চাহিত ঘুষের টাকা না দেয়ায় পদোন্নতি বঞ্চিত হচ্ছেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রনের এডি হায়দার রাসেল। ঘটনার ভুক্তভোগী ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: হায়দার রাসেল। তথ্য ও সুত্রে জানাযায়, নেত্রকোনা জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হয়দার রাসেল অত্যন্ত সততা,দক্ষতা ও বিচক্ষনতার সহিত দীর্ঘ ৪ বছর দায়িত্বপালন করা অবস্থায় ঘুষখোর অতিরিক্ত পরিচালক পদে সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত শওকত ইসলাম ওরফে বিকাশ শওকত ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পরিচালক হিসাবে যোগদান করেন।
যোগদানের পর থেকেই নিয়মিত মাসোহারা আদায়ে চাকুরিবিধি বহির্ভুতভাবে সহকারী পরিচালক হায়দার রাসেল সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপর জুলুম নির্যাতন শুরু করেন। শুক্র শনিবারে ছুটিতে যেতেও দিতে হইত উৎকোচ। মাসিক পরিদর্শনের নামে অহেতুক হয়রানী শুরু করেন এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা তাকে না দিলে শান্তিতে চাকুরি করতে দিবেন না বলে হুমকি ধামকি দেন বিকাশ শওকত ।
গত মার্চ মাসে জানান সন্তোসজনক এসি আর পেতে হলে দিতে হবে ৫ লাখ টাকা। এমতাবস্থায় হায়দার রাসেল সুনামগঞ্জ অফিসে বদলী হন। সুনামগঞ্জে চলে যাওয়ার সময় অতিরিক্ত পরিচালক হায়দার রাসেলের এসিআর দেয়ার নামে মোটা অংকের উধকোচ দাবি করেন। এসময় হায়দার রাসেল জানান, তার চাহিত উধকোচ না দেয়ায় সম্পুর্ন কাল্পনিক ও মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করিয়া প্রধান কার্যালয়ে এসিআর প্রদান করেন। এসিআর দাখিলের তথ্য গোপন সুত্রে জানতে পেরে হায়দার রাসেল অতিরিক্ত পরিচালক শওকত ইসলামের কুকর্মের তথ্য গণমাধ্যমে তুলে ধরার কথা জানালে শওকত ইসলাম তাকে হুমকি দিয়ে বলে আমি শওকত তোমাকে শেষ করে দিব।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী হায়দার রাসেল জানান, শওকত স্যারের বিকাশ আতংকে থাকতাম সারা দিন।কখন কোন সময় ফোন দিয়ে বিকাশে টাকা দাবি করে। যখনই ফোন করতেন তখনই বিকাশে টাকা দেয়ার কথা বলতেন। চাহিত টাকা না দিলে নানানভাবে হয়রানী করতেন। সুনামগঞ্জে বদলী হওয়ার আগে আমার এসিআর ভাল দেয়ার জন্য ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। তখন উনার চাহিদা পুরণ করতে না পারায় আমার এসিআর খারাপ দেয়। আমি বিষয়টি মহাপরিচালক মহোদয়কে জানিয়েছি। আশা করছি মহাপরিচালক স্যার বিকাশ শওকতের বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
এ ব্যাপারে বিকাশ শওকত ইসলামের বক্তব্য জানতে বার বার ফোন দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।