লুট।

নিহতরা হলেন- পৌরসভার শিমুলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মাঈন উদ্দিন ইয়াসিন, সোনাইমুড়ি নতুন বাড়ির মো. হানিফ (বাবলুর ছেলে) মো. ইয়াসিন, কেশারপাড় গ্রামের আমিন মিয়ার নতুন বাড়ির মামুনের ছেলে মো. হাছান, বারগাঁও ইউপির হোসেনপুর গ্রামের মাওলানা গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তানভির হোসেন। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- সোনাইমুড়ি থানার এসআই বাছির উদ্দিন, এএসআই জাহাঙ্গীর আলম, কনস্টেবল বোরহান উদ্দিন ও ইসমাইল হোসাইন।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও সেনাপ্রধানের বক্তব্য দেওয়ার পর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আনন্দ মিছিল নিয়ে সোনাইমুড়ি পৌর শহর ঘুরে বাইপাস চত্বরে এসে একত্রিত হয়ে গায়েবি জানাজার নামাজ পড়েন। এরপর জনতা থানার মেইন গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকলে পুলিশ মাইকে বারবার অনুরোধ করার পরও ক্ষুব্ধ হাজার হাজার জনতা হামলা চালায়। আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ গুলি ছুড়ে। গুলিতে ৪ জন নিহত হয়। পরে জনতা হামলা চালিয়ে থানায় আগুন দেয় অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় বিক্ষিপ্ত জনতার হাতে ৪ পুলিশ সদস্য নিহত হয়।

এ বিষয়ে একাধিক ফোন করেও পুলিশের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সোনাইমুড়ি থানা সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই ও উপজেলা ভবনের বিভিন্ন অফিস ভাঙচুর করা হয়।