দেশের বর্তমান সংকট থেকে উদ্ধারে সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার দলটির কর্মপরিষদের বৈঠকে এ আহ্বান জানান জামায়াতের শীর্ষ নেতারা। আমির ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে দেশের চলামান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এদিকে গণমাধ্যমে পাঠানো জামায়াতের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে হবে। জাতিকে বর্তমান সংকট থেকে উদ্ধার করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়- সরকার দুর্নীতি, ব্যাংক লুটপাট, শেয়ার বাজারে ধস তৈরি করেছে। বিদেশে অর্থ পাচার করেছে। এখন নিজেদের আখের গোছানোর জন্য তারা দেশে নির্বাচনহীন পরিবেশ তৈরি করেছে। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিরোধী রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হওয়ার মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথ সুগম হতে পারে। এজন্য সর্বাগ্রে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা করে জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে হবে।
জামায়াত নেতারা বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার যে হীনপন্থা অবলম্বন করেছে- তাতে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা বলতে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না; যা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, জনগণের ভোটাধিকার বলতে কিছু অবশিষ্ট নেই। সরকার ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। গত ৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সরকারি দলের অভ্যন্তরীণ সংঘাত, সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। যানবাহন ভাঙচুর এবং ভোট কারচুপি ও অনিয়মে জড়িত থাকায় ৩ জন প্রিসাইডিং অফিসার এবং ২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। এর মাধ্যমে জাতির সামনে আবারো প্রমাণিত হয়েছে যে, দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই।