ঢাকা ০৮:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাটোরে অসময়ে পেয়াজ চাষে বাম্পার ফলন লাভবান কৃষকেরা

উত্তরের জেলা নাটোরে খ্যাত থেকে তোলা শুরু হয়েছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ। ইতিমধ্যে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এই পেঁয়াজ। এবার ফলনের পাশাপাশি দাম বেশি থাকায় খুশি কৃষকরা। আপৎকালীন সংকট মেটাতে এই পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের উৎসাহ জোগাতে সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে সার,বীজসহ নানা উপকরণ।

নাটোরের নলডাঙ্গায় আগাম গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সাফল্য পেয়েছেন শতাধিক কৃষক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করে মিলেছে ভালো ফলন। ইতিমধ্যে জমি থেকে পেঁয়াজ উত্তোলন শুরু হয়েছে। বাজারে সেই পেঁয়াজের ভালো দাম পেয়ে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।

উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের কৃষক আয়ুব আলী নরশৎপুর মাঠে ৪৫-৫০ হাজার টাকা খরচ করে এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। তিনি জানান,এই জমি থেকে ৭০-৮০ মণ ফলন পাওয়ার আশা করছেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য ২ লাখ টাকা। এখন তিনি জমি থেকে পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছেন।

আয়ুবের মতো উপজেলার ১০০ কৃষক উপজেলা কৃষি অফিসের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ, সার, টাকা পেয়ে চাষে নেমে একই সাফল্য পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এ সাফল্য দেখে স্থানীয় অনেক কৃষক পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

জানা যায়,পেঁয়াজ মূলত শীতকালীন ফসল। বছরে একবার আবাদ হওয়ায় প্রতিবছর গ্রীষ্ম ও শীতের শুরুতে এর সংকট দেখা দেয়। সংকট মোকাবিলায় বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এমন অবস্থায় গত দুই বছর নলডাঙ্গায় সীমিত পরিসরে ১০০ কৃষককে দিয়ে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করানো হচ্ছে। এতে চারা রোপণের ৯০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। নতুন এ কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে তা দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে এবং কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

এ বিষয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফৌজিয়া ফেরদৌস বলেন,আমরা জানতে পেয়েছি,কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে আবারও আগাম গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। এ এলাকায় চাষিরা নতুন জাতের পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য খুব আগ্রহী। এ পেঁয়াজ প্রতি বিঘায় ১০০ থেকে ১৫০ মণ উৎপাদন সম্ভব।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নাটোরে অসময়ে পেয়াজ চাষে বাম্পার ফলন লাভবান কৃষকেরা

আপডেট সময় ০৯:২৫:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

উত্তরের জেলা নাটোরে খ্যাত থেকে তোলা শুরু হয়েছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ। ইতিমধ্যে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এই পেঁয়াজ। এবার ফলনের পাশাপাশি দাম বেশি থাকায় খুশি কৃষকরা। আপৎকালীন সংকট মেটাতে এই পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের উৎসাহ জোগাতে সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে সার,বীজসহ নানা উপকরণ।

নাটোরের নলডাঙ্গায় আগাম গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সাফল্য পেয়েছেন শতাধিক কৃষক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করে মিলেছে ভালো ফলন। ইতিমধ্যে জমি থেকে পেঁয়াজ উত্তোলন শুরু হয়েছে। বাজারে সেই পেঁয়াজের ভালো দাম পেয়ে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।

উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের কৃষক আয়ুব আলী নরশৎপুর মাঠে ৪৫-৫০ হাজার টাকা খরচ করে এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। তিনি জানান,এই জমি থেকে ৭০-৮০ মণ ফলন পাওয়ার আশা করছেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য ২ লাখ টাকা। এখন তিনি জমি থেকে পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছেন।

আয়ুবের মতো উপজেলার ১০০ কৃষক উপজেলা কৃষি অফিসের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ, সার, টাকা পেয়ে চাষে নেমে একই সাফল্য পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এ সাফল্য দেখে স্থানীয় অনেক কৃষক পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

জানা যায়,পেঁয়াজ মূলত শীতকালীন ফসল। বছরে একবার আবাদ হওয়ায় প্রতিবছর গ্রীষ্ম ও শীতের শুরুতে এর সংকট দেখা দেয়। সংকট মোকাবিলায় বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এমন অবস্থায় গত দুই বছর নলডাঙ্গায় সীমিত পরিসরে ১০০ কৃষককে দিয়ে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করানো হচ্ছে। এতে চারা রোপণের ৯০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। নতুন এ কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে তা দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে এবং কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

এ বিষয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফৌজিয়া ফেরদৌস বলেন,আমরা জানতে পেয়েছি,কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে আবারও আগাম গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। এ এলাকায় চাষিরা নতুন জাতের পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য খুব আগ্রহী। এ পেঁয়াজ প্রতি বিঘায় ১০০ থেকে ১৫০ মণ উৎপাদন সম্ভব।