রংপুর কোতোয়ালি থানার চন্দনপাট ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা রেজাউল হত্যা মামলার প্রধান আসামি গাজীপুরের মেট্রোপলিটন এলাকার গাছা থানা হতে রংপুরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বক্কর সিদ্দিকের নেতৃত্বে উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
উল্লেখ্য, রংপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে রেজাউল করিম রাজু নামের এক স্থানীয় যুবলীগ নেতা কে কুপিয়ে হত্যা করে গত ০৮/০৯/২০২৩ ইং (শুক্রবার) বিকেলে রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের লাহিড়ীরহাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।নিহত রেজাউল করিম রাজু চন্দনপাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান রংপুর সদর উপজেলা যুবলীগের নেতা। হত্যায় অভিযুক্ত রাব্বি তার চাচাতো ভাই। তবে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছেন নিহতর পরিবার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে নিজ বাড়ি লাহিড়ীরহাটে আলোচনায় জমি-জমা কাগজ নিয়ে মীমাংসায় বসেন রেজাউলসহ চাচা ও চাচাতো ভাই ও বোনেরা। এ সময় রেজাউলের সঙ্গে রাব্বির বাবার বাগবিতণ্ডা হয়।একপর্যায় চাচাতো ভাই রাব্বি অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রেজাউল ইসলামের মাথায় রাম দা দিয়ে সজোরে কোপ দেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিছুক্ষণ পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।রংপুর জেলা সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ও যুবলীগের নেতা মেহেদী হাসান রনি বলেন, রেজাউল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর তিনি যুবলীগের একজন পরীক্ষিত ও নিবেদিত কর্মী ছিলেন।তার মৃত্যুতে আমরা একজন নিবেদিত কর্মী হারালাম। আমরা জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারপূর্বক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে জানায়, চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা রেজাউল হত্যার মামলা নং ০৭/২৩ এর ০১ নং প্রধান পলাতক আসামি গোলাম রব্বানী @ রাব্বী (২৩) কে সঙ্গীয় এস আই রেজাউল করিম সহ গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানা হতে টানা ৩৬ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে গত রাতে গ্রেফতার সক্ষম হই। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।