আসছে আগামী ২৮ শে অক্টোবর বিএনপি -জামায়াত সমর্থিত রাজনৈতিক সরকার হটাও আন্দোলনের অঙ্গসংগঠনের মহাসমাবেশ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও একই দিনে শান্তি সমাবেশ ডাকে। একই দিনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ দুটি রাজনৈতিক সংগঠনের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে জনমনে একটি বিশাল উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই দিনে উভয় দল শক্তিমত্তা প্রদর্শন করতে গিয়ে সামাজিক বিশৃংখল ঘটনা, সামাজিক শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবে ফানুস উড়ানো সহ বিভিন্ন ধর্মীয় রীতি-নীতির আয়োজন করে থাকে।এই দিনে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা অপেক্ষায় থাকে অত্যন্ত জাঁকজমক পূর্ণ আয়োজনে উৎসব পালন করার। চন্দ্র মাস অনুযায়ী এই প্রবারণা পূর্ণিমা ২৮ অক্টোবর।
তাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সকল মানুষ উদ্বিগ্ন এবং উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করছে! এই বৃহৎ কর্মসূচির মাঝে নিরাপদে তাদের ধর্মীয় উৎসবটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যপূর্ণভাবে পালন করতে পারবে কি?
তাই বাংলাদেশ বৌদ্ধ -খ্রীষ্ট ধর্ম প্রচার সংঘ ও সম্মিলিত বৌদ্ধ সংঘের পক্ষ থেকে ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিট এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উক্ত সম্মেলনে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ও খ্রিস্ট ধর্ম প্রচার সংঘের যুগ্ন -মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুমন কান্তি বড়ুয়া বলেন, প্রবারনা পূর্ণিমা বৌদ্ধদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব। এই দিনে ধর্মীয় আচার, পূজা -অর্চনা ও ফানুস উড়িয়ে উৎসবটি উদযাপন করা হয়। তাই এই দিনটিতে পূর্বঘোষিত সকল রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উৎসবমুখর এই দিনটি উদযাপনের সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় বক্তারা আরো বলেন রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন, এতে করে জনমনে ভীতিসঞ্চার ঘটেছে এবং ভীত সন্ত্রস্ত নিরীহ বৌদ্ধ অবলম্বীদের মনে যে ভীতিসঞ্চার ঘটেছে তার কোন সন্দেহ নেই। ফলে ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন বৌদ্ধরা মুসলিম ভাইদের রমজান মাসের মতোই সিয়াম সাধনার পর তিন মাস ব্যাপী বর্ষা ব্রত ও সংযম পালনের পর শুভ প্রবারণা পূর্ণিমার অপেক্ষায় থাকে। তিনি আশঙ্কা করেন লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধরা তাদের উৎসব পালনে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন, বাংলাদেশ বৌদ্ধ -খ্রীষ্ট ধর্ম প্রচার সংঘ, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি, বাংলাদেশ বৌদ্ধ পরিষদ, পার্বত্য বৌদ্ধ সংঘ, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ অন্যান্যবদ্ধ সাংগঠনের সমন্বয়ে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সম্মিলিত সমাজ এর ব্যানারে আজকের সংবাদ সম্মেলন টি আয়োজন করে। বারংবার আহবান করেন এ দিনের সকল রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রত্যাহার করার।এবং ২৮ অক্টোবর রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না করার আহ্বান জানান সংগঠন টি!