ঢাকা ০৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পাঁচবিবির ইউএনও জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার মঠবাড়িয়ায় মুদি মনোহরী দোকান থেকে নগদ টাকা সহ মালামাল চুরির অভিযোগ রাজবাড়ী সদরের আলীপুরে একই সময় দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার জান্নাতুলের, এলাকায় চাঞ্চল্য শেখ হাসিনার পতন ও বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলমের সখ্যতার নতুন খেলা” গুলশানে বেদখল হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি, জানা গেল বাড়িগুলোর নাম-ঠিকানা প্রয়োজন ছাড়া প্রকল্প তৈরি নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ কোটি টাকা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্মকর্তারা। ইলিয়াস কাঞ্চন এবং যুব ও ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এর মত বিনিময় অনুষ্ঠিত সার্ক ‘আইকন অব সার্জারি’ সম্মাননা পেলেন অধ্যাপক ডা. মওদুদ সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার সময় বাড়ল সাংবাদিক নূরুল কবিরকে বিমানবন্দরে হয়রানি, জামায়াতের উদ্বেগ

হবিগঞ্জে বানিয়াচং থানা পুলিশের অভিযানে ভুয়া কবিরাজ আটক

হবিগঞ্জে কবিরাজি চিকিৎসার নামে নারী ধর্ষন অতঃপর পুলিশের জালে আটক হলেন ভুয়া কবিরাজ এনামুল মিয়া। ০৬ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখ জনৈক এক মহিলা বানিয়াচং থানায় আসিয়া অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব’কে জানান, তাহার মেয়ে কবিরাজ কর্তৃক ধর্ষিত হইয়াছে।

বিষয়টি জানার পর অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব গুরুত্বের সহিত নিজে আসামী গ্রেফতার করার নিমিত্তে অভিযানে নেমে পড়েন এবং ০৭ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখ কবিরাজ এনামুল মিয়া (35), পিতা- মৃত ধলাই মিয়া, সাং- জাতুকর্নপাড়া, মাইজের মহল্লা, থানা- বানিয়াচং, জেলা- হবিগঞ্জ’কে গ্রেফতার করেন। আসামী গ্রেফতারের পর তাহাকে দফায় দফায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশকে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করে।

সে জানায় দীর্ঘদিন পূর্বে জণৈকা ভিকটিমের উপরি ও জ্বীন-ভূতে ধরিয়াছে মর্মে তথ্য পাওয়ার পর ভিকটিমের মাতা কবিরাজের স্মরনাপন্ন হন। তখন কবিরাজ সুকৌশলে ভিকটিমের মাকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখাইয়া বলে তোমার মেয়েকে জ্বীনে ধরিয়াছে। জ্বীনের দ্বারা সে গর্ভবর্তীও হতে পারে। তাহাকে একা নিরিবিলি চিকিৎসা করিতে হইবে নতুবা সে সুস্থ হবে না। কবিরাজের এমন কথায় ভিকটিমের মা ভেঙ্গে পড়েন এবং তার মনের মধ্যে ভয় ঢুকে যায়।

তখন সে কবিরাজের পায়ে পড়ে এবং বলে আপনি যেধরনেরই চিকিৎসা করা লাগে আপনি করেন কিন্তু আমার মেয়েকে সুস্থ করে তুলেন। অতঃপর কবিরাজ ভিকটিমের মাকে চিকিৎসা করানোর কথা বলিয়া তাহার হীন চরিতার্থ উদ্ধার করার জন্য ভিকটিমকে নিয়া তাহার এক বন্ধুর বাসায় যায়। সেখানে নিয়া সে ভিকটিমকে একাধিকবার চিকিৎসা করিতেছে বলিয়া ধর্ষন করে এবং গোপনে ভিকটিমের আপত্তির অবস্থার স্থির চিত্র ও ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারন করে।

এরপর সে একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় নিয়া ভিকটিমকে ধর্ষন করে। বিষয়টি ভিকটিম বুঝতে পেরে কবিরাজের সহিত যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে চায়। তখন কবিরাজের আসল রূপ বের হয়ে আসে। কবিরাজ তাহার মোবাইলে থাকা ভিকটিমের কিছু স্থির চিত্র ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজনের নিকট পাঠাইয়া দিবে বলিয়া ভয় দেখাইতে থাকে এবং তাহার নিকট আসার জন্য বলে। ভিকটিম তখন বাধ্য হয়ে তাহার মাকে বিষয়টি জানাইলে তিনি বিষয়টি পুলিশের নজরে আনেন।

পরবর্তীতে পুলিশ ধর্ষক কবিরাজকে ভিকটিমের মায়ের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার করিয়া বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করিলে কবিরাজ তাহার দোষ স্বীকার করিয়া বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাঁচবিবির ইউএনও জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার

হবিগঞ্জে বানিয়াচং থানা পুলিশের অভিযানে ভুয়া কবিরাজ আটক

আপডেট সময় ১০:৪১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

হবিগঞ্জে কবিরাজি চিকিৎসার নামে নারী ধর্ষন অতঃপর পুলিশের জালে আটক হলেন ভুয়া কবিরাজ এনামুল মিয়া। ০৬ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখ জনৈক এক মহিলা বানিয়াচং থানায় আসিয়া অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব’কে জানান, তাহার মেয়ে কবিরাজ কর্তৃক ধর্ষিত হইয়াছে।

বিষয়টি জানার পর অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব গুরুত্বের সহিত নিজে আসামী গ্রেফতার করার নিমিত্তে অভিযানে নেমে পড়েন এবং ০৭ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখ কবিরাজ এনামুল মিয়া (35), পিতা- মৃত ধলাই মিয়া, সাং- জাতুকর্নপাড়া, মাইজের মহল্লা, থানা- বানিয়াচং, জেলা- হবিগঞ্জ’কে গ্রেফতার করেন। আসামী গ্রেফতারের পর তাহাকে দফায় দফায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশকে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করে।

সে জানায় দীর্ঘদিন পূর্বে জণৈকা ভিকটিমের উপরি ও জ্বীন-ভূতে ধরিয়াছে মর্মে তথ্য পাওয়ার পর ভিকটিমের মাতা কবিরাজের স্মরনাপন্ন হন। তখন কবিরাজ সুকৌশলে ভিকটিমের মাকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখাইয়া বলে তোমার মেয়েকে জ্বীনে ধরিয়াছে। জ্বীনের দ্বারা সে গর্ভবর্তীও হতে পারে। তাহাকে একা নিরিবিলি চিকিৎসা করিতে হইবে নতুবা সে সুস্থ হবে না। কবিরাজের এমন কথায় ভিকটিমের মা ভেঙ্গে পড়েন এবং তার মনের মধ্যে ভয় ঢুকে যায়।

তখন সে কবিরাজের পায়ে পড়ে এবং বলে আপনি যেধরনেরই চিকিৎসা করা লাগে আপনি করেন কিন্তু আমার মেয়েকে সুস্থ করে তুলেন। অতঃপর কবিরাজ ভিকটিমের মাকে চিকিৎসা করানোর কথা বলিয়া তাহার হীন চরিতার্থ উদ্ধার করার জন্য ভিকটিমকে নিয়া তাহার এক বন্ধুর বাসায় যায়। সেখানে নিয়া সে ভিকটিমকে একাধিকবার চিকিৎসা করিতেছে বলিয়া ধর্ষন করে এবং গোপনে ভিকটিমের আপত্তির অবস্থার স্থির চিত্র ও ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারন করে।

এরপর সে একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় নিয়া ভিকটিমকে ধর্ষন করে। বিষয়টি ভিকটিম বুঝতে পেরে কবিরাজের সহিত যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে চায়। তখন কবিরাজের আসল রূপ বের হয়ে আসে। কবিরাজ তাহার মোবাইলে থাকা ভিকটিমের কিছু স্থির চিত্র ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজনের নিকট পাঠাইয়া দিবে বলিয়া ভয় দেখাইতে থাকে এবং তাহার নিকট আসার জন্য বলে। ভিকটিম তখন বাধ্য হয়ে তাহার মাকে বিষয়টি জানাইলে তিনি বিষয়টি পুলিশের নজরে আনেন।

পরবর্তীতে পুলিশ ধর্ষক কবিরাজকে ভিকটিমের মায়ের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার করিয়া বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করিলে কবিরাজ তাহার দোষ স্বীকার করিয়া বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।