মার্কিন দূতাবাসে ইমেইল পাঠানো নিয়ে বিএনপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা তার ফেসবুক থেকে মূলত এই অপপ্রচার চালাচ্ছেন। বিএনপি নেতারাই সারা বছর দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে ইমেইল পাঠায়। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব আজগুবি খবর প্রচার করে তারা নিজেদের দৈন্যতাই প্রকাশ করে।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ড. সেলিম মাহমুদ। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদের বরাত দিয়ে ওই মিথ্যা রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমি নাকি যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে ইমেইল পাঠিয়েছিলাম। আমার ইমেইলের কারণে নাকি যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বিব্রত হয়েছিল। আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্যই মূলত এই অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বলেন, ইমেইল পাঠানোর বিষয়টি যে মিথ্যা এটি প্রমাণ করার জন্য আমি ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যান্ড পলিটিকাল কাউন্সিলর স্কট ব্র্যান্ডনের কাছে লিখিতভাবে জানতে চেয়েছিলাম যে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে আমি কিংবা আমার পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো ইমেইল পাঠানো হয়েছিল কি না। তিনি উত্তরে আমাকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনো ইমেইল যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে আসেনি। অর্থাৎ ইমেইল পাঠানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাই যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের বিব্রত হওয়ার ঘটনাটিও মিথ্যা ও কাল্পনিক।
ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে আমি আমাদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, এ বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে তার কোনো কথা হয়নি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, তিনি ইমেইলের কোনো কথা শোনেননি। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে আমাকে জানিয়েছে যে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাহলে এ ধরনের সংবাদ প্রচারের উদ্দেশ কি সেটি বুঝতে কারো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এটি পরিষ্কার, এই সংবাদ প্রচারের একটি অশুভ উদ্দেশ রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত এই রিপোর্টে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং আপত্তিকর কথা বলা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘আওয়ামী লীগের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে দলের চেইন অব কমান্ড নষ্ট হয়ে গেছে। দলের নেতারা ফ্রি স্টাইলে কাজ করছেন, এমন অভিযোগ শোনা যেত। এই ঘটনাটি তার একটি প্রমাণ।’ এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগের পক্ষে যেসব নেতা বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন, তারা সবাই দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তেই দায়িত্ব পালন করছেন। দলের সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না।