ঢাকা ০২:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন’র সাথে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিপ্লব উদ্যানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দ্বীনের বিজয়ের জন্য ওলামায়ে কেরামদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প পথ নেই: আ.ন.ম শামসুল ইসলাম ইমামকে মাদ্রাসা থেকে অপসারণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী ৩৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ লালমনিরহাট থেকে শীর্ষ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার পূজার পর সাঁড়াশি অভিযান : আইজিপি ভোলার -বোরহানউদ্দিনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু বোরহানউ‌দ্দি‌নে মৃত ও অবসর প্রাপ্ত মাধ‌্যমিক শিক্ষক‌দের মা‌ঝে বি‌শেষ অনুদান প্রদান । চন্দনাইশে ডা. শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করায় শোকরানা সভা ও খাবার বিতরণ নাঙ্গলকোটে ভু’য়া দাঁতের ডাক্তারসহ ফার্মেসির স্বত্বাধিকারীরা অনৈতিক কাজে আটক

কুয়াকাটায় পৌর মেয়রের উপর হামলা, বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানার পদদলিত

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে হামলার অভিযোগ উঠেছে সাবেক পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতি বারেক মোল্লা ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় কুয়াকাটা পর্যটন মোটেলের সামনে থেকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে কুয়াকাটা এসি মসজিদের সংলগ্ন একটি ফার্মেসীর সামনে বসে দফায় দফায় হামলার শিকার হন মেয়র ও তার লোকজন।

পৌর মেয়র আনোয়ার বলেন, আমি শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে পূর্ব ঘোষিত নির্ধারিত স্থান পর্যটন মোটেলে যাই।যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মুহিববুর রহমান মুহিব। এমপি সাহেবের উপস্থিতিতে বারেক মোল্লা, আনসার মোল্লা ও মাসুদ মোল্লা আমার ও আমার লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়, আমি পরিস্থিতি খারাপ দেখে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল ত্যাগ করি, ওখান থেকে চলে এসে আমার ভাতিজার ফার্মেসিতে অবস্থান করি, সেখানেও সাবেক মেয়র বারেক মোল্লার ছোট ভাই মোশারফ মোল্লা নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লোক আমার উপর দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় আমি তাৎক্ষণিক মহিপুর থানার ওসিকে কল করলে সে ঘটনাস্থলে ফোর্স নিয়ে হাজির হয়। তার উপস্থিতিতে আমার উপর তৃতীয় দফায় আবারো হামলা চালায় মোশারফ মোল্লার নেতৃত্বে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন লোক, এ হামলায় আমি সহ প্রায় আমার ১০ জন লোক আহত হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মহিব্বুর রহমান মুহিব ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে জানান, স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

কলাপাড়ার ইউএনও মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কুয়াকাটা পৌর মেয়রের ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়েছি।

এ বিষয়ে মহিপুর থানার ওসি মোঃ ফেরদৌস খান জানান, বর্তমান মেয়র আনোয়ার হালদারের ফোন পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে যাই, এখানে দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে,পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন’র সাথে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক

কুয়াকাটায় পৌর মেয়রের উপর হামলা, বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানার পদদলিত

আপডেট সময় ০৭:৪৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে হামলার অভিযোগ উঠেছে সাবেক পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতি বারেক মোল্লা ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় কুয়াকাটা পর্যটন মোটেলের সামনে থেকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে কুয়াকাটা এসি মসজিদের সংলগ্ন একটি ফার্মেসীর সামনে বসে দফায় দফায় হামলার শিকার হন মেয়র ও তার লোকজন।

পৌর মেয়র আনোয়ার বলেন, আমি শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে পূর্ব ঘোষিত নির্ধারিত স্থান পর্যটন মোটেলে যাই।যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মুহিববুর রহমান মুহিব। এমপি সাহেবের উপস্থিতিতে বারেক মোল্লা, আনসার মোল্লা ও মাসুদ মোল্লা আমার ও আমার লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়, আমি পরিস্থিতি খারাপ দেখে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল ত্যাগ করি, ওখান থেকে চলে এসে আমার ভাতিজার ফার্মেসিতে অবস্থান করি, সেখানেও সাবেক মেয়র বারেক মোল্লার ছোট ভাই মোশারফ মোল্লা নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লোক আমার উপর দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় আমি তাৎক্ষণিক মহিপুর থানার ওসিকে কল করলে সে ঘটনাস্থলে ফোর্স নিয়ে হাজির হয়। তার উপস্থিতিতে আমার উপর তৃতীয় দফায় আবারো হামলা চালায় মোশারফ মোল্লার নেতৃত্বে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন লোক, এ হামলায় আমি সহ প্রায় আমার ১০ জন লোক আহত হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মহিব্বুর রহমান মুহিব ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে জানান, স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

কলাপাড়ার ইউএনও মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কুয়াকাটা পৌর মেয়রের ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়েছি।

এ বিষয়ে মহিপুর থানার ওসি মোঃ ফেরদৌস খান জানান, বর্তমান মেয়র আনোয়ার হালদারের ফোন পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে যাই, এখানে দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে,পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।