ঢাকা ১১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্নীতিকে কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না – বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সমাজকল্যাণমন্ত্রীর আশীর্বাদে মিজানের সম্পদের পাহাড় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির উদ্দেগে ২৮ শে ডিসেম্বর মহা সন্মেলনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্টিত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে বিস্ফোরণ, আহত ১২ বেলাবতে তারেক রহমানের ১৭তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে শীর্ষক আলোচনা দীর্ঘ সাত বছর পর আজ ৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন ডুবাই প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরনবী ভুইয়া ক্রেস্ট কেলেঙ্কারির বাবুলের ১ সপ্তাহে তিন পদোন্নতি গোয়াইনঘাটে ৯০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ: ধরা যায়নি কাউকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব মহাসড়কে ঘুস আদায়, ১১ ট্রাফিক গ্রেফতার

কেন কোটার প্রয়োজন, জানালেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী

সরকারি চাকরিতে বৈষম্য দূর করার জন্যই কোটার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি বলেছেন, আপিল বিভাগের রায়ের পরে সরকারের কমিশন গঠনের সুযোগ নেই।

শনিবার তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনসহ সমসাময়িক বিষয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোটা বনাম মেধা একটি নেতিবাচক ন্যারেটিভ। কোটা বৈষম্য তৈরি করে না, কোটার উদ্দেশ্য বৈষম্য নিরসন। মুক্তিযোদ্ধারা ও তাদের বংশধরেরা দীর্ঘ সময় নিঃগৃহীত হয়েছেন। তার পরও যারা সব ধাপ অতিক্রম করে উত্তীর্ণ হয়, তাদের কিভাবে মেধাবী নয় বলবেন। এছাড়া দেশবিরোধী একটি অপশক্তি আন্দোলনকারীদের মধ্যে ঢুকে দেশে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, প্রথমে আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে সরকারের জারি করা যে পরিপত্র বাতিল করা হয়েছিল তা পুনর্বহাল করতে হবে। এটি পুনর্বহাল করার ক্ষমতা শুধু বিচার বিভাগেরই আছে। কাজেই ধরে নেওয়া যায়, বিচার বিভাগ, অর্থাৎ হাইকোর্ট ২০১৮ সালে সরকার যে পরিপত্র বাতিল করেছিল, সেটি তারা হাইকোর্টের কাছে দাবি জানিয়েছিল পুনর্বহাল করার। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ রাস্তায় আন্দোলন করে পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। এটি পরিবর্তনের একমাত্র উপায়, সর্বোচ্চ আদালতে যেতে হবে।

তিনি বলেন, যখন হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছে এবং আইনি লড়াই শুরু হয়েছে, তখন সরকারের অবস্থান এবং আন্দোলনকারীদের অবস্থান একই হয়ে গেল। আন্দোলনকারীরা তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগও করলেন এবং সে সরকারের সঙ্গে পক্ষভুক্ত হলো। অথচ আন্দোলনকারীরা আবার তাদের দাবি পরিবর্তন করে বলা শুরু করল যে, সরকারকে কমিশন গঠন করতে হবে। যখন সরকার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে সর্বোচ্চ আদালতে আইনি প্রক্রিয়ায় ঢুকে গেছে, সে অবস্থায় কোটাব্যবস্থার সংস্কার করা বা সংস্কার করার ঘোষণা দেয়ারও কোনো সুযোগ নেই। যেটা অসাংবিধানিক হবে।

কিন্তু তারা (আন্দোলনকারীরা) সেই অসাংবিধানিক দাবি করা শুরু করল। এর মধ্যে সরকারপক্ষের আইনজীবীরা সুপ্রিমকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা নিয়ে আসতে সক্ষম হন। সর্বোচ্চ আদালত সাবজেক্ট ম্যাটারের ওপর চার সপ্তাহের জন্য স্ট্যাটাস কো আদেশ দেন। এর ফলে কোটার বিষয়ে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র আবার পুনর্বহাল হয়ে যায়। সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে এও বলা হয় যে, হাইকোর্টের আদেশ অপারেশনে থাকল না অর্থাৎ সরকারের পরিপত্র পুনর্বহাল হয়ে গেল।

আন্দোলনকারীদের সেই দাবি চার সপ্তাহের জন্য পূরণ হয়ে গেল, যেটা তাদের প্রাথমিক দাবি ছিল। এখন সর্বোচ্চ আদালতও আন্দোলনকারীদের আহŸান জানিয়ে বলছেন যে, তাদের বক্তব্য পেশ করার জন্য আদালতের দরজা সবসময় খোলা।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ তথা সরকার আদালতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মীমাংসার পথে এগোচ্ছে ঠিক তখন আন্দোলনকারীরা আবার তাদের দাবি পরিবর্তন করে বলা শুরু করে, বিচার বিভাগ নয়, নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে সমাধান চায়। অথচ সর্বোচ্চ আদালতের প্রক্রিয়া পুরোপুরি সমাপ্ত না করে সরকার এ বিষয়ে কোনো কিছুই করতে পারবে না। এ বিষয়ে কোনো ঘোষণাও দিতে পারবে না।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাইকে আগে প্রিলিমিনারি, লিখিত, ভাইভা দিয়ে পাশ করতে হয়, তারপরই কোটার বিষয়টি আসে। এর আগে কোটা থেকে চাকরির সুযোগ নেই।
আন্দোলনকারীদের দাবি আর সরকারের চাওয়া এক উলে­খ করে তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, মেধার মূল্যায়ন হওয়াটা সরকারও চায়। শিক্ষার্থীদের আবেগকে অনেকে ভুল পথে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের তিনি এ বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতিকে কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না – বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কেন কোটার প্রয়োজন, জানালেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় ১১:২৯:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে বৈষম্য দূর করার জন্যই কোটার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি বলেছেন, আপিল বিভাগের রায়ের পরে সরকারের কমিশন গঠনের সুযোগ নেই।

শনিবার তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনসহ সমসাময়িক বিষয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোটা বনাম মেধা একটি নেতিবাচক ন্যারেটিভ। কোটা বৈষম্য তৈরি করে না, কোটার উদ্দেশ্য বৈষম্য নিরসন। মুক্তিযোদ্ধারা ও তাদের বংশধরেরা দীর্ঘ সময় নিঃগৃহীত হয়েছেন। তার পরও যারা সব ধাপ অতিক্রম করে উত্তীর্ণ হয়, তাদের কিভাবে মেধাবী নয় বলবেন। এছাড়া দেশবিরোধী একটি অপশক্তি আন্দোলনকারীদের মধ্যে ঢুকে দেশে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, প্রথমে আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে সরকারের জারি করা যে পরিপত্র বাতিল করা হয়েছিল তা পুনর্বহাল করতে হবে। এটি পুনর্বহাল করার ক্ষমতা শুধু বিচার বিভাগেরই আছে। কাজেই ধরে নেওয়া যায়, বিচার বিভাগ, অর্থাৎ হাইকোর্ট ২০১৮ সালে সরকার যে পরিপত্র বাতিল করেছিল, সেটি তারা হাইকোর্টের কাছে দাবি জানিয়েছিল পুনর্বহাল করার। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ রাস্তায় আন্দোলন করে পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। এটি পরিবর্তনের একমাত্র উপায়, সর্বোচ্চ আদালতে যেতে হবে।

তিনি বলেন, যখন হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছে এবং আইনি লড়াই শুরু হয়েছে, তখন সরকারের অবস্থান এবং আন্দোলনকারীদের অবস্থান একই হয়ে গেল। আন্দোলনকারীরা তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগও করলেন এবং সে সরকারের সঙ্গে পক্ষভুক্ত হলো। অথচ আন্দোলনকারীরা আবার তাদের দাবি পরিবর্তন করে বলা শুরু করল যে, সরকারকে কমিশন গঠন করতে হবে। যখন সরকার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে সর্বোচ্চ আদালতে আইনি প্রক্রিয়ায় ঢুকে গেছে, সে অবস্থায় কোটাব্যবস্থার সংস্কার করা বা সংস্কার করার ঘোষণা দেয়ারও কোনো সুযোগ নেই। যেটা অসাংবিধানিক হবে।

কিন্তু তারা (আন্দোলনকারীরা) সেই অসাংবিধানিক দাবি করা শুরু করল। এর মধ্যে সরকারপক্ষের আইনজীবীরা সুপ্রিমকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা নিয়ে আসতে সক্ষম হন। সর্বোচ্চ আদালত সাবজেক্ট ম্যাটারের ওপর চার সপ্তাহের জন্য স্ট্যাটাস কো আদেশ দেন। এর ফলে কোটার বিষয়ে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র আবার পুনর্বহাল হয়ে যায়। সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে এও বলা হয় যে, হাইকোর্টের আদেশ অপারেশনে থাকল না অর্থাৎ সরকারের পরিপত্র পুনর্বহাল হয়ে গেল।

আন্দোলনকারীদের সেই দাবি চার সপ্তাহের জন্য পূরণ হয়ে গেল, যেটা তাদের প্রাথমিক দাবি ছিল। এখন সর্বোচ্চ আদালতও আন্দোলনকারীদের আহŸান জানিয়ে বলছেন যে, তাদের বক্তব্য পেশ করার জন্য আদালতের দরজা সবসময় খোলা।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ তথা সরকার আদালতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মীমাংসার পথে এগোচ্ছে ঠিক তখন আন্দোলনকারীরা আবার তাদের দাবি পরিবর্তন করে বলা শুরু করে, বিচার বিভাগ নয়, নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে সমাধান চায়। অথচ সর্বোচ্চ আদালতের প্রক্রিয়া পুরোপুরি সমাপ্ত না করে সরকার এ বিষয়ে কোনো কিছুই করতে পারবে না। এ বিষয়ে কোনো ঘোষণাও দিতে পারবে না।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাইকে আগে প্রিলিমিনারি, লিখিত, ভাইভা দিয়ে পাশ করতে হয়, তারপরই কোটার বিষয়টি আসে। এর আগে কোটা থেকে চাকরির সুযোগ নেই।
আন্দোলনকারীদের দাবি আর সরকারের চাওয়া এক উলে­খ করে তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, মেধার মূল্যায়ন হওয়াটা সরকারও চায়। শিক্ষার্থীদের আবেগকে অনেকে ভুল পথে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের তিনি এ বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।