ঢাকা ০৮:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পাঁচবিবির ইউএনও জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার মঠবাড়িয়ায় মুদি মনোহরী দোকান থেকে নগদ টাকা সহ মালামাল চুরির অভিযোগ রাজবাড়ী সদরের আলীপুরে একই সময় দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার জান্নাতুলের, এলাকায় চাঞ্চল্য শেখ হাসিনার পতন ও বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলমের সখ্যতার নতুন খেলা” গুলশানে বেদখল হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি, জানা গেল বাড়িগুলোর নাম-ঠিকানা প্রয়োজন ছাড়া প্রকল্প তৈরি নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ কোটি টাকা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্মকর্তারা। ইলিয়াস কাঞ্চন এবং যুব ও ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এর মত বিনিময় অনুষ্ঠিত সার্ক ‘আইকন অব সার্জারি’ সম্মাননা পেলেন অধ্যাপক ডা. মওদুদ সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার সময় বাড়ল সাংবাদিক নূরুল কবিরকে বিমানবন্দরে হয়রানি, জামায়াতের উদ্বেগ

মসজিদে আজান হলেই শান্তিরবাজার ফাঁকা হয়ে যায়

পড়ন্ত বিকেল শেষে মসজিদে মাগরিবের আজান হতেই দোকানদাররা দোকান সাজিয়ে বাতি জ্বালিয়ে নামাজ পড়তে মসজিদে চলে গেলেন। প্রতিটি দোকানের একই অবস্থা। সাজানো-গুছানো পুরো সবজি বাজার ফাঁকা পড়ে রইল। এমন অভাবনীয় দৃশ্য দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের শান্তির বাজারের।

শান্তিরবাজারে মাগরিবের সময়ে তোলা এমন একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন পোস্টের কমেন্টবক্সে। নামাজের সময় বাজারের এমন অভূতপূর্ব দৃশ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মন কেড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আরিফ হোসেন বলেন, মাগরিবের নামাজ পড়তে সেই সবজি বাজার হয়ে পাশের মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়তে যাই আমি। এমন দৃশ্য প্রতিদিনের হলেও হঠাৎ বিষয়টা আমার নজরে আসে এবং সেই মুর্হর্তের কিছু ছবি ফেসবুকে আপলোড করি। কিন্তু ভাবতে পারিনি এত দ্রুত এভাবে ছবিগুলো ভাইরাল হবে।

সবজি কিনতে আসা স্থানীয় একজন ক্রেতা আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, আমি সবজি কিনতে এই শান্তির বাজারে নিয়মিত আসি। কাঁচা বাজার কিনতে এসে প্রায় সময়ে মসজিদে মাগরিবের আযান হয়ে যায়। সে সময় আমি অনেক সময়ে খেয়াল করেছি এই সবজি বাজারে মাগরিবের নামাজের সময় ফাঁকা থাকে। বিক্রেতারা সবাই এক সঙ্গে নামাজে যায়। তাই বাজারে ভেতরে আর কোনো ক্রেতা প্রবেশ করে না।

ওই এলাকার ইউপি সদস্য আশিকুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এই বাজারটি অনেক ছোট । এখানে একটি ছোট দোতলা মসজিদ আছে। এই বাজারের অধিকাংশ মানুষ নামাজ পড়ে। আমার জানামতে সবজি বাজারের বিক্রেতারা সবাই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করেন। তাই মাগরিবের নামাজের সময় অল্প হওয়ায় নামাজের সময় ফাঁকা হয়ে যায় সবজি বাজারটি।

কাঁচা বাজারের ভেতরে চা ব্যবসায়ী মো. আনিছুর রহমান জানান, নামাজের সময়ে আমিও দোকান খোলা রেখেই নামাজে যাই। সে সময় কোনো বিক্রেতাই থাকে না।

সবজি বিক্রেতা মো. হামিদুল ইসলাম, দুলাল ইসলাম , সাইদুল ইসলাম, মইনুদ্দিন ইসলামসহ আরো অনেকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, এ বাজারটি মসজিদের জায়গায় অবস্থিত। আমাদের প্রতিটি বিক্রেতাদের দোকানের ভাড়া মসজিদ কমিটিকে দেই। যা মসজিদ উন্নয়নের ব্যবহার করা হয়। নামাজ পড়া নিয়ে এখানে কোনো জোর জবরদস্তি নেই। নিজে থেকেই সবাই আমরা নামাজ পড়ি। আর মাগরিবের ওয়াক্ত খুব অল্প সময়ে শেষ হয় বলে আমরা এক সঙ্গে সবাই নামাজে যাই।

সেখানকার মসজিদের ইমাম মো. আব্দুল লতিফের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, শান্তির বাজার একটি মসজিদ ভিত্তিক বাজার। তাই এখানে মোটামুটি সব ব্যবসায়ী নামাজ পড়েন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাঁচবিবির ইউএনও জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার

মসজিদে আজান হলেই শান্তিরবাজার ফাঁকা হয়ে যায়

আপডেট সময় ১০:৫৮:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

পড়ন্ত বিকেল শেষে মসজিদে মাগরিবের আজান হতেই দোকানদাররা দোকান সাজিয়ে বাতি জ্বালিয়ে নামাজ পড়তে মসজিদে চলে গেলেন। প্রতিটি দোকানের একই অবস্থা। সাজানো-গুছানো পুরো সবজি বাজার ফাঁকা পড়ে রইল। এমন অভাবনীয় দৃশ্য দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের শান্তির বাজারের।

শান্তিরবাজারে মাগরিবের সময়ে তোলা এমন একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন পোস্টের কমেন্টবক্সে। নামাজের সময় বাজারের এমন অভূতপূর্ব দৃশ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মন কেড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আরিফ হোসেন বলেন, মাগরিবের নামাজ পড়তে সেই সবজি বাজার হয়ে পাশের মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়তে যাই আমি। এমন দৃশ্য প্রতিদিনের হলেও হঠাৎ বিষয়টা আমার নজরে আসে এবং সেই মুর্হর্তের কিছু ছবি ফেসবুকে আপলোড করি। কিন্তু ভাবতে পারিনি এত দ্রুত এভাবে ছবিগুলো ভাইরাল হবে।

সবজি কিনতে আসা স্থানীয় একজন ক্রেতা আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, আমি সবজি কিনতে এই শান্তির বাজারে নিয়মিত আসি। কাঁচা বাজার কিনতে এসে প্রায় সময়ে মসজিদে মাগরিবের আযান হয়ে যায়। সে সময় আমি অনেক সময়ে খেয়াল করেছি এই সবজি বাজারে মাগরিবের নামাজের সময় ফাঁকা থাকে। বিক্রেতারা সবাই এক সঙ্গে নামাজে যায়। তাই বাজারে ভেতরে আর কোনো ক্রেতা প্রবেশ করে না।

ওই এলাকার ইউপি সদস্য আশিকুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এই বাজারটি অনেক ছোট । এখানে একটি ছোট দোতলা মসজিদ আছে। এই বাজারের অধিকাংশ মানুষ নামাজ পড়ে। আমার জানামতে সবজি বাজারের বিক্রেতারা সবাই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করেন। তাই মাগরিবের নামাজের সময় অল্প হওয়ায় নামাজের সময় ফাঁকা হয়ে যায় সবজি বাজারটি।

কাঁচা বাজারের ভেতরে চা ব্যবসায়ী মো. আনিছুর রহমান জানান, নামাজের সময়ে আমিও দোকান খোলা রেখেই নামাজে যাই। সে সময় কোনো বিক্রেতাই থাকে না।

সবজি বিক্রেতা মো. হামিদুল ইসলাম, দুলাল ইসলাম , সাইদুল ইসলাম, মইনুদ্দিন ইসলামসহ আরো অনেকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, এ বাজারটি মসজিদের জায়গায় অবস্থিত। আমাদের প্রতিটি বিক্রেতাদের দোকানের ভাড়া মসজিদ কমিটিকে দেই। যা মসজিদ উন্নয়নের ব্যবহার করা হয়। নামাজ পড়া নিয়ে এখানে কোনো জোর জবরদস্তি নেই। নিজে থেকেই সবাই আমরা নামাজ পড়ি। আর মাগরিবের ওয়াক্ত খুব অল্প সময়ে শেষ হয় বলে আমরা এক সঙ্গে সবাই নামাজে যাই।

সেখানকার মসজিদের ইমাম মো. আব্দুল লতিফের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, শান্তির বাজার একটি মসজিদ ভিত্তিক বাজার। তাই এখানে মোটামুটি সব ব্যবসায়ী নামাজ পড়েন।