ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন’র সাথে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিপ্লব উদ্যানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দ্বীনের বিজয়ের জন্য ওলামায়ে কেরামদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প পথ নেই: আ.ন.ম শামসুল ইসলাম ইমামকে মাদ্রাসা থেকে অপসারণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী ৩৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ লালমনিরহাট থেকে শীর্ষ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার পূজার পর সাঁড়াশি অভিযান : আইজিপি ভোলার -বোরহানউদ্দিনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু বোরহানউ‌দ্দি‌নে মৃত ও অবসর প্রাপ্ত মাধ‌্যমিক শিক্ষক‌দের মা‌ঝে বি‌শেষ অনুদান প্রদান । চন্দনাইশে ডা. শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করায় শোকরানা সভা ও খাবার বিতরণ নাঙ্গলকোটে ভু’য়া দাঁতের ডাক্তারসহ ফার্মেসির স্বত্বাধিকারীরা অনৈতিক কাজে আটক

গার্মেন্টসের উপর নির্ভরশীল না হয়ে পণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে-বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি বলেছেন, শুধু গার্মেন্টস শিল্পের উপর নির্ভর না করে রপ্তানির জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে এটি করা সম্ভব হলে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে।

আজ বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলতায়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২০-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, শুধু রেডিমেড গার্মেন্টস শিল্পের উপর নির্ভর করা যাবে না। রপ্তানিযোগ্য আরো অনেক পণ্য আছে। যত বেশি পণ্য আমাদের রপ্তানিতে অন্তর্ভুক্ত হবে ততো বেশি দেশে রপ্তানি করা যাবে। সার্বিক বাণিজ্যের কলেবর ততই বৃদ্ধি পাবে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দেশ সমৃদ্ধি লাভ করবে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে।

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের রপ্তানি এখনও তৈরী পোশাকের উপর নির্ভরশীল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কিছু নতুন পণ্য ও সেবা আমাদের রপ্তানির ঝুড়িতে সংযোজিত হয়েছে। এসময় ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের রপ্তানি আয় একশো বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকল ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান মন্ত্রী।

জ্ঞানভিত্তিক একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্যবসা-বাণিজ্যের উত্তরোত্তর উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, বৈশ্বিক সকল প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্ব বাণিজ্যে টিকে থাকার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি, পণ্যের মান উন্নয়ন এবং রপ্তানি তালিকায় নতুন নতুন পণ্য যুক্ত করতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে স্থানীয় শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসার এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। এ সব কর্মসূচী বাস্তবায়িত হলে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

মন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় সাফল্য অর্জনকারী দেশের খ্যাতিমান রপ্তানিকারক, শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করাই হচ্ছে এ ট্রফি প্রদানের মূল উদ্দেশ্য। এই ট্রফি বিজয়ীদের আরও উৎসাহিত এবং অন্যদেরকে নতুন উদ্যোগে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।

তিনি বলেন, একটি টেকসই অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার বদ্ধ পরিকর। সকলের সমন্বিত কর্মপ্রচেষ্টায় দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহযোগিতায় বাংলাদেশ একটি আত্মনির্ভরশীল স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম আহসান।

উল্লেখ্য, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে সেরা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ ২৮টি পণ্য ক্যাটাগরিতে ৭৩টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হয়। সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন’র সাথে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক

গার্মেন্টসের উপর নির্ভরশীল না হয়ে পণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে-বাণিজ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৬:৩৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩

বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি বলেছেন, শুধু গার্মেন্টস শিল্পের উপর নির্ভর না করে রপ্তানির জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে এটি করা সম্ভব হলে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে।

আজ বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলতায়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২০-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, শুধু রেডিমেড গার্মেন্টস শিল্পের উপর নির্ভর করা যাবে না। রপ্তানিযোগ্য আরো অনেক পণ্য আছে। যত বেশি পণ্য আমাদের রপ্তানিতে অন্তর্ভুক্ত হবে ততো বেশি দেশে রপ্তানি করা যাবে। সার্বিক বাণিজ্যের কলেবর ততই বৃদ্ধি পাবে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দেশ সমৃদ্ধি লাভ করবে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে।

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের রপ্তানি এখনও তৈরী পোশাকের উপর নির্ভরশীল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কিছু নতুন পণ্য ও সেবা আমাদের রপ্তানির ঝুড়িতে সংযোজিত হয়েছে। এসময় ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের রপ্তানি আয় একশো বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকল ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান মন্ত্রী।

জ্ঞানভিত্তিক একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্যবসা-বাণিজ্যের উত্তরোত্তর উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, বৈশ্বিক সকল প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্ব বাণিজ্যে টিকে থাকার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি, পণ্যের মান উন্নয়ন এবং রপ্তানি তালিকায় নতুন নতুন পণ্য যুক্ত করতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে স্থানীয় শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসার এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। এ সব কর্মসূচী বাস্তবায়িত হলে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

মন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় সাফল্য অর্জনকারী দেশের খ্যাতিমান রপ্তানিকারক, শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করাই হচ্ছে এ ট্রফি প্রদানের মূল উদ্দেশ্য। এই ট্রফি বিজয়ীদের আরও উৎসাহিত এবং অন্যদেরকে নতুন উদ্যোগে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।

তিনি বলেন, একটি টেকসই অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার বদ্ধ পরিকর। সকলের সমন্বিত কর্মপ্রচেষ্টায় দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহযোগিতায় বাংলাদেশ একটি আত্মনির্ভরশীল স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম আহসান।

উল্লেখ্য, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে সেরা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ ২৮টি পণ্য ক্যাটাগরিতে ৭৩টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হয়। সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হয়।