ঢাকা ০২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেভাবে স্বস্তিকার ভোট দিতে না পারার দুঃখ ভোলালেন চঞ্চল চৌধুরী

দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয় হওয়ায় চঞ্চল চৌধুরীর কাজ এখন দুই দেশের দর্শকরাই দেখে থাকেন। সেখানে স্বস্তিকা তাদের থেকে আলাদা হয় কি করে। তাই জানালেন স্বস্তিকা— শুভ জন্মদিন চঞ্চল। আমাদের বন্ধুত্ব চায়ের পেয়ালা থেকে কবরের মাটি পর্যন্ত লম্বা হয়ে গেছে। আলাদা করার কিছু নেই।

স্বস্তিকা লেখেন— ‘ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো দেখার মধ্যে যে উত্তেজনা সেটা কি আর ছাড়া যায়? চঞ্চলের ক্ষেত্রে অনায়াস গতিবিধি আরও সহজ হয়েছে দুই দেশের প্রযোজকদের কারণে— এমনটিই দাবি স্বস্তিকার। এর জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান। সঙ্গে একরাশ শুভেচ্ছা তার প্রিয় অভিনেতাকে। চঞ্চলের প্রত্যেকটা দিন শুভ হোক, সাফল্যের ছটায় উজ্জ্বল হয়ে উঠুক, প্রার্থনা তার। অভিনেতা প্রত্যেক চরিত্রে নিখুঁতভাবে জীবন্ত হয়ে ওঠেন। দর্শকদের মতো অভিনেতাকে ঘিরে মুগ্ধতা তাই অভিনেত্রীর মধ্যেও প্রবল। আর এই জায়গা থেকেই তার দাবি— ‘আমার প্রিয় শিল্পী, যেন আমি তোমার সবচেয়ে বড় অনুরাগী।’

আনন্দবাজার সূত্র জানায়, এর আগে নির্বাচনে নিজের ভোট দিতে পারেননি স্বস্তিকা। তাই অভিনেত্রীর মনখারাপ হয়। সকালে উৎসাহী হয়ে পোস্ট দিয়ে সবাইকে সকাল সকাল ভোট দিতে যাওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। দুপুরে বোন অজপা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে ভোট দিতে যান স্বস্তিকা। তার এবং তার বোনের নাম ভোটার তালিকাতেই নেই! বুথ থেকে ফেরত চলে আসতে হয় তাদের। ভীষণ মন খারাপ হয় তার। তা নেটিজেনদের মাঝে ভাইরাল হয়।

আক্কেলগুড়ুম স্বস্তিকার বিকালেই অন্যরকম মেজাজ। আবারও একটি পোস্টে জানান, তার মন ভালো হয়ে গেছে। কারণ ১ জুন তার প্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর জন্মদিন। সমাজমাধ্যমে তিনি নিজেকে চঞ্চলের ‘সবচেয়ে বড় অনুরাগী’ বলেও দাবি করেন।

স্বস্তিকা এদিন বাংলাদেশের ওয়েব প্ল্যাটফর্মের নতুন সিরিজ ‘কালপুরুষ’-এর একটি ছবি ভাগ করে নেন। এই সিরিজে চঞ্চল চৌধুরী মুখ্য ভূমিকায়। বিবরণীতে লেখেন— এই দিন তার কাছে বিশেষ দিন। না কলকাতায় যে সপ্তম দফার ভোট তার জন্য নয় বা তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে বলে তাও নয়।

স্বস্তিকার লেখেন— ‘আমরা আজকাল বলি কনটেন্ট ইজ় কিং। ঠিক কিন্তু সেই রাজার ওপর তো মহারাজ আছেন, রাজাধিরাজ আছেন, সেই মহারাজের আজ জন্মদিন।’ অর্থাৎ দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা নিজের প্রতিভায় স্বস্তিকার হৃদয়ে সবার ওপরে। সে কারণেই নিজের কাজ নিয়ে যতই ব্যস্ত থাকুন, কখনো চঞ্চলের একটি কাজও মিস করেন না।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যেভাবে স্বস্তিকার ভোট দিতে না পারার দুঃখ ভোলালেন চঞ্চল চৌধুরী

আপডেট সময় ১২:৫৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয় হওয়ায় চঞ্চল চৌধুরীর কাজ এখন দুই দেশের দর্শকরাই দেখে থাকেন। সেখানে স্বস্তিকা তাদের থেকে আলাদা হয় কি করে। তাই জানালেন স্বস্তিকা— শুভ জন্মদিন চঞ্চল। আমাদের বন্ধুত্ব চায়ের পেয়ালা থেকে কবরের মাটি পর্যন্ত লম্বা হয়ে গেছে। আলাদা করার কিছু নেই।

স্বস্তিকা লেখেন— ‘ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো দেখার মধ্যে যে উত্তেজনা সেটা কি আর ছাড়া যায়? চঞ্চলের ক্ষেত্রে অনায়াস গতিবিধি আরও সহজ হয়েছে দুই দেশের প্রযোজকদের কারণে— এমনটিই দাবি স্বস্তিকার। এর জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান। সঙ্গে একরাশ শুভেচ্ছা তার প্রিয় অভিনেতাকে। চঞ্চলের প্রত্যেকটা দিন শুভ হোক, সাফল্যের ছটায় উজ্জ্বল হয়ে উঠুক, প্রার্থনা তার। অভিনেতা প্রত্যেক চরিত্রে নিখুঁতভাবে জীবন্ত হয়ে ওঠেন। দর্শকদের মতো অভিনেতাকে ঘিরে মুগ্ধতা তাই অভিনেত্রীর মধ্যেও প্রবল। আর এই জায়গা থেকেই তার দাবি— ‘আমার প্রিয় শিল্পী, যেন আমি তোমার সবচেয়ে বড় অনুরাগী।’

আনন্দবাজার সূত্র জানায়, এর আগে নির্বাচনে নিজের ভোট দিতে পারেননি স্বস্তিকা। তাই অভিনেত্রীর মনখারাপ হয়। সকালে উৎসাহী হয়ে পোস্ট দিয়ে সবাইকে সকাল সকাল ভোট দিতে যাওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। দুপুরে বোন অজপা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে ভোট দিতে যান স্বস্তিকা। তার এবং তার বোনের নাম ভোটার তালিকাতেই নেই! বুথ থেকে ফেরত চলে আসতে হয় তাদের। ভীষণ মন খারাপ হয় তার। তা নেটিজেনদের মাঝে ভাইরাল হয়।

আক্কেলগুড়ুম স্বস্তিকার বিকালেই অন্যরকম মেজাজ। আবারও একটি পোস্টে জানান, তার মন ভালো হয়ে গেছে। কারণ ১ জুন তার প্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর জন্মদিন। সমাজমাধ্যমে তিনি নিজেকে চঞ্চলের ‘সবচেয়ে বড় অনুরাগী’ বলেও দাবি করেন।

স্বস্তিকা এদিন বাংলাদেশের ওয়েব প্ল্যাটফর্মের নতুন সিরিজ ‘কালপুরুষ’-এর একটি ছবি ভাগ করে নেন। এই সিরিজে চঞ্চল চৌধুরী মুখ্য ভূমিকায়। বিবরণীতে লেখেন— এই দিন তার কাছে বিশেষ দিন। না কলকাতায় যে সপ্তম দফার ভোট তার জন্য নয় বা তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে বলে তাও নয়।

স্বস্তিকার লেখেন— ‘আমরা আজকাল বলি কনটেন্ট ইজ় কিং। ঠিক কিন্তু সেই রাজার ওপর তো মহারাজ আছেন, রাজাধিরাজ আছেন, সেই মহারাজের আজ জন্মদিন।’ অর্থাৎ দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা নিজের প্রতিভায় স্বস্তিকার হৃদয়ে সবার ওপরে। সে কারণেই নিজের কাজ নিয়ে যতই ব্যস্ত থাকুন, কখনো চঞ্চলের একটি কাজও মিস করেন না।