ঢাকা ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন’র সাথে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিপ্লব উদ্যানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দ্বীনের বিজয়ের জন্য ওলামায়ে কেরামদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প পথ নেই: আ.ন.ম শামসুল ইসলাম ইমামকে মাদ্রাসা থেকে অপসারণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী ৩৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ লালমনিরহাট থেকে শীর্ষ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার পূজার পর সাঁড়াশি অভিযান : আইজিপি ভোলার -বোরহানউদ্দিনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু বোরহানউ‌দ্দি‌নে মৃত ও অবসর প্রাপ্ত মাধ‌্যমিক শিক্ষক‌দের মা‌ঝে বি‌শেষ অনুদান প্রদান । চন্দনাইশে ডা. শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করায় শোকরানা সভা ও খাবার বিতরণ নাঙ্গলকোটে ভু’য়া দাঁতের ডাক্তারসহ ফার্মেসির স্বত্বাধিকারীরা অনৈতিক কাজে আটক

বাউফলে পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি সড়ক নির্মাণ কাজ

পটুয়াখালী-বরগুনা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার আমিরাবাদ-চন্দ্রপাড়া-মধ্য মদনপুরা সড়কের নির্মাণ কাজ ২১ মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। ঠিকাদারের গাফিলতি ও এলজিইডির তদারকির অভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী অত্যন্ত ১০ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ। এতদিন ধরে সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার প্রসঙ্গে এলজিইডির উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং প্রকল্প পরিচালকের কাছে জানতে চাইলে কোনো সদত্তোর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন ‘প্রকল্প পরিচালক’ আর প্রকল্প পরিচালক বলছেন ‘নির্বাহী প্রকৌশলী’ ব্যবস্থা নিবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার ৬নং কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ বাজার থেকে চন্দ্রপাড়া চৌরাস্তা বাজার ভায়া মধ্য মদনপুরা বাজার পর্যন্ত ৪.২৯০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের জন্য ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে দরপত্র আহবান করে এলজিইডি। দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে পটুয়াখালীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পল্লী স্টোরের সঙ্গে মোট ৪ কোটি ৯৩লাখ ৩০ হাজার ৬৯৬ টাকা সাথে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এবং কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২০ সালের ২৮ জুলাই। এরমধ্যে একাধিকবার মেয়াদ বাড়িয়েও কাজ শেষ করতে পারেনি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। সরেজমিন পরিদর্শনকালে জানা যায়, পল্লী স্টোর প্রকল্পটির কাজ না করে মদনপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা এবং ব্যবসায়ী সবুর খানের কাছে বিক্রি করে দেন। তারা সড়কের প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ শেষ করেন। পরে পল্লী স্টোরের সঙ্গে লেনদেন নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে সড়কের একাধিক স্থানে পাইলিং, একাধিক বাড়ির সংযোগ সড়ক ও কার্পেটিং বাকি রেখে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সড়কে চলাচলকারী প্রায় ১০হাজার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রব গাজী বলেন, এই সড়ক দিয়ে কনকদিয়া, সূর্যমনি, নাজিরপুর ইউনিয়ন ও উপজেলা শহরের সঙ্গে যাতায়ত করেন পথচারীরা। সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ইটের খোয়া ফেলে রাখায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন একাধিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধের কারন জানতে চাইলে মদনপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, তিনি ও সবুর খান নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বরাদ্দের ২ কোটি টাকা বিলও উত্তোলন করেন পল্লী স্টোর। ওই টাকা নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জটিলতা দেখা দিলে তারা কাজ বন্ধ করে দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী স্টোরের স্বত্তাধিকারী মো. বাদল বলেন, কোনো জটিলতা নেই। বর্ষার কারণে কাজ বন্ধ ছিল। কয়েক দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে। এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মাদ লতিফ হোসেন বলেন, এটা প্রকল্প পরিচালকের বিষয় তিনিই ব্যবস্থা নিবেন। প্রকল্প পরিচালক ইসমত কিবরিয়া বলেন,‘এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন নির্বাহী প্রকৌশলী, তিনিই সব। বাউফল উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. সুলতান হোসেন বলেন, কাজ বন্ধের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিবেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন’র সাথে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক

বাউফলে পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি সড়ক নির্মাণ কাজ

আপডেট সময় ১০:৪৪:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩

পটুয়াখালী-বরগুনা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার আমিরাবাদ-চন্দ্রপাড়া-মধ্য মদনপুরা সড়কের নির্মাণ কাজ ২১ মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। ঠিকাদারের গাফিলতি ও এলজিইডির তদারকির অভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী অত্যন্ত ১০ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ। এতদিন ধরে সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার প্রসঙ্গে এলজিইডির উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং প্রকল্প পরিচালকের কাছে জানতে চাইলে কোনো সদত্তোর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন ‘প্রকল্প পরিচালক’ আর প্রকল্প পরিচালক বলছেন ‘নির্বাহী প্রকৌশলী’ ব্যবস্থা নিবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার ৬নং কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ বাজার থেকে চন্দ্রপাড়া চৌরাস্তা বাজার ভায়া মধ্য মদনপুরা বাজার পর্যন্ত ৪.২৯০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের জন্য ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে দরপত্র আহবান করে এলজিইডি। দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে পটুয়াখালীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পল্লী স্টোরের সঙ্গে মোট ৪ কোটি ৯৩লাখ ৩০ হাজার ৬৯৬ টাকা সাথে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এবং কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২০ সালের ২৮ জুলাই। এরমধ্যে একাধিকবার মেয়াদ বাড়িয়েও কাজ শেষ করতে পারেনি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। সরেজমিন পরিদর্শনকালে জানা যায়, পল্লী স্টোর প্রকল্পটির কাজ না করে মদনপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা এবং ব্যবসায়ী সবুর খানের কাছে বিক্রি করে দেন। তারা সড়কের প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ শেষ করেন। পরে পল্লী স্টোরের সঙ্গে লেনদেন নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে সড়কের একাধিক স্থানে পাইলিং, একাধিক বাড়ির সংযোগ সড়ক ও কার্পেটিং বাকি রেখে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সড়কে চলাচলকারী প্রায় ১০হাজার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রব গাজী বলেন, এই সড়ক দিয়ে কনকদিয়া, সূর্যমনি, নাজিরপুর ইউনিয়ন ও উপজেলা শহরের সঙ্গে যাতায়ত করেন পথচারীরা। সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ইটের খোয়া ফেলে রাখায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন একাধিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধের কারন জানতে চাইলে মদনপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, তিনি ও সবুর খান নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বরাদ্দের ২ কোটি টাকা বিলও উত্তোলন করেন পল্লী স্টোর। ওই টাকা নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জটিলতা দেখা দিলে তারা কাজ বন্ধ করে দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী স্টোরের স্বত্তাধিকারী মো. বাদল বলেন, কোনো জটিলতা নেই। বর্ষার কারণে কাজ বন্ধ ছিল। কয়েক দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে। এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মাদ লতিফ হোসেন বলেন, এটা প্রকল্প পরিচালকের বিষয় তিনিই ব্যবস্থা নিবেন। প্রকল্প পরিচালক ইসমত কিবরিয়া বলেন,‘এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন নির্বাহী প্রকৌশলী, তিনিই সব। বাউফল উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. সুলতান হোসেন বলেন, কাজ বন্ধের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিবেন।