শুরু হচ্ছে শীতের মৌসুম। শীতের শুরুতেই ভোলার লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের ফুটপাতে বসেছে শীতের পিঠার দোকান। এসব দোকানে ভাঁপা ও চিতইসহ নানা প্রকার পিঠা বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে এ পিঠা বিক্রি।
দোকানগুলোতে পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় জমান নানান বয়স ও শ্রেণির মানুষ।
দেখা গেছে, লালমোহন পৌরসভার চৌরাস্তা ও উত্তর বাজারসহ কয়েকটি স্থানের ফুটপাত জুড়ে বসানো হয়েছে শীতের পিঠার দোকান। সন্ধ্যার পর থেকেই ক্রেতাদের উপস্থিতিতে জমে উঠে পিঠার দোকানগুলো। এই পিঠা বিক্রি করেই সংসার চালাচ্ছেন বিক্রেতারা। দেশে শতাধিক ধরনের পিঠার প্রচলন রয়েছে। তবে ফুটপাতের পিঠার দোকানগুলোতে মাত্র কয়েক ধরনের পিঠা পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে- ভাঁপা পিঠা, চিতই পিঠা, ডিম চিতই, পাটিসাপটা পিঠা। ধরন অনুযায়ী এসব পিঠার দাম আলাদা। যার মধ্যে চিতই পিঠার দাম ৫ টাকা, আর ভাঁপা পিঠা, ডিম চিতই ও পাটিসাপ্টা পিঠা বিক্রি করা হয় ১০ টাকা করে। এর মধ্যে অনেক পিঠা খাওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের ভর্তা দিয়ে। যেখানে রয়েছে- শুটকি, মরিচ ও সরিষার ভর্তা।
লালমোহন পৌরশহরের চৌরাস্তার মোড় সংলগ্ন এলাকার পিঠা বিক্রেতা মো. জসিম উদ্দিন জানান, গত কয়েক বছর ধরে শীতের শুরু থেকে এ পিঠা বিক্রি করি। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিক্রি করি নানা ধরনের পিঠা। এতে করে দৈনিক দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা বিক্রি হয়। যেখান থেকে লাভ হয় পাঁচ থেকে ছয়শত টাকা। আয়ের এ টাকায় স্ত্রী আর সন্তানদের নিয়ে সংসার চালাই।
তিনি আরো বলেন, আমার মতো লালমোহন বাজারে আরো অনেকে এই পিঠা বিক্রি করেন। সকলেই কেবল শীতের মৌসুম এলে এসব পিঠা বিক্রি করেন। কারণ এ মৌসুমে শীতের পিঠার অনেক চাহিদা থাকে। এছাড়া বছরের বাকি সময় আমরা অন্য কাজ করি।
ফুটপাতের পিঠা ক্রেতা স্কুল শিক্ষক মো. সেলিম জানান, অনেক সময় ব্যস্ততার জন্য শখ থাকলেও বাসায় পিঠা তৈরি করা হয় না। তাই তৈরি করা পিঠা খেতে এসেছি। ফুটপাতের পিঠা হলেও এর স্বাদ অতুলনীয়।
আরেক ক্রেতা মো. আব্দুস শহিদ বলেন, ফুটপাতে অনেক ধরনের পিঠা বানিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। শীতের মধ্যে গরম গরম ভাঁপা ও চিতই পিঠা খেতে ভালো লাগে। এ জন্য এখান থেকে পিঠা কিনে খাচ্ছি। বাসার জন্যও কয়েকটি নিয়েছি। ফুটপাতের পিঠা হলেও এগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে যত্ন নিয়ে তৈরি করা হয়।