ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, সড়ক-মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ। পথে বের হলেই আর জীবনের নিরাপত্তা নেই। প্রতিদিনের দুর্ঘটনায় অসংখ্য জীবন ঝরে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কারও দায়িত্ব নেই। প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হবে, এটাই যেন স্বাভাবিক ব্যাপার।

আজও রংপুরের তারাগঞ্জে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক।  সোমবার এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।  তিনি আরও বলেন, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের দেওয়া তথ্যমতে, গেল আগস্ট মাসে ৪৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১৯ জনের করুণ মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৮৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭২ জনের প্রাণ গেছে। মোট দুর্ঘটনার ৩৯ দশমিক ৯৫ শতাংশই মোটরসাইকেলে ঘটেছে। এমন তথ্যে, সমাজের অভিভাবক মহলের মাঝে শঙ্কা সৃষ্টি হয়। কিন্তু টনক নড়ে না সংশ্লিষ্টদের।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, শুধু অব্যবস্থাপনা আর দুর্নীতির জন্যই দুর্ঘটনা বেড়ে চলছে। অব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ যেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। প্রতিদিন সড়কে হাজার কোটি টাকার চাঁদা আদায় হয়। সেই চাঁদা ভাগ হয় বিভিন্ন সেক্টরে। পরিবহণ সংশ্লিষ্টদের ভাগ্য ফেরে কিন্তু অনিরাপদ থেকে যায় সাধারণ মানুষের জীবন। পরিবহণ সেক্টর নিরাপদ করতে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ অনিশ্চয়তা। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ সড়কে পঙ্গু হয়ে অসহায় জীবনযাপন করে। সরকার সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ করতে কার্যকর উদ্যোগ নেবে, দেশের মানুষ এমনটাই প্রত্যাশা করে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ: জিএম কাদের

আপডেট সময় ০৫:৩৯:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, সড়ক-মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ। পথে বের হলেই আর জীবনের নিরাপত্তা নেই। প্রতিদিনের দুর্ঘটনায় অসংখ্য জীবন ঝরে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কারও দায়িত্ব নেই। প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হবে, এটাই যেন স্বাভাবিক ব্যাপার।

আজও রংপুরের তারাগঞ্জে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক।  সোমবার এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।  তিনি আরও বলেন, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের দেওয়া তথ্যমতে, গেল আগস্ট মাসে ৪৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১৯ জনের করুণ মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৮৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭২ জনের প্রাণ গেছে। মোট দুর্ঘটনার ৩৯ দশমিক ৯৫ শতাংশই মোটরসাইকেলে ঘটেছে। এমন তথ্যে, সমাজের অভিভাবক মহলের মাঝে শঙ্কা সৃষ্টি হয়। কিন্তু টনক নড়ে না সংশ্লিষ্টদের।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, শুধু অব্যবস্থাপনা আর দুর্নীতির জন্যই দুর্ঘটনা বেড়ে চলছে। অব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ যেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। প্রতিদিন সড়কে হাজার কোটি টাকার চাঁদা আদায় হয়। সেই চাঁদা ভাগ হয় বিভিন্ন সেক্টরে। পরিবহণ সংশ্লিষ্টদের ভাগ্য ফেরে কিন্তু অনিরাপদ থেকে যায় সাধারণ মানুষের জীবন। পরিবহণ সেক্টর নিরাপদ করতে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ অনিশ্চয়তা। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ সড়কে পঙ্গু হয়ে অসহায় জীবনযাপন করে। সরকার সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ করতে কার্যকর উদ্যোগ নেবে, দেশের মানুষ এমনটাই প্রত্যাশা করে।