ঢাকা ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে আ.লীগ নেতার জমির দলিল জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা স্থাবর সম্পত্তির দলিল জব্দ এবং একটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার বিকেলে পঞ্চগড়ের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক এ আদেশ দেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আদেশের বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাবিবুল ইসলাম তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

আদেশে দুদকের বিধিমালা অনুযায়ী মাহমুদুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীর নামে স্থাবর সম্পত্তির মোট ১৭টি জমির দলিল (প্রায় ১৫ একর ১০ দশমিক ৫০ শতক) জব্দ এবং অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের তেঁতুলিয়া শাখার একটি হিসাব (১৬ হাজার ৬৫১ টাকা) অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত।

 

আদালত সূত্র জানায়, মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঠাকুরগাঁওয়ের সহকারী পরিচালক আজমির শরীফ মারজি একই কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর একটি এজাহার দায়ের করেন। পরে এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে আদালতে পাঠানো হয়।

 

 

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে নোটিশ করেছিল দুদক। পরে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর তিনি দুদকে তাঁর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৭৯ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অভিযোগ করা হয়। পরে এ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

 

দুদকের কৌঁসুলি হাবিবুল ইসলাম বলেন, আদালতে মামলা চলাকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঠাকুরগাঁওয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসেন প্রথমে মাহমুদুর রহমানের আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেছিলেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুরও করেন। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের বিধিমালা অনুযায়ী মাহমুদুর রহমানের স্থাবর সম্পত্তির দলিল জব্দ ও অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধের আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। মামলাটির তদন্তের কাজ এখনো চলছে বলে তিনি জানান।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পঞ্চগড়ে আ.লীগ নেতার জমির দলিল জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

আপডেট সময় ০২:৪৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা স্থাবর সম্পত্তির দলিল জব্দ এবং একটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার বিকেলে পঞ্চগড়ের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক এ আদেশ দেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আদেশের বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাবিবুল ইসলাম তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

আদেশে দুদকের বিধিমালা অনুযায়ী মাহমুদুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীর নামে স্থাবর সম্পত্তির মোট ১৭টি জমির দলিল (প্রায় ১৫ একর ১০ দশমিক ৫০ শতক) জব্দ এবং অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের তেঁতুলিয়া শাখার একটি হিসাব (১৬ হাজার ৬৫১ টাকা) অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত।

 

আদালত সূত্র জানায়, মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঠাকুরগাঁওয়ের সহকারী পরিচালক আজমির শরীফ মারজি একই কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর একটি এজাহার দায়ের করেন। পরে এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে আদালতে পাঠানো হয়।

 

 

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে নোটিশ করেছিল দুদক। পরে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর তিনি দুদকে তাঁর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৭৯ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অভিযোগ করা হয়। পরে এ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

 

দুদকের কৌঁসুলি হাবিবুল ইসলাম বলেন, আদালতে মামলা চলাকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঠাকুরগাঁওয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসেন প্রথমে মাহমুদুর রহমানের আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেছিলেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুরও করেন। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের বিধিমালা অনুযায়ী মাহমুদুর রহমানের স্থাবর সম্পত্তির দলিল জব্দ ও অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধের আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। মামলাটির তদন্তের কাজ এখনো চলছে বলে তিনি জানান।