কুমিল্লায় উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ সুর সম্রাট শচীন দেববর্মণ স্মরণে দুই দিনব্যাপি ‘শচীন মেলা’ উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকায় সুর স¤্রাটের বাড়ির প্রাঙ্গণে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ মেলার আয়োজন করা হয়। বিকাল ৪টায় বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান।
এসময় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়–য়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাফি, জেলা সিভিল সার্জন নাছিমা আক্তার, বিশিষ্ট সাহিত্যিক অধ্যাপক শান্তিরঞ্জন ভৌমিক, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল, কবি ও নজরুল গবেষক ড. আলী হোসেন চৌধুরী, নাট্য ব্যক্তিত্ব শাহজাহান চৌধুরী, জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ আয়াজ মাবুদসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কালজয়ী বহু গানের স্রষ্টা, সংগীতের বরপুত্র স্মরণে আয়োজিত শচীন মেলা উপলক্ষ্যে কুমিল্লার ইউসুফ হাইস্কুল প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শচীন দেববর্মণের পৈত্রিক নিবাসে গিয়ে শেষ হয়। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) মেলার সমাপনী দিনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.এফ.এম. আবদুল মঈন।
প্রসঙ্গত, ১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন সুর সম্রাট শচীন দেব বর্মণ। তার বাবা নবদ্বীপ কুমার বর্মণ ১৮৭০ সালের মাঝামাঝি সপরিবারে কুমিল্লা এসে বসতি স্থাপন করেন। শচীন দেব বর্মণ কুমিল্লায় ছিলেন ১৯২৪ সাল পর্যন্ত। ১৯ বছর বয়সে তিনি চলে যান কলকাতায়।
১৯৪৪ সালে তিনি সপরিবারে মুম্বাই গমন করেন। মুম্বাই চলচ্চিত্র জগতে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকের মর্যাদাও লাভ করেন। ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী খেতাবে ভূষিত করেন। ১৯৭৫ সালের ৩১ অক্টোবর মুম্বাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সংগীত ভুবনের এই কিংবদন্তি।