ঢাকা ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

আইএমএফের ঋণ পাওয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে : কাদের

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘অবান্তর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ‘আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার আশ্বাসে সরকার ডুগডুগি বাজাচ্ছে’—মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে তাদের গাত্রদাহের কারণ হলো—আইএমএফ বাংলাদেশকে কেন ঋণ দিচ্ছে? মির্জা ফখরুল কী ভুলে গেছেন, বিএনপির সময় জাতীয় অর্থনীতি পরিচালিতই হতো বৈদেশিক সহায়তা ও ঋণের ওপর ভিত্তি করে।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনা মহামারির অভিঘাতের মধ্যেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে  বিশ্বব্যাপী এক চরম অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে যে অর্থনৈতিক সংকট প্রতীয়মান হচ্ছে তা একটি বৈশ্বিক সংকট। এই সংকটের অভিঘাতে জর্জরিত হচ্ছে আমাদের দেশের অর্থনীতিও। কেননা বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। এই সংকট মোকাবিলা করে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার মধ্য দিয়ে দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকার সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করছে।

আইএমএফের ঋণ নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আইএমএফের ঋণ নিয়ে অবান্তর মন্তব্য করেছেন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রশ্ন তুলেছেন। বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব এমন তলানিতে ঠেকেছে যে, তারা এখন আইএমএফের ঋণ নিয়েও রাজনীতি করছে। কয়েক দিন আগে আইএমএফ যাতে ঋণ না দেয় সেজন্য তারা ষড়যন্ত্র করেছে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করেছে। আবার আইএমএফ যখন ঋণ দিচ্ছে তখন তারা বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে। প্রকৃতপক্ষে তাদের গাত্রদাহের কারণ হলো আইএমএফ বাংলাদেশকে কেন ঋণ দিচ্ছে? মির্জা ফখরুল কী ভুলে গেছেন? বিএনপির সময় জাতীয় অর্থনীতি পরিচালিতই হতো বৈদেশিক সহায়তা ও ঋণের ওপর ভিত্তি করে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি গড়ে জাতীয় আয়ের ২৮ শতাংশ ঋণ নিয়ে দেশ পরিচালনা করেছে; তাদের সময় রিজার্ভ ছিল সাড়ে ৩ বিলিয়নেরও কম; তাদের সর্বশেষ বাজেট ছিল মাত্র ৬৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা।

আইএমএফের ঋণ ও রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে বিএনপি জনমনে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে অভিযোগ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির কারণে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও বৈদেশিক ঋণের নির্ভরতা বহুলাংশে কমেছে। রিজার্ভ ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ ছুঁয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান বাজেট বিএনপির সর্বশেষ বাজেটের তুলনায় প্রায় দশগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ বিএনপি নেতৃবৃন্দ আজ নির্লজ্জের মতো আইএমএফের ঋণ নিয়ে কথা বলেন! রিজার্ভ নিয়ে কথা বলেন! প্রকৃতপক্ষে, বিএনপি নেতৃবৃন্দ এই সংকটকে পুঁজি করে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সংকটে আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে সচেতন ও উদ্যোগী হলেই তা মোকাবিলা সহজতর হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সংকট মোকাবিলায় সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, চলমান বৈশ্বিক সংকটের ভয়াবহ অভিঘাত থেকে দেশের মানুষকে সুরক্ষা দিতে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ও দেশপ্রেমিক নাগরিকের দায়িত্বশীল আচরণ এবং কর্তব্যপরায়ণতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সেখানে বিএনপি এই সংকটকে পুঁজি করে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তারা সংকটকে আরও ঘনীভূত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। দেশবিরোধী এবং দেশের মানুষের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত বিএনপির এই হীন অপ-তৎপরতা রুখে দিতে সকলকে সচেতন হতে হবে। আসুন, অনাকাঙ্ক্ষিত এই বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। বঙ্গবন্ধুকন্যার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সক্রিয় অবদান নিশ্চিত করি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

আইএমএফের ঋণ পাওয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে : কাদের

আপডেট সময় ০৪:০৫:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘অবান্তর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ‘আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার আশ্বাসে সরকার ডুগডুগি বাজাচ্ছে’—মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে তাদের গাত্রদাহের কারণ হলো—আইএমএফ বাংলাদেশকে কেন ঋণ দিচ্ছে? মির্জা ফখরুল কী ভুলে গেছেন, বিএনপির সময় জাতীয় অর্থনীতি পরিচালিতই হতো বৈদেশিক সহায়তা ও ঋণের ওপর ভিত্তি করে।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনা মহামারির অভিঘাতের মধ্যেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে  বিশ্বব্যাপী এক চরম অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে যে অর্থনৈতিক সংকট প্রতীয়মান হচ্ছে তা একটি বৈশ্বিক সংকট। এই সংকটের অভিঘাতে জর্জরিত হচ্ছে আমাদের দেশের অর্থনীতিও। কেননা বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। এই সংকট মোকাবিলা করে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার মধ্য দিয়ে দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকার সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করছে।

আইএমএফের ঋণ নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আইএমএফের ঋণ নিয়ে অবান্তর মন্তব্য করেছেন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রশ্ন তুলেছেন। বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব এমন তলানিতে ঠেকেছে যে, তারা এখন আইএমএফের ঋণ নিয়েও রাজনীতি করছে। কয়েক দিন আগে আইএমএফ যাতে ঋণ না দেয় সেজন্য তারা ষড়যন্ত্র করেছে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করেছে। আবার আইএমএফ যখন ঋণ দিচ্ছে তখন তারা বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে। প্রকৃতপক্ষে তাদের গাত্রদাহের কারণ হলো আইএমএফ বাংলাদেশকে কেন ঋণ দিচ্ছে? মির্জা ফখরুল কী ভুলে গেছেন? বিএনপির সময় জাতীয় অর্থনীতি পরিচালিতই হতো বৈদেশিক সহায়তা ও ঋণের ওপর ভিত্তি করে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি গড়ে জাতীয় আয়ের ২৮ শতাংশ ঋণ নিয়ে দেশ পরিচালনা করেছে; তাদের সময় রিজার্ভ ছিল সাড়ে ৩ বিলিয়নেরও কম; তাদের সর্বশেষ বাজেট ছিল মাত্র ৬৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা।

আইএমএফের ঋণ ও রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে বিএনপি জনমনে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে অভিযোগ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির কারণে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও বৈদেশিক ঋণের নির্ভরতা বহুলাংশে কমেছে। রিজার্ভ ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ ছুঁয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান বাজেট বিএনপির সর্বশেষ বাজেটের তুলনায় প্রায় দশগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ বিএনপি নেতৃবৃন্দ আজ নির্লজ্জের মতো আইএমএফের ঋণ নিয়ে কথা বলেন! রিজার্ভ নিয়ে কথা বলেন! প্রকৃতপক্ষে, বিএনপি নেতৃবৃন্দ এই সংকটকে পুঁজি করে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সংকটে আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে সচেতন ও উদ্যোগী হলেই তা মোকাবিলা সহজতর হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সংকট মোকাবিলায় সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, চলমান বৈশ্বিক সংকটের ভয়াবহ অভিঘাত থেকে দেশের মানুষকে সুরক্ষা দিতে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ও দেশপ্রেমিক নাগরিকের দায়িত্বশীল আচরণ এবং কর্তব্যপরায়ণতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সেখানে বিএনপি এই সংকটকে পুঁজি করে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তারা সংকটকে আরও ঘনীভূত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। দেশবিরোধী এবং দেশের মানুষের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত বিএনপির এই হীন অপ-তৎপরতা রুখে দিতে সকলকে সচেতন হতে হবে। আসুন, অনাকাঙ্ক্ষিত এই বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। বঙ্গবন্ধুকন্যার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সক্রিয় অবদান নিশ্চিত করি।