ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন’র সাথে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিপ্লব উদ্যানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দ্বীনের বিজয়ের জন্য ওলামায়ে কেরামদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প পথ নেই: আ.ন.ম শামসুল ইসলাম ইমামকে মাদ্রাসা থেকে অপসারণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী ৩৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ লালমনিরহাট থেকে শীর্ষ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার পূজার পর সাঁড়াশি অভিযান : আইজিপি ভোলার -বোরহানউদ্দিনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু বোরহানউ‌দ্দি‌নে মৃত ও অবসর প্রাপ্ত মাধ‌্যমিক শিক্ষক‌দের মা‌ঝে বি‌শেষ অনুদান প্রদান । চন্দনাইশে ডা. শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করায় শোকরানা সভা ও খাবার বিতরণ নাঙ্গলকোটে ভু’য়া দাঁতের ডাক্তারসহ ফার্মেসির স্বত্বাধিকারীরা অনৈতিক কাজে আটক

বাউফলে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার-৭

পটুয়াখালীর বাউফলে বনবিভাগের সাবেক আইন কর্মকতার বাড়িসহ একাধিক বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার তদন্ত নেমে ডাকাত চক্রের প্রধানসহ ৭জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭নভেম্বর)অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
বুধবার (৮নভেম্বর) বিকেল ৪টায় পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সুপার সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বরিশালের গৌরনদীর বাটাজোড় গ্রামের মোঃ সোলায়মান হোসেন ওরফে রনি, বাউফল উপজেলার কালাইয়া গ্রামের বাচ্চু সরদার, একই গ্রামের উজ্জাল হোসেন ওরফে সাহেদ, মোঃ আমিনুল ইসলাম, পূর্বকালাইয়া গ্রামের জুলহাস ওরফে জুলফু ডাকাত, কনকদিয়া ইউনিয়নের ফারুক হোসেন, দাশপাড়া গ্রামের সুমন আকন ও পিরোজপুর জেলার নজরুল শেখ ।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বাউফলে একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসব ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করতে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কাজ শুরু করেন। প্রথমে বাউফল উপজেলার দাশপাড়া গ্রামের সুমন আকন নামে একজনকে সন্দেহজনক গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারেন একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র এসব ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান নেন এবং বিভিন্ন পেশায় কাজ করেন।

ডাকাতি করতে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে বরিশালে ৪ডাকাত সদস্য আসছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা – বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুরের রাজৈন এলাকায় হানিফ পরিবহন থেকে বাচ্চু, উজ্জল, জুলহাস ও নজরুলকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে বরিশালের গৌরনদীর বাটাজোড় গ্রামের সোলায়মান রনিকে গ্রেপ্তার করে। ওই রাতে ডাকাত দলের সহযোগী ও আশ্রয়দাতা কালাইয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আমিনুলের দেওয়া তথ্যে সুমন আকনের বাড়ি থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ৩টি রামদা, ২শাবাল, ১টি কাটারসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।

জেলা পুলিশ সুপার মো.সাইদুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি বাউফলে একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসব ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। ডাকাতির ঘটনা উদঘটনে জেলা পুলিশের একটি চৌকাস দল মাঠে কাজ শুরু করেন। দীর্ঘদিন কাজ করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট ডাকাত দলের খোঁজ মিলে। দলের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছদ্মবেশে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকে। ডাকাতির দিন তারিখ ঠিক হলে সব সদস্যরা একাত্রিত হয়ে ডাকাতি সংঘটিত করেন। ডাকাতির অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে যায়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন’র সাথে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক

বাউফলে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার-৭

আপডেট সময় ১১:৫২:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

পটুয়াখালীর বাউফলে বনবিভাগের সাবেক আইন কর্মকতার বাড়িসহ একাধিক বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার তদন্ত নেমে ডাকাত চক্রের প্রধানসহ ৭জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭নভেম্বর)অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
বুধবার (৮নভেম্বর) বিকেল ৪টায় পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সুপার সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বরিশালের গৌরনদীর বাটাজোড় গ্রামের মোঃ সোলায়মান হোসেন ওরফে রনি, বাউফল উপজেলার কালাইয়া গ্রামের বাচ্চু সরদার, একই গ্রামের উজ্জাল হোসেন ওরফে সাহেদ, মোঃ আমিনুল ইসলাম, পূর্বকালাইয়া গ্রামের জুলহাস ওরফে জুলফু ডাকাত, কনকদিয়া ইউনিয়নের ফারুক হোসেন, দাশপাড়া গ্রামের সুমন আকন ও পিরোজপুর জেলার নজরুল শেখ ।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বাউফলে একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসব ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করতে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কাজ শুরু করেন। প্রথমে বাউফল উপজেলার দাশপাড়া গ্রামের সুমন আকন নামে একজনকে সন্দেহজনক গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারেন একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র এসব ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান নেন এবং বিভিন্ন পেশায় কাজ করেন।

ডাকাতি করতে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে বরিশালে ৪ডাকাত সদস্য আসছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা – বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুরের রাজৈন এলাকায় হানিফ পরিবহন থেকে বাচ্চু, উজ্জল, জুলহাস ও নজরুলকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে বরিশালের গৌরনদীর বাটাজোড় গ্রামের সোলায়মান রনিকে গ্রেপ্তার করে। ওই রাতে ডাকাত দলের সহযোগী ও আশ্রয়দাতা কালাইয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আমিনুলের দেওয়া তথ্যে সুমন আকনের বাড়ি থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ৩টি রামদা, ২শাবাল, ১টি কাটারসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।

জেলা পুলিশ সুপার মো.সাইদুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি বাউফলে একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসব ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। ডাকাতির ঘটনা উদঘটনে জেলা পুলিশের একটি চৌকাস দল মাঠে কাজ শুরু করেন। দীর্ঘদিন কাজ করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট ডাকাত দলের খোঁজ মিলে। দলের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছদ্মবেশে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকে। ডাকাতির দিন তারিখ ঠিক হলে সব সদস্যরা একাত্রিত হয়ে ডাকাতি সংঘটিত করেন। ডাকাতির অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে যায়।