ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০২৩ সাল নিয়ে শঙ্কা, মন্ত্রিসভার ৬ নির্দেশনা

২০২৩ সালকে ‘ক্রাইসিস ইয়ার’ (সঙ্কটময় বছর) আশঙ্কায় ছয় নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সেগুলো হলো- খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো, বিদেশে দক্ষ জনবল পাঠানো, রেমিট্যান্স বাড়ানো, খাদ্য আমদানিতে উৎসকর স্বস্তিদায়ক নির্ধারণ, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়ানো এবং খাদ্য মজুত স্বস্তিদায়ক রাখা। 

সোমবার (১৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক রিপোর্টগুলো বিশ্লেষণ করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রণালয় বিভাগগুলোর ২০২১-২২ অর্থবছরের কার্যাবলী সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় এমন নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, বৈশ্বিক যে অবস্থা সামনে আসছে, তাতে আমাদের যে প্রবলেম বা ক্রাইসিস দেখা যাচ্ছে, সারা বিশ্বে সেক্ষেত্রে আমাদেরকে কিছু ইনিশিয়েটিভ নিতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রিসেন্টলি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণগুলো যা বলছে যে তিনটি কারণে ২০২৩ সাল খুবই একটা ক্রাইসিস বছর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক যেহেতু সুদের হার বৃদ্ধি করেছে, করোনা মহামারি অর্থনৈতিক অবস্থা রিকভারি হওয়ার আগেই ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার ফলে যে অগ্রগতি হচ্ছে তাতে নেতিবাচক প্রভাব এবং চীন উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে, যা বিশ্ব বাজারকে প্রভাবিত করছে। এ তিনটি জিনিসকে বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক যে বিশ্লেষণ আসছে তাতে বলা হচ্ছে ২০২৩ সাল একটা ক্রাইসিস ইয়ার হওয়ার আশঙ্কা আছে। সবাইকে এ অনুযায়ী প্রস্তুত থাকতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা যে অবজারভেশন দিচ্ছেন- সর্বাবস্থাতেই আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমরা যতই খাদ্য আমদানির কথা বলি, এটা ক্রাইসিস থাকবে। যদিও ইউক্রেন এবং রাশিয়াকে খাদ্যের ব্যাপারে ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এটার একটা ম্যাটার করবে। আর ফরেন কারেন্সির একটা ক্রাইসিস হচ্ছে, যে কারণে ফেডারেল রিজার্ভের ইন্টারেস্ট বৃদ্ধির ফলে যেসব দেশ লোন নিয়ে কাজ করে বা আমদানি বেশি তাদের দুই দিক দিয়েই অসুবিধা হচ্ছে। একটা হলো আমরা যখন টাকা দিচ্ছি তখন বেশি দিচ্ছি এবং যখন নিচ্ছি তখন কম পাচ্ছি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

২০২৩ সাল নিয়ে শঙ্কা, মন্ত্রিসভার ৬ নির্দেশনা

আপডেট সময় ০৪:১৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

২০২৩ সালকে ‘ক্রাইসিস ইয়ার’ (সঙ্কটময় বছর) আশঙ্কায় ছয় নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সেগুলো হলো- খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো, বিদেশে দক্ষ জনবল পাঠানো, রেমিট্যান্স বাড়ানো, খাদ্য আমদানিতে উৎসকর স্বস্তিদায়ক নির্ধারণ, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়ানো এবং খাদ্য মজুত স্বস্তিদায়ক রাখা। 

সোমবার (১৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক রিপোর্টগুলো বিশ্লেষণ করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রণালয় বিভাগগুলোর ২০২১-২২ অর্থবছরের কার্যাবলী সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় এমন নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, বৈশ্বিক যে অবস্থা সামনে আসছে, তাতে আমাদের যে প্রবলেম বা ক্রাইসিস দেখা যাচ্ছে, সারা বিশ্বে সেক্ষেত্রে আমাদেরকে কিছু ইনিশিয়েটিভ নিতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রিসেন্টলি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণগুলো যা বলছে যে তিনটি কারণে ২০২৩ সাল খুবই একটা ক্রাইসিস বছর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক যেহেতু সুদের হার বৃদ্ধি করেছে, করোনা মহামারি অর্থনৈতিক অবস্থা রিকভারি হওয়ার আগেই ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার ফলে যে অগ্রগতি হচ্ছে তাতে নেতিবাচক প্রভাব এবং চীন উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে, যা বিশ্ব বাজারকে প্রভাবিত করছে। এ তিনটি জিনিসকে বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক যে বিশ্লেষণ আসছে তাতে বলা হচ্ছে ২০২৩ সাল একটা ক্রাইসিস ইয়ার হওয়ার আশঙ্কা আছে। সবাইকে এ অনুযায়ী প্রস্তুত থাকতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা যে অবজারভেশন দিচ্ছেন- সর্বাবস্থাতেই আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমরা যতই খাদ্য আমদানির কথা বলি, এটা ক্রাইসিস থাকবে। যদিও ইউক্রেন এবং রাশিয়াকে খাদ্যের ব্যাপারে ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এটার একটা ম্যাটার করবে। আর ফরেন কারেন্সির একটা ক্রাইসিস হচ্ছে, যে কারণে ফেডারেল রিজার্ভের ইন্টারেস্ট বৃদ্ধির ফলে যেসব দেশ লোন নিয়ে কাজ করে বা আমদানি বেশি তাদের দুই দিক দিয়েই অসুবিধা হচ্ছে। একটা হলো আমরা যখন টাকা দিচ্ছি তখন বেশি দিচ্ছি এবং যখন নিচ্ছি তখন কম পাচ্ছি।