ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও সমাজভিত্তিক গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজের মধ্যে প্রশাসনিক জটিলতায় শিক্ষাজীবন ধ্বংসের হুমকিতে মেডিকেলটির ১১০ শিক্ষার্থী। সব নিয়ম মেনে মেডিকেলে ভর্তি হলেও প্রথম প্রফেশনাল পরীক্ষায় বসতে পারছেন নাই তারা। এ অবস্থায় প্রফেশনাল পরীক্ষার নিবন্ধন ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার (৫ নভেম্বর) গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের আয়োজিত মানববন্দনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্দনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা ১১০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছি। সকল যোগ্যতার মাপকাঠি অনুসরণ করে সমাজভিত্তিক গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছি। ২ নভেম্বর থেকে তৃতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রফেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। নিয়মানুযায়ী আমাদের ১১০ জন শিক্ষার্থীরও পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেডিকেল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রশাসনিক জটিলতার কারণে এটি সম্ভব হয়নি।’
তারা আরও বলেন, ‘যদিও কলেজের অভ্যন্তরীণ সকল পরীক্ষায় আমরা মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে। কিন্তু গত আগস্ট মাসে আমরা জানতে পারলাম, মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কারণে আমরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবো না। এমনকি বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও গড়িয়েছে।’
মেডিকেল কলেজের অনিয়মের কথা জানিয়ে তারা বলেন, ‘মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে মাত্র ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মেডিকেল কলেজ হাইকোর্টে এক রিটপিটিশন দাখিল করে আরও ৫০ জন অতিরিক্ত ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি জন্য আদেশ পায় এবং সর্বমোট ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করে। ভর্তির চার মাস পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন। ফলে রিটপিটিশনের আদেশ স্থগিত হয়ে যায়, যা এখন অ্যাপিলেট ডিভিশনে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলেন, ‘প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ছাড়া এ সমস্যা থেকে উত্তরণের বিকল্প পথ নেই। আমাদের ১১০ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের চরম দুরবস্থায় পড়েছে। আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সু-দৃষ্টি আশা করছি। আমরা আমাদের পরিবারের স্থায়ী সম্পদ, অর্থাৎ জমিজমা বিক্রি করে চিকিৎসক হওয়ার লক্ষ্যে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। ভর্তির জটিলতা সম্পর্কে আমরা অবগত ছিলাম না।’