ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
আহতদের প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গার কৈডুবি সদরদীতে ও বেলা ১১টার দিকে হামেরদী নামক স্থানে পৃথক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
হামেরদীর দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- কাশেম শিকদার (৪০) ও তার ছেলে মোরসালিন (৮) এবং মোরসালিনের চাচা নাজমুল শিকদার (৩৭)। তাদের সবার বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসুদপুর উপজেলার কোয়ালদিয়া গ্রামে।
এদিকে কৈডুবি সদরদীতে নিহত হয়েছে স্কুলছাত্রী শ্রাবন্তী আক্তার (১৬)। সে ভাঙ্গার খামিনারবাগ এলাকার শাহাদাত হোসেনের মেয়ে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাকি জানান, শনিবার সকালে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই জন।
জানা যায়, শনিবার বেলা ১১টার সময় ভাঙ্গা থেকে কাশেম শিকদার তার ছেলে ও ভাইয়ের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে ফরিদপুর যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী নামক স্থানে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এসময় ঘটনাস্থলে ছেলে মোরসালিন নিহত হয়।
গুরুতর আহত হন দুই ভাই কাশেম শিকদার ও নাজমুল শিকদার। পরে তাদের দুই ভাইকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক বেলা ১২টার সময় তাদের দুই ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে সকাল ৮টার সময় ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবি সদরদী নামক স্থানে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইককে ধাক্কা দেয় হানিফ পরিবহনের একটি বাস। এসময় তিন যাত্রী গুরুতর আহত হয়। আহতদের ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুরের স্থানান্তর করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্রাবন্তী নামে এক স্কুলছাত্রী মারা যায়।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম বলেন, দুটি দুর্ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।