ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মারাত্মক চাপে ইসরাইল, ছাড় দেবে না হামাস

যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তির জন্য দেশে ও বিদেশে মারাত্মক চাপে পড়েছে ইসরাইল। আর হামাস বলছে, তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং সরবরাহ বাড়ানো না হলে যুদ্ধ অব্যাহত রাখবে। ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি আরও একদিন পিছিয়ে বৃহস্পতিবার নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইসরাইল ৪০ বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু হামাস তাতে রাজি হয়নি বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে।

ইসরাইলি প্রস্তাব নিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া বর্তমানে মিশরে রয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন, আর দরকার আরও মানবিক সহায়তা।

এই প্রথমবারের মতো গাজার আরেকটি সংগঠন ইসলামিক জিহাদকেও আলোচনায় ডাকা হয়েছে। তারাও জানিয়ে দিয়েছে, গাজায় আটক প্রায় ১০০ জনের বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে আটক সব ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি দাবি করেছে। তারাও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি তুলেছে।

আলোচনার সঙ্গে জড়িত এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, হামাস মানবিক বিরতি চাচ্ছে না। তারা গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের পূর্ণ অবসান চায়।

হামাস মনে করে, বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হলে ইসরাইল আরও নৃশংসভাবে হামলা চালাতে থাকবে। কাজেই বন্দিদের বিনিময়েই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দরকার।

এদিকে যুদ্ধবিরতির জন্য বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সরকারের ওপর দেশে ও বিদেশে চাপ ব্যাপকভাবে বেড়েছে।

এমনকি আমেরিকাও এখন ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। বেসামরিক মৃত্যু এবং ক্ষতির জন্য তারা তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।

অন্যদিকে বন্দি পরিবার ও স্বজনরা তাদের প্রিয়জনদের ফিরিয়ে আনার জন্য ইসরাইল সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হাতে তিন বন্দি নিহত হওয়ার পর সরকারের ওপর চাপ প্রবল হয়েছে। তারা বলছে, বন্দিদের ফিরিয়ে আনার জন্য সম্ভব সবকিছু করতে হবে।

ইসরাইল এখন ৪০ বন্দির বিনিময়ের ওপর জোর দিয়েছে। তারা মূলত নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি।

মিশর ছাড়াও ইউরোপেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু সমঝোতায় পৌঁছা বেশ কঠিন বলে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে গাজায় যুদ্ধ করতে এবং কারাগারে আটক সব বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হচ্ছে না ইসরাইল।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৩ বিচারকের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুনর্গঠন

মারাত্মক চাপে ইসরাইল, ছাড় দেবে না হামাস

আপডেট সময় ১১:৫৩:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তির জন্য দেশে ও বিদেশে মারাত্মক চাপে পড়েছে ইসরাইল। আর হামাস বলছে, তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং সরবরাহ বাড়ানো না হলে যুদ্ধ অব্যাহত রাখবে। ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি আরও একদিন পিছিয়ে বৃহস্পতিবার নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইসরাইল ৪০ বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু হামাস তাতে রাজি হয়নি বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে।

ইসরাইলি প্রস্তাব নিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া বর্তমানে মিশরে রয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন, আর দরকার আরও মানবিক সহায়তা।

এই প্রথমবারের মতো গাজার আরেকটি সংগঠন ইসলামিক জিহাদকেও আলোচনায় ডাকা হয়েছে। তারাও জানিয়ে দিয়েছে, গাজায় আটক প্রায় ১০০ জনের বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে আটক সব ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি দাবি করেছে। তারাও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি তুলেছে।

আলোচনার সঙ্গে জড়িত এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, হামাস মানবিক বিরতি চাচ্ছে না। তারা গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের পূর্ণ অবসান চায়।

হামাস মনে করে, বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হলে ইসরাইল আরও নৃশংসভাবে হামলা চালাতে থাকবে। কাজেই বন্দিদের বিনিময়েই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দরকার।

এদিকে যুদ্ধবিরতির জন্য বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সরকারের ওপর দেশে ও বিদেশে চাপ ব্যাপকভাবে বেড়েছে।

এমনকি আমেরিকাও এখন ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। বেসামরিক মৃত্যু এবং ক্ষতির জন্য তারা তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।

অন্যদিকে বন্দি পরিবার ও স্বজনরা তাদের প্রিয়জনদের ফিরিয়ে আনার জন্য ইসরাইল সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হাতে তিন বন্দি নিহত হওয়ার পর সরকারের ওপর চাপ প্রবল হয়েছে। তারা বলছে, বন্দিদের ফিরিয়ে আনার জন্য সম্ভব সবকিছু করতে হবে।

ইসরাইল এখন ৪০ বন্দির বিনিময়ের ওপর জোর দিয়েছে। তারা মূলত নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি।

মিশর ছাড়াও ইউরোপেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু সমঝোতায় পৌঁছা বেশ কঠিন বলে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে গাজায় যুদ্ধ করতে এবং কারাগারে আটক সব বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হচ্ছে না ইসরাইল।