ঢাকা ০৬:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টাইগারদের ঐতিহাসিক জয়

প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। বাকি ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। অভিজ্ঞ অনেক ক্রিকেটার ছাড়া কিউই সফরে যাওয়া এই বাংলাদেশ দলের সামনে যেটি অসম্ভব লক্ষ্য বলেই মনে হচ্ছিল। তবে শেষ ম্যাচের দাপুটে বোলিং পারফরম্যান্সে তাই করে দেখালো নাজমুল হাসান শান্তর দল। কিউইদের ৯৮ রানে থামিয়ে ৯৯ রানের স্বল্প লক্ষ্যে হেসেখেলেই পৌঁছান টাইগার ব্যাটাররা। আর এতে নয় উইকেটের জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করে হোয়াইটওয়াশ এড়াল বাংলাদেশ।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) নিউজিল্যান্ডের নেপিয়ারে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে ৯ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে টাইগাররা। মাত্র ৯৯ রানের লক্ষ্যে ১ উইকেট হারিয়ে ১৫.১ ওভারেই জয় তুলে নিয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এই জয়ে সিরিজ শেষ হলো ২-১ ব্যবধানে।

অবশ্য মূল কাজটি আগেই করে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। কিউইদের মাত্র ৯৮ রানে অলআউট করায় টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও সৌম্য সরকার নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। আর স্বল্প এই লক্ষ্যে অধিনায়ক শান্তর অপরাজিত ৫১ রানে সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল।

লক্ষ্য ছোট হলেও দেখে-শুনেই শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও সৌম্য সরকার। কিউই পেসারদের সামলে ভালোভাবেই লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছিলেন তারা। তবে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। চোখের সমস্যায় মাঠ ছাড়তে হয় সৌম্যকে।

তিনে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন বিজয়ও। ৩৭ রান করে বিজয় সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৬৯ রানের জুটি। বিজয় যখন ফেরেন, তখন জয় থেকে কেবল ১৫ রান দূরে ছিল বাংলাদেশ। বাকি কাজটা লিটনকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুতই শেষ করেছেন শান্ত। এরই মধ্যে নিজের হাফ সেঞ্চুরিটাও তোলে নেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

এদিকে শেষ ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষে থাকা টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তার সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ হতে দেননি বাংলাদেশের দুই পেসার শরীফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ২৭ রান করতে পারে কিউইরা। সঙ্গে হারাতে হয় দুই উইকেট। দলীয় ১৬ রানে ওপেনার রাচিন ও ২২ রানে হেনরি নিকোলাসকে ফেরান বাংলাদেশের তরুণ পেসার তানজিম সাকিব।

এরপরে ইয়াংকে নিয়ে ৫৫ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালান কিউই অধিনায়ক লাথাম। এই জুটিকে থামান শরিফুল। ৩৪ বলে ২১ রান করা লাথামকে সরাসরি বোল্ড করেন এরপর আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশ দলের গলার কাঁটা হয়ে ওঠা উইল ইয়াংকেও ফেরান তিনি। তারপরের উইকেটও নেন শরীফুল।

শরিফুলের ৩ উইকেট নেওয়ার পর আবার আঘাত হানেন সাকিব। সাকিবের তৃতীয় ও বাংলাদেশের ষষ্ঠ শিকার হন ১৭ বলে ৪ রান করা টম ব্লান্ডেল। শরিফুল-তানজিমের পরের তিনটি নেন সৌম্য সরকার । জস ক্লার্কসন (২৩ বলে ১৬ রান) ও অ্যাডাম মিলনেকে (২০ বলে ৪ রান) বোল্ডের পর মাত্র এক ম্যাচ খেলা আদিথ্য অশোককেও (১২ বলে ১০ রান) মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরান এই অলরাউন্ডার।

কিউই শিবিরে শেষ আঘাত হানেন আইপিএল নিলামে চেন্নাইয়ে যাওয়া মুস্তাফিজুর । কিউইদের দলীয় ৯৮ রানে ও’ররকে বোল্ড করে ইনিংসের সমাপ্তি টানেন তিনি।

ম্যাচ শেষে ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে তানজিম সাকিবের হাতে আর সিরিজ সেরা কিউই ওপেনার উইল ইয়াং

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৩ বিচারকের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুনর্গঠন

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টাইগারদের ঐতিহাসিক জয়

আপডেট সময় ১০:৫৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। বাকি ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। অভিজ্ঞ অনেক ক্রিকেটার ছাড়া কিউই সফরে যাওয়া এই বাংলাদেশ দলের সামনে যেটি অসম্ভব লক্ষ্য বলেই মনে হচ্ছিল। তবে শেষ ম্যাচের দাপুটে বোলিং পারফরম্যান্সে তাই করে দেখালো নাজমুল হাসান শান্তর দল। কিউইদের ৯৮ রানে থামিয়ে ৯৯ রানের স্বল্প লক্ষ্যে হেসেখেলেই পৌঁছান টাইগার ব্যাটাররা। আর এতে নয় উইকেটের জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করে হোয়াইটওয়াশ এড়াল বাংলাদেশ।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) নিউজিল্যান্ডের নেপিয়ারে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে ৯ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে টাইগাররা। মাত্র ৯৯ রানের লক্ষ্যে ১ উইকেট হারিয়ে ১৫.১ ওভারেই জয় তুলে নিয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এই জয়ে সিরিজ শেষ হলো ২-১ ব্যবধানে।

অবশ্য মূল কাজটি আগেই করে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। কিউইদের মাত্র ৯৮ রানে অলআউট করায় টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও সৌম্য সরকার নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। আর স্বল্প এই লক্ষ্যে অধিনায়ক শান্তর অপরাজিত ৫১ রানে সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল।

লক্ষ্য ছোট হলেও দেখে-শুনেই শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও সৌম্য সরকার। কিউই পেসারদের সামলে ভালোভাবেই লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছিলেন তারা। তবে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। চোখের সমস্যায় মাঠ ছাড়তে হয় সৌম্যকে।

তিনে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন বিজয়ও। ৩৭ রান করে বিজয় সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৬৯ রানের জুটি। বিজয় যখন ফেরেন, তখন জয় থেকে কেবল ১৫ রান দূরে ছিল বাংলাদেশ। বাকি কাজটা লিটনকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুতই শেষ করেছেন শান্ত। এরই মধ্যে নিজের হাফ সেঞ্চুরিটাও তোলে নেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

এদিকে শেষ ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষে থাকা টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তার সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ হতে দেননি বাংলাদেশের দুই পেসার শরীফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ২৭ রান করতে পারে কিউইরা। সঙ্গে হারাতে হয় দুই উইকেট। দলীয় ১৬ রানে ওপেনার রাচিন ও ২২ রানে হেনরি নিকোলাসকে ফেরান বাংলাদেশের তরুণ পেসার তানজিম সাকিব।

এরপরে ইয়াংকে নিয়ে ৫৫ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালান কিউই অধিনায়ক লাথাম। এই জুটিকে থামান শরিফুল। ৩৪ বলে ২১ রান করা লাথামকে সরাসরি বোল্ড করেন এরপর আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশ দলের গলার কাঁটা হয়ে ওঠা উইল ইয়াংকেও ফেরান তিনি। তারপরের উইকেটও নেন শরীফুল।

শরিফুলের ৩ উইকেট নেওয়ার পর আবার আঘাত হানেন সাকিব। সাকিবের তৃতীয় ও বাংলাদেশের ষষ্ঠ শিকার হন ১৭ বলে ৪ রান করা টম ব্লান্ডেল। শরিফুল-তানজিমের পরের তিনটি নেন সৌম্য সরকার । জস ক্লার্কসন (২৩ বলে ১৬ রান) ও অ্যাডাম মিলনেকে (২০ বলে ৪ রান) বোল্ডের পর মাত্র এক ম্যাচ খেলা আদিথ্য অশোককেও (১২ বলে ১০ রান) মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরান এই অলরাউন্ডার।

কিউই শিবিরে শেষ আঘাত হানেন আইপিএল নিলামে চেন্নাইয়ে যাওয়া মুস্তাফিজুর । কিউইদের দলীয় ৯৮ রানে ও’ররকে বোল্ড করে ইনিংসের সমাপ্তি টানেন তিনি।

ম্যাচ শেষে ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে তানজিম সাকিবের হাতে আর সিরিজ সেরা কিউই ওপেনার উইল ইয়াং