ঢাকা ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আগামী ৭ জানুয়ারী নির্বাচনে এমপি কে

প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী-ই না ব্যারিস্টার সুমন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আর মাত্র ১৫ দিন বাকী। ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে কে হতে চলেছে সংসদ সদস্য?এ নিয়ে মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলার হবিগঞ্জ -৪ আসনের নির্বাচন নিয়ে নানান জল্পনা কল্পনা চলছে সাড়ে ওই আসনের চার লক্ষ ভোটারের মধ্যে।

জনগণের মধ্যে আবেগিক বক্তব্য,আশাবাদের সঞ্চালন ও নতুন স্বপ্ন ও প্রতিজ্ঞামূলক বক্তব্যে তরুনদের মধ্যে ব্যারিস্টার সুমনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে জানাচ্ছেন স্থানীয় বিশ্লেষকরা।আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক অত্যন্ত কৌশলের সাথে বুদ্ধি খাটিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহ বা বিরোধীতা না করেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রীণ সিগন্যালের কথা বলে রাজনীতির মাঠে বেশ পটুতা দেখাচ্ছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা যাচ্ছে।এছাড়া তিনি রানিং এমপি ও প্রতিমন্ত্রী কিছু অসংগতি নিয়ে হাস্য-রসাত্মক সমালোচনা করতেও দেখা যাচ্ছে।

অন্যদিকে জানা যায়, আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট প্রার্থী, রানিং প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এডভোকেট মাহবুব আলী উপজেলা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকেদের পুরনো রাগ ও অভিমান ভাঙ্গিয়ে নতুনরূপে সংগঠিত করে নির্বাচনের জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোন অভিযোগ না থাকলেও বিগত ক্ষমতাকালীন সময়ে তৃণমূল ও জনমানুষের মনের আশা পূরণ করতে কতটুকু সচেষ্ট ছিলেন এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন।তবে তিনি তার বিভিন্ন বক্তৃতায় এসবের জবাবও দিচ্ছেন। মাধবপুর ও চুনারঘাটের একাধিক রানিং ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যে এখনো অনেক চেয়ারম্যানের ক্ষোভ ও অভিমান ভাঙাতে সক্ষম হয়নি তিনি।তবে তিনি আবার নির্বাচিত হলে নতুন রূপে ও নতুন কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন বলে বিভিন্ন তার বিভিন্ন পথসভার বক্তৃতা সূত্রে জানা যাচ্ছে।

ব্যারিস্টার সুমন গনসংযোগে ও প্রচারণায় বিভিন্ন সময় মিষ্টিসুরে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর কটাক্ষ ও সমালোচনা করছেন।কিন্তু প্রতিমন্ত্রী ওইসব কথাবার্তার কোন প্রতিত্তোর দিতে দেখা যাচ্ছে না।তিনি নিরব থাকছেন।বলতে গেলে মুখে কোলো পেতে বসে আছেন তিনি।

তবে প্রতিমন্ত্রী এই নীরবতা কিসের লক্ষণ অথবা ৭ তারিখে ওই নীরবতা কোন প্রতিশোধের রূপ নিবে তা নিয়েও প্রিডিক্ট(অনুমান) করছেন একটি মহল!

মাধবপুর ও চুনারঘাট উপজেলা ঘেরা হবিগঞ্জ-৪ আসনের প্রায় দুই শতাধিক ভোট কেন্দ্রের স্বতন্ত্রপ্রার্থী ব্যারিস্টার সুমন কি তার এজেন্ট ও কর্মী-সমর্থকদের কতটুকুন ঠিকিয়ে রাখতে পারবেন এ নিয়েও ভাবছেন কেউ কেউ।

মাধবপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক শ্রীধরপুর গ্রামের বাসিন্দা সুজন মিয়া বলেন,আমরা ক্ষমতায় ছিলাম আছি থাকবো।এটা আমাদের মাস্তানি নয় বরং আত্মবিশ্বাস।আওয়ামীলীগ বিদ্রোহীরা ৭ তারিখে এজেন্টিই খুঁজে পাবে না বলেও তিনি জানান।

ওইদিকে ব্যারিস্টার সুমনের সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর জয় বলেন,সুমন ভাইয়ের গণজোয়াড়ই প্রমাণ করে কারা বিপুল ভোটে জয়ী হবে।শুধু হবিগঞ্জ ৪ আসনই নয় বরং সারা বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে আমাদের এই আসনের দিকে।

মাধবপুর ও চুনারঘাট উপজেলা ২জন ইএনও,২ জন ওসি ও এদের উপরে রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক কোন ভূমিকায় থাকবেন? সাড়া বাংলাদেশের সকল আসনের তুলনায় হাড্ডাহাড্ডির ফোকাস হবিগঞ্জ-৪ আসনটি মিডিয়ার কতটুকুন দৃষ্টিতে থাকবে তার উপরে নির্ভর করবে স্বচ্ছ ও ভোটারদের উপস্থিতিতে জমকালো নির্বাচন।

একাধিক সুত্র জানাচ্ছে,শক্তিশালী ও পরিকল্পিত কর্মীবাহিনীর অভাবে ভোট কেন্দ্রসমূহে ব্যারিস্টার সুমনের পক্ষে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার নিয়ে কিছু ধোঁয়াশা রয়েছে ।অন্যদিকে প্রতিমন্ত্রীর সরকারি প্রটোকলের ব্যবহার ব্যারিস্টার সুমনের কর্মীদের মনোবলকে দুর্বল করে দিচ্ছে বলে জানাচ্ছে একটি সূত্র। ৭ তারিখের নির্বাচনে হাড্ডাহাটির এক পর্যায়ে বিশেষ করে মাধবপুর উপজেলায় রক্তের বন্যা বইবে কিনা তা নিয়েও আতঙ্কিত একটি মহল।

ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলার র্শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ এসব বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী হননি।স্থানীয় বন্যপ্রাণী স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন পাখি প্রেমিক সোসাইটি-র যুগ্ম আহবায়ক ও গণমাধ্যম কর্মী বিশ্বজিৎ পাল জানাচ্ছিলেন কিছু কথা।
বিশ্বজিৎ পাল মন্তব্য করেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি আসনের জন্য তিনি কখনোই পুরো দেশের চিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ বা কলঙ্কিত হতে দেবেন না।আওয়ামীলীগের উগ্র মনোভাব এখানে প্রকাশ কোন সুযোগ পাবে না।ব্যারিস্টার সুমন যেহেতু মাথাওয়ালা লোক তাই তিনি সকল ফাক-ফোকর বন্ধ করার তরিকাও জানেন।অন্যদিকে নেতার ছেলে নেতা প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলীর তৈরি করা মাঠ আছে।এসব কারণে নির্বাচন জনবান্ধব হতে বাধ্য। নির্বাচনে এই দুই শক্তির কোন বাড়াবাড়ি হলে ঐ এলাকার আরেক সূর্যসন্তান বঙ্গবন্ধুর আরেক অনুচর সাবেক গভর্নর ডঃ ফরাসউদ্দিন আহমেদের আবির্ভাব হলেও হতে পারে।তবে বিশ্বজিৎ পালের এসব মতামত একান্তই তার ব্যক্তিগত চিন্তার ফসল।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৩ বিচারকের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুনর্গঠন

আগামী ৭ জানুয়ারী নির্বাচনে এমপি কে

আপডেট সময় ১১:৪২:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী-ই না ব্যারিস্টার সুমন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আর মাত্র ১৫ দিন বাকী। ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে কে হতে চলেছে সংসদ সদস্য?এ নিয়ে মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলার হবিগঞ্জ -৪ আসনের নির্বাচন নিয়ে নানান জল্পনা কল্পনা চলছে সাড়ে ওই আসনের চার লক্ষ ভোটারের মধ্যে।

জনগণের মধ্যে আবেগিক বক্তব্য,আশাবাদের সঞ্চালন ও নতুন স্বপ্ন ও প্রতিজ্ঞামূলক বক্তব্যে তরুনদের মধ্যে ব্যারিস্টার সুমনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে জানাচ্ছেন স্থানীয় বিশ্লেষকরা।আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক অত্যন্ত কৌশলের সাথে বুদ্ধি খাটিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহ বা বিরোধীতা না করেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রীণ সিগন্যালের কথা বলে রাজনীতির মাঠে বেশ পটুতা দেখাচ্ছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা যাচ্ছে।এছাড়া তিনি রানিং এমপি ও প্রতিমন্ত্রী কিছু অসংগতি নিয়ে হাস্য-রসাত্মক সমালোচনা করতেও দেখা যাচ্ছে।

অন্যদিকে জানা যায়, আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট প্রার্থী, রানিং প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এডভোকেট মাহবুব আলী উপজেলা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকেদের পুরনো রাগ ও অভিমান ভাঙ্গিয়ে নতুনরূপে সংগঠিত করে নির্বাচনের জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোন অভিযোগ না থাকলেও বিগত ক্ষমতাকালীন সময়ে তৃণমূল ও জনমানুষের মনের আশা পূরণ করতে কতটুকু সচেষ্ট ছিলেন এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন।তবে তিনি তার বিভিন্ন বক্তৃতায় এসবের জবাবও দিচ্ছেন। মাধবপুর ও চুনারঘাটের একাধিক রানিং ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যে এখনো অনেক চেয়ারম্যানের ক্ষোভ ও অভিমান ভাঙাতে সক্ষম হয়নি তিনি।তবে তিনি আবার নির্বাচিত হলে নতুন রূপে ও নতুন কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন বলে বিভিন্ন তার বিভিন্ন পথসভার বক্তৃতা সূত্রে জানা যাচ্ছে।

ব্যারিস্টার সুমন গনসংযোগে ও প্রচারণায় বিভিন্ন সময় মিষ্টিসুরে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর কটাক্ষ ও সমালোচনা করছেন।কিন্তু প্রতিমন্ত্রী ওইসব কথাবার্তার কোন প্রতিত্তোর দিতে দেখা যাচ্ছে না।তিনি নিরব থাকছেন।বলতে গেলে মুখে কোলো পেতে বসে আছেন তিনি।

তবে প্রতিমন্ত্রী এই নীরবতা কিসের লক্ষণ অথবা ৭ তারিখে ওই নীরবতা কোন প্রতিশোধের রূপ নিবে তা নিয়েও প্রিডিক্ট(অনুমান) করছেন একটি মহল!

মাধবপুর ও চুনারঘাট উপজেলা ঘেরা হবিগঞ্জ-৪ আসনের প্রায় দুই শতাধিক ভোট কেন্দ্রের স্বতন্ত্রপ্রার্থী ব্যারিস্টার সুমন কি তার এজেন্ট ও কর্মী-সমর্থকদের কতটুকুন ঠিকিয়ে রাখতে পারবেন এ নিয়েও ভাবছেন কেউ কেউ।

মাধবপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক শ্রীধরপুর গ্রামের বাসিন্দা সুজন মিয়া বলেন,আমরা ক্ষমতায় ছিলাম আছি থাকবো।এটা আমাদের মাস্তানি নয় বরং আত্মবিশ্বাস।আওয়ামীলীগ বিদ্রোহীরা ৭ তারিখে এজেন্টিই খুঁজে পাবে না বলেও তিনি জানান।

ওইদিকে ব্যারিস্টার সুমনের সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর জয় বলেন,সুমন ভাইয়ের গণজোয়াড়ই প্রমাণ করে কারা বিপুল ভোটে জয়ী হবে।শুধু হবিগঞ্জ ৪ আসনই নয় বরং সারা বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে আমাদের এই আসনের দিকে।

মাধবপুর ও চুনারঘাট উপজেলা ২জন ইএনও,২ জন ওসি ও এদের উপরে রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক কোন ভূমিকায় থাকবেন? সাড়া বাংলাদেশের সকল আসনের তুলনায় হাড্ডাহাড্ডির ফোকাস হবিগঞ্জ-৪ আসনটি মিডিয়ার কতটুকুন দৃষ্টিতে থাকবে তার উপরে নির্ভর করবে স্বচ্ছ ও ভোটারদের উপস্থিতিতে জমকালো নির্বাচন।

একাধিক সুত্র জানাচ্ছে,শক্তিশালী ও পরিকল্পিত কর্মীবাহিনীর অভাবে ভোট কেন্দ্রসমূহে ব্যারিস্টার সুমনের পক্ষে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার নিয়ে কিছু ধোঁয়াশা রয়েছে ।অন্যদিকে প্রতিমন্ত্রীর সরকারি প্রটোকলের ব্যবহার ব্যারিস্টার সুমনের কর্মীদের মনোবলকে দুর্বল করে দিচ্ছে বলে জানাচ্ছে একটি সূত্র। ৭ তারিখের নির্বাচনে হাড্ডাহাটির এক পর্যায়ে বিশেষ করে মাধবপুর উপজেলায় রক্তের বন্যা বইবে কিনা তা নিয়েও আতঙ্কিত একটি মহল।

ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলার র্শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ এসব বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী হননি।স্থানীয় বন্যপ্রাণী স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন পাখি প্রেমিক সোসাইটি-র যুগ্ম আহবায়ক ও গণমাধ্যম কর্মী বিশ্বজিৎ পাল জানাচ্ছিলেন কিছু কথা।
বিশ্বজিৎ পাল মন্তব্য করেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি আসনের জন্য তিনি কখনোই পুরো দেশের চিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ বা কলঙ্কিত হতে দেবেন না।আওয়ামীলীগের উগ্র মনোভাব এখানে প্রকাশ কোন সুযোগ পাবে না।ব্যারিস্টার সুমন যেহেতু মাথাওয়ালা লোক তাই তিনি সকল ফাক-ফোকর বন্ধ করার তরিকাও জানেন।অন্যদিকে নেতার ছেলে নেতা প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলীর তৈরি করা মাঠ আছে।এসব কারণে নির্বাচন জনবান্ধব হতে বাধ্য। নির্বাচনে এই দুই শক্তির কোন বাড়াবাড়ি হলে ঐ এলাকার আরেক সূর্যসন্তান বঙ্গবন্ধুর আরেক অনুচর সাবেক গভর্নর ডঃ ফরাসউদ্দিন আহমেদের আবির্ভাব হলেও হতে পারে।তবে বিশ্বজিৎ পালের এসব মতামত একান্তই তার ব্যক্তিগত চিন্তার ফসল।