ঢাকা ০২:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নাটোরের বড়াইগ্রাম বীর মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাত আলী মারা গেছে চাঁদপুরের মতলবে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন। পুলিশি সেবায় জনমনে শস্তি ও আস্থা দূর্নীতি মুক্তি, রাষ্ট্র গঠনে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের এগিয়ে আসার আহব্বান আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ তহবিলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আর্থিক অনুদান প্রদান বোরহানউদ্দিনে মসজিদের সুপারি পাড়তে বাঁধা দেওয়ায় পাহারাদার রফিককে কুপিয়ে জখম – আটক ৩ গণতন্ত্রসহ মানব রচিত সকল মতবাদ চরম দুর্নীতি এবং কুফরী ও শিরকী ব্যবস্থা-জাহান্নামের পথ- আমীর, ইসলামী সমাজ। গণতন্ত্রসহ মানব রচিত সকল মতবাদ চরম দুর্নীতি এবং কুফরী ও শিরকী ব্যবস্থা-জাহান্নামের পথ- আমীর, ইসলামী সমাজ। রাজশাহী দুর্গাপুরে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ গোয়াইনঘাটের পাথর কোয়ারীতে যৌথবাহিনীর অভিযান : ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড গ্রেফতার ২

রাজশাহীতে দুই ইমো হ্যাকারের ১০ বছর কারাদণ্ড

রাজশাহীতে দুই ইমো হ্যাকারকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান তাদের এ দণ্ড দেন। রায়ে আদালত অন্য সাতজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চক নারায়ণপুর গ্রামের হৃদয় আলী (২১) এবং নাটোরের লালপুর উপজেলার বিরোপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (২৫)।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি ধারায় আসামিদের পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর একটি ধারায় দুজনকে একই ধরনের সাজা দিয়েছেন আদালত। অর্থাৎ, দুটি ধারায় মোট ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে আসামিদের। সাজা একটার পর অন্যটা কার্যকর হবে।

আইনজীবী ইসমত আরা জানান, ঢাকার সবুজবাগের আবদুল মালেক নামের এক ব্যক্তি এ মামলার বাদী। ২০২৩ সালের ২ মার্চ নাটোরের লালপুর থানায় তিনি এ মামলা করেন। মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার ভগিনীপতি জাকির হোসেন সৌদি আরব প্রবাসী। স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের সঙ্গে তিনি সামাজিকমাধ্যম ইমোতে যোগাযোগ করতেন। ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুর্বৃত্তরা জাকির হোসেনের ইমো হ্যাক করে ফাতেমাকে তার বিপদের কথা জানায়। এরপর ফাতেমার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

আবদুল মালেক খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, যে বিকাশ নম্বরে টাকা নেওয়া হয়েছে তা রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় নিবন্ধিত। বিষয়টি তিনি র্যাবকে অবহিত করলে র‌্যাব এ প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে। পরে পাঁচজনকে র‌্যাব আটক করলে মালেক বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিলেন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নাটোরের বড়াইগ্রাম বীর মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাত আলী মারা গেছে

রাজশাহীতে দুই ইমো হ্যাকারের ১০ বছর কারাদণ্ড

আপডেট সময় ১১:১০:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

রাজশাহীতে দুই ইমো হ্যাকারকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান তাদের এ দণ্ড দেন। রায়ে আদালত অন্য সাতজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চক নারায়ণপুর গ্রামের হৃদয় আলী (২১) এবং নাটোরের লালপুর উপজেলার বিরোপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (২৫)।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি ধারায় আসামিদের পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর একটি ধারায় দুজনকে একই ধরনের সাজা দিয়েছেন আদালত। অর্থাৎ, দুটি ধারায় মোট ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে আসামিদের। সাজা একটার পর অন্যটা কার্যকর হবে।

আইনজীবী ইসমত আরা জানান, ঢাকার সবুজবাগের আবদুল মালেক নামের এক ব্যক্তি এ মামলার বাদী। ২০২৩ সালের ২ মার্চ নাটোরের লালপুর থানায় তিনি এ মামলা করেন। মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার ভগিনীপতি জাকির হোসেন সৌদি আরব প্রবাসী। স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের সঙ্গে তিনি সামাজিকমাধ্যম ইমোতে যোগাযোগ করতেন। ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুর্বৃত্তরা জাকির হোসেনের ইমো হ্যাক করে ফাতেমাকে তার বিপদের কথা জানায়। এরপর ফাতেমার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

আবদুল মালেক খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, যে বিকাশ নম্বরে টাকা নেওয়া হয়েছে তা রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় নিবন্ধিত। বিষয়টি তিনি র্যাবকে অবহিত করলে র‌্যাব এ প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে। পরে পাঁচজনকে র‌্যাব আটক করলে মালেক বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিলেন।