ঢাকা ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

গাছ কাটার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী ক্ষমার অযোগ্য: জিএম কাদের

তিস্তা সেচ প্রকল্প উন্নয়নের নামে বনবিভাগের ৪ লাখ গাছ কাটার সিদ্ধান্তে উষ্মা প্রকাশ করেছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

রোববার এক বিবৃতিতে এ উষ্মা প্রকাশ করে গাছ কাটা বন্ধ রেখে নতুন করে বনায়নের দাবি জানান তিনি।

জিএম কাদের বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে দেশ এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এমন বাস্তবতায় দেদারছে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী ও ক্ষমার অযোগ্য।

তিনি বলেন, গাছের অভাবে দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই গাছ কাটার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। দেশ ও পরিবেশের বিরুদ্ধে কাদের স্বার্থে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে- তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন বিরোধীদলীয় নেতা।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ- তিস্তা সেচ প্রকল্পের প্রধান ক্যানেলসহ টারশিয়ারি এবং সেকেন্ডারি খাল সংস্কার ও সম্প্রসারণের নামে ৪ লাখ গাছ কাটছে বনবিভাগ। ইতোমধ্যেই দিনাজপুরে খালের নীলফামারী সদরের চান্দের হাট বাহালীপাড়া এলাকায় অন্তত ২০টি গাছ কাটা হয়েছে। ওই এলাকায় এর আগেও গাছ কাটা হলেও নতুন করে বনায়ন করা হয়নি। এর বিরূপ প্রভাবে তিস্তার অনেকাংশ মরুভূমি হতে চলেছে। আবার নীলফামারী সদর ও ডিমলা উপজেলার প্রকল্প এলাকায় ইতোমধ্যেই ৫০ শতাংশ গাছ কাটা হয়েছে। প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে পরিবেশ রক্ষার বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত। তথাপি প্রকল্প বাস্তবায়নে এতো বিপুল সংখ্যক বৃক্ষ নিধন কেন অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়াল- এটা বোঝা মুশকিল। সমালোচকদের মতে, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের অতিরিক্ত গাছ কেটে বিক্রির মাধ্যমে আরও অধিক মুনাফা অর্জনই এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের উদ্দেশ কি না- তা তদন্ত করা প্রয়োজন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

গাছ কাটার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী ক্ষমার অযোগ্য: জিএম কাদের

আপডেট সময় ০৬:০৫:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

তিস্তা সেচ প্রকল্প উন্নয়নের নামে বনবিভাগের ৪ লাখ গাছ কাটার সিদ্ধান্তে উষ্মা প্রকাশ করেছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

রোববার এক বিবৃতিতে এ উষ্মা প্রকাশ করে গাছ কাটা বন্ধ রেখে নতুন করে বনায়নের দাবি জানান তিনি।

জিএম কাদের বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে দেশ এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এমন বাস্তবতায় দেদারছে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী ও ক্ষমার অযোগ্য।

তিনি বলেন, গাছের অভাবে দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই গাছ কাটার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। দেশ ও পরিবেশের বিরুদ্ধে কাদের স্বার্থে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে- তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন বিরোধীদলীয় নেতা।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ- তিস্তা সেচ প্রকল্পের প্রধান ক্যানেলসহ টারশিয়ারি এবং সেকেন্ডারি খাল সংস্কার ও সম্প্রসারণের নামে ৪ লাখ গাছ কাটছে বনবিভাগ। ইতোমধ্যেই দিনাজপুরে খালের নীলফামারী সদরের চান্দের হাট বাহালীপাড়া এলাকায় অন্তত ২০টি গাছ কাটা হয়েছে। ওই এলাকায় এর আগেও গাছ কাটা হলেও নতুন করে বনায়ন করা হয়নি। এর বিরূপ প্রভাবে তিস্তার অনেকাংশ মরুভূমি হতে চলেছে। আবার নীলফামারী সদর ও ডিমলা উপজেলার প্রকল্প এলাকায় ইতোমধ্যেই ৫০ শতাংশ গাছ কাটা হয়েছে। প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে পরিবেশ রক্ষার বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত। তথাপি প্রকল্প বাস্তবায়নে এতো বিপুল সংখ্যক বৃক্ষ নিধন কেন অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়াল- এটা বোঝা মুশকিল। সমালোচকদের মতে, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের অতিরিক্ত গাছ কেটে বিক্রির মাধ্যমে আরও অধিক মুনাফা অর্জনই এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের উদ্দেশ কি না- তা তদন্ত করা প্রয়োজন।